রাজধানীর শ্যামপুরে পানির ট্যাংক থেকে উদ্ধার লাশটি শিশু নিহাদ ইসলামের (৩)। গতকাল শিশুটির কোমরে বাঁধা চাবি ও ঝুনঝুনি দেখে স্বজনেরা তাকে শনাক্ত করেন। শিশুটি ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিল।
শ্যামপুর থানার এসআই মাহবুবুর রহমান বলেন, শিশুটি মা-বাবার সঙ্গে গাজীপুরের গাছায় থাকত। তাকে অপহরণ করা হয়েছে জানিয়ে গাছা থানায় আগেই মামলা করেছিলেন শিশুটির বাবা। সন্দেহভাজন অপহরণকারী হিসেবে কারও নাম তিনি মামলার এজাহারে উল্লেখ করেননি।
এর আগে গত মঙ্গলবার শ্যামপুরের একটি তিনতলা বাসার ছাদে থাকা পানির ট্যাংক থেকে শিশুর লাশ উদ্ধারের খবর জানায় পুলিশ। গতকাল সকালে নিহাদের বাবা হানিফ আলীসহ অন্যরা শ্যামপুর থানায় আসেন। শিশুটির লাশ পচে যাওয়ায় তার চেহারা চেনা যাচ্ছিল না। অভিভাবকেরা তার কোমরে দড়ি দিয়ে বাঁধা চাবি ও ঝুনঝুনি দেখে নিশ্চিত হন লাশটি নিহাদের।
নিহাদের বাবা হানিফ আলী বলেন, গত ২০ ফেব্রæয়ারি মা নার্গিস বেগম নিহাদকে তার কর্মস্থল সততা মিনি সুয়েটার ফ্যাক্টরিতে নিয়ে যান। খেলতে খেলতে একসময় সে ফটকের বাইরে চলে যায়। সে সময় মুখোশ পরা এক ব্যক্তি তাকে ধরে নিয়ে যায়। প্রতিষ্ঠানটির সিসি ক্যামেরায় এমন একটি ফুটেজ পেয়েছেন তারা। নিহাদকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে পরে তারা গাছা থানায় অপহরণ মামলা করেন।
এদিকে, গতকাল বিকেলে হানিফ আলী তার স্বