ভাষা আন্দোলন বলতে মানুষ সাধারণত ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস বোঝেন। সেটি ছিল ১৯৫২ সালে। আজ থেকে ৬৯ বছর আগে। বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসাবে শিক্ষার মাধ্যম, গণমাধ্যমে বাংলার ব্যবহার, স্ট্যাম্প, মুদ্রা প্রভৃতিতে বাংলার ব্যবহার, অফিস আদালতে বাংলার ব্যবহার ইত্যাদি দাবিতেই ছিল ভাষা আন্দোলন। এসব দাবি ৫০-এর দশকের মধ্যেই বাস্তবায়িত হয়েছিল। সুতরাং বলা যায় যে, ভাষা আন্দোলন পাকিস্তান আমলেই বিজয়ের পরিপূর্ণতায় শোভিত হয়ে ওঠে। তাই দেখা যায়, সেই পাকিস্তান আমল থেকে শহীদ দিবস একটি জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে। আজও এই একবিংশ শতকের দ্বিতীয় দশকেও ২০ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতের পর থেকেই মানুষ উৎসবে মেতে ওঠে। সময়টাও উৎসবের অনুক‚ল। ফাগুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে অপসৃয়মান শীতের মিষ্টি আমেজে শহীদ মিনারে গমন, সকাল হতেই হর্ষোৎফুল্ল লক্ষ মানুষের পদভারে শহীদ মিনার চত্বরে বিজয়ের আনন্দের হিল্লোল। যেসব তথাকথিত প্রগতিবাদী পন্ডিত সব কিছুর মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা আর অসাম্প্রদায়িকতার গন্ধ খুঁজে বেড়ান তাঁরা একটি পারফেক্ট অসাম্প্রদায়িক দিবস পান এই ২১ ফেব্রুয়ারিতে। কেউ কেউ শারদীয় দুর্গোৎসবকে বাঙালির উৎসব বলে চালিয়ে দিতে চেষ্টা করেন। কিন্তু কঠিন সত্য হলো, শারদীয় দুর্গাপূজা হিন্দুদের উৎসব, ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আয্হা মুসলমানদের উৎসব। একমাত্র পহেলা বৈশাখ অথবা পহেলা ফাল্গুন সার্বজনীন বাঙালির উৎসব। কিন্তু ২১ ফেব্রুয়ারি সমস্ত বাঙালির উৎসব নয়। এই ধারে অবস্থিত আমাদের ১৭ কোটি বাঙালির উৎসব। কিন্তু ঐ ধারের ১০ কোটি বাঙালির উৎসব নয়। ভারতে অফিসিয়াল ল্যাঙ্গুয়েজ ২২টি, মাতৃভাষা সাড়ে ১৯ হাজার। ভারতের ১৩০ কোটি জনগোষ্ঠির ৪৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ হিন্দিতে কথা বলেন। বাংলায় বলেন ৮ শতাংশ। মারাঠি ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ। এই পরিসংখ্যানের দৃষ্টিতে বিচার করলে বাঙলা ভারতের দ্বিতীয় ভাষা হতে পারে।
১৯৫২ সালের শহীদ দিবসকে কেন্দ্র করেই বাংলাদেশে ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটে। পাকিস্তানের অবকাঠামোর মধ্যে বাঙালিত্ব প্রতিষ্ঠার আওয়াজ ওঠে। আমি একটু আগেই বলেছি যে, মূলত শহীদ দিবসটি ছিল রাষ্ট্রভাষা হিসাবে বাংলা ভাষার স্বীকৃতির দাবী। সেই দাবী ৫০-এর দশকের মধ্যেই পূরণ হয়ে যায়। তারপরেও শহীদ দিবস তার গৌরব ও ঔজ্জ্বল্য হারায়নি। প্রতিবার শহীদ দিবস আসে, আর সেটি পায় একটি রাজনৈতিক দিক দর্শন। ১৯৫৪ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে হক-ভাসানী সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে গঠিত যুক্তফ্রন্ট বিপুল বিজয় অর্জন করে। যে দলের নেতৃত্বে পাকিস্তান গঠিত হয়েছিল সেই ক্ষমতাসীন দল মুসলিম লীগ ঐ নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয় বরণ করে। যারা ভাষা আন্দোলনকে রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপদান করেন তারা ভাষার দাবী পূরণ হওয়ার পর একটি নতুন শ্লোগান তোলেন। সেটি হলো, ‘২১ মানে মাথা নত না করা’। ভাষা আন্দোলন ১৯৫৪ সালে সাবেক পূর্ব বাংলায় (তখনও পূর্ব বাংলার নাম পূর্ব পাকিস্তান হয়নি) যুক্তফ্রন্টের ভ‚মিধ্বস বিজয়ের ওপর বিরাট প্রভাব বিস্তার করে এবং বিপুল অবদান রাখে।
পরবর্তী দুই বছর পাকিস্তানের গণপরিষদ পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র বা সংবিধান রচনার কাজে ব্যস্ত থাকে। পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র রচিত, গৃহীত ও কার্যকর হয় ১৯৫৬ সালের ২৩ মার্চ। তখন পূর্ব বাংলার নাম পরিবর্তন করে হয় পূর্ব পাকিস্তান। ১৯৫৮ সালে সারা পাকিস্তানে সামরিক শাসন জারী হয় এবং সদ্য গৃহীত শাসনতন্ত্র বাতিল করা হয়। দেশ সামরিক বিধি অনুযায়ী পরিচালিত হতে থাকে। আইয়ুব খানের সামরিক শাসন আমলে ২১ ফেব্রুয়ারি নতুন মাত্রা পায়। তখন ২১ ফেব্রুয়ারির লক্ষ্য ছিল সারা পাকিস্তানের পূর্ণ গণতন্ত্রায়ন। এর আরেকটি লক্ষ্য হয় পূর্ব পাকিস্তানের আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন অর্জন । উল্লেখ করা যেতে পারে যে, পূর্ব পাকিস্তানের জনসংখ্যা অবশিষ্ট পাকিস্তানের জনসংখ্যার চেয়ে বেশি হলেও রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামরিক ও প্রশাসনিক- প্রভৃতি সব ক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তান ক্রমন্বয়ে পিছিয়ে পড়ে। এসব কথা সকলেই জানেন। তাই এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো না। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট যে ২১ দফা প্রণয়ন করে তার অন্যতম প্রধান দাবি ছিল পূর্ব পাকিস্তানের আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন।
এভাবে দিন চলে যায়। প্রতি বছর ঘুরে আসে ২১ ফেব্রুয়ারি। প্রতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারিতে স্বায়ত্তশাসনের দাবিটি জোরদার হতে থাকে। এভাবেই এসে যায় ১৯৬৬ সাল। ১৯৬৬ সালে শেখ মুজিবুর রহমান জাতির সামনে পেশ করেন তার বিখ্যাত ৬ দফা প্রস্তাব। এই প্রস্তাবে তিনি আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের সুনির্দিষ্ট রূপরেখা বর্ণনা করেন। ৬৬ সালের পর ২১ ফেব্রুয়ারি আবার নতুন মাত্রা লাভ করে। এবারের মাত্রা হলো ৬ দফার ভিত্তিতে বাংলাদেশের স্বায়ত্তশাসন আদায় করা। উল্লেখ্য, এই সময় থেকেই শেখ মুজিব ‘পূর্ব পাকিস্তানকে’ ‘বাংলাদেশ’ নামে অভিহিত করা শুরু করেন।
৬ দফা পেশ করার পর থেকেই ২১ এর লক্ষ্য নতুন ও পাওয়ারফুল ডাইমেনশন লাভ করে। ইতিপূর্বে মওলানা ভাসানী এবং মস্কোপন্থী বাম দলগুলোও স্বায়ত্তশাসনের আওয়াজ তোলে। কিন্তু ৬ দফা ভিত্তিক স্বায়ত্তশাসনের সাথে অন্যদের স্বায়ত্তশাসনের দাবির একটি মৌলিক পার্থক্য ছিল। সেটা হলো, অন্যদের স্বায়ত্তশাসনের দাবি ছিলো একটি ফেডারেল কান্ট্রির মধ্যে অবস্থান করে স্বায়ত্তশাসন ভোগ। ২১ দফাতে যে শায়ত্তশাসনের দাবি ছিল সেটি ছিল পাকিস্তান নামক একটি ফেডারেল রাষ্ট্রের মধ্য থেকে স্বায়ত্তশাসন ভোগ করা। যেমন পশ্চিম বাংলা। তারা ভারত নামক একটি ফেডারেল রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত থেকেও স্বায়ত্তশাসন ভোগ করছে। তাদের স্বায়ত্তশাসনের একটি মাত্রা রয়েছে। সেটি হলো, ফেডারেশনের যে সংজ্ঞা, তথা ফেডারেশনের সীমারেখা ক্রস না করা। কিন্তু ৬ দফায় স্বায়ত্তশাসনের যে পরিধি দেওয়া হয়েছিল সেটি ফেডারেশনের সীমারেখা ক্রস করে একটি কনফেডারেল রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত থেকে স্বায়ত্তশাসন লাভ। তাই দেখা যায় ৬ দফায় ছিলো পূর্ব বাংলার জন্য আলাদা মুদ্রা, পূর্ব বাংলার জন্য আলাদা সেন্ট্রাল ব্যাংক, পূর্ব বাংলার ওপর পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের করারোপের ক্ষমতা বাতিল, পূর্ব বাংলার নিজস্ব বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষমতা ইত্যাদি।
১৯৬৮ সাল থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পালনের যারা প্রধান উদ্যোক্তা তারা বলতে থাকেন, ২১ মানে মাথা নত না করা। অন্য কথায়, ৬ দফার প্রশ্নে কোনো আপোস নয়। তখন থেকে স্বায়ত্তশাসনের পাশাপাশি আরেকটি শব্দ খুব জোরেসোরে উচ্চারিত হতে থাকে। আর সেটি হলো স্বাধিকার দাবী। অর্থাৎ ৬ দফার ভিত্তিতে স্বাধিকার আদায়।
৬ দফা প্রণয়নের সাথে যারা জড়িত ছিলেন তাদের মধ্যে ৩ জনের নাম করা যেতে পারে। এরা ৬ দফার অর্থনৈতিক দিকটা দেখছিলেন। এরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক প্রধান ড. নূরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আখলাকুর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক রেহমান সোবহান। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ড. নূরুল ইসলাম বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। এরপর তিনি আমেরিকা চলে যান। বর্তমানে তিনি আমেরিকার মেরিল্যান্ডে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। ড. নূরুল ইসলাম একটি মূল্যবান প্রবন্ধ রচনা করেছেন যেটি বাংলাদেশের কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ঐ প্রবন্ধে তিনি পরিষ্কার বলেছেন যে ৬ দফা কোনো ফেডারেল রাষ্ট্রের সংজ্ঞায় পড়ে না। ৬ দফা হলো একটি কনফেডারেল ব্যবস্থা। একাধিক ফেডারেন মিলে কনফেডারেশন হয়। এখানে কনফেডারেশন থেকে ফেডারেশনের আলাদা হওয়ার স্বাধীনতা থাকে এবং সংবিধানে সেই স্বাধীনতার গ্যারান্টি দেওয়া থাকে।
১৯৬৮ সালের পর ১৯৬৯ সাল। ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস। শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফা দিয়েছিলেন এবং পূর্ব পাকিস্তানকে সব সময় ‘বাংলাদেশ’ বলে অভিহিত করতেন। কিন্তু ৬৯ এ এসে ছাত্রলীগ বিশেষ করে এর তাত্ত্বিক নেতা সিরাজুল আলম খান কতগুলি নতুন শ্লোগান উদ্ভাবন করেন। এসব শ্লোগানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ‘তুমি কে আমি কে / বাঙ্গালী বাঙ্গালী’, ‘তোমার আমার ঠিকানা / পদ্মা-মেঘনা-যমুনা’, ‘বীর বাঙ্গালী অস্ত্র ধর / বাংলাদেশ স্বাধীন কর’ ইত্যাদি। এই জায়গায় এসে পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসন সম্পূর্ণ নতুন রূপ ধারণ করে। আর সেটা হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
পরের ইতিহাস খুব সংক্ষিপ্ত, কিন্তু পূর্ব বাংলার ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর থেকে ১৭ জানুয়ারি সারা পাকিস্তানভিত্তিক সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এখানে সবচেয়ে অবাক ব্যাপার হলো এই যে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান কায়েম হলেও পরবর্তী ২৩ বছরে সারা পাকিস্তানভিত্তিক কোনো সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় জেনারেল ইয়াহিয়া খানের সামরিক শাসন আমলে। সামরিক সরকার নির্দেশিত লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক অর্ডারের ভিত্তিতে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক অর্ডার সংক্ষেপে এলএফও নামে পরিচিত। এর পরের ইতিহাস সকলেই জানেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন দেশ হিসাবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়। ভাষা আন্দোলন শুরু করেছিল তমদ্দুন মজলিস নামের একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন। কিন্তু ৫০ সালের পরই আন্দোলনটি তমদ্দুন মজলিসের হাতছাড়া হয়ে যায় এবং অন্যদের হাতে পড়ে। তমদ্দুন মজলিস তো শুধু বাংলা ভাষার কথাই চিন্তা করেছিল। তাদের মাথায় তৎকালীন পূর্ব বাংলার স্বাধীনতার কথা আসেনি।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত অনেকেই বলেন যে ভাষা আন্দোলন তথা ২১ ফেব্রুয়ারি ছিলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূতিকাগার। সেই সূতিকাগার থেকে ধাপে ধাপে আন্দোলন করে অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা। তবে তমদ্দুন মজলিসের যারা ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটান তাদের কয়েকজনকে ব্যক্তিগতভাবে আমি জানি। এদের মধ্যে রয়েছেন মরহুম অধ্যক্ষ আবুল কাসেম, মরহুম অধ্যাপক শাহেদ আলী, মরহুম অধ্যাপক ও নাট্যকার আসকার ইবনে সাইখ, অধ্যাপক আবদুল গফুর সহ আরো অনেককে। এরা বলেন, তারা কিন্তু পূর্ব বাংলাকে স্বাধীন করা হবে, সেই চিন্তা করে ভাষা আন্দোলন করেননি। আওয়ামী লীগ বলছে বাংলাদেশকে স্বাধীন করার কথা মাথায় রেখেই ভাষা আন্দোলন বেগবান হয়। কারা সঠিক সেটি প্রমাণ করবে আগামী দিনের ইতিহাস।
যেটাই হোক না কেন, বাংলা রাষ্ট্রভাষা হয়েছে এবং বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু ২১ মানে মাথা নত করা নয়। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর আমরা দেখছি ভয়াবহ নৈতিক অবক্ষয়, ভয়ঙ্কর ভারতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসন, নৈতিক মূল্যবোধের ভয়াল অবক্ষয়, আধিপত্যবাদের আগ্রাসী প্রভাব, গণতন্ত্রের পরিধি সংকুচিত হওয়া এবং সমাজের দুইটি শ্রেণীর মাঝে প্রবল ধন বৈষম্য। আজ ২১-এর চেতনাকে যদি সত্যিকার অর্থে ধারণ করতে হয় তাহলে এসব অবক্ষয়, আগ্রাসন এবং সংকোচনের বিরুদ্ধে প্রবলভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।
journalist15@gmail.com
মন্তব্য করুন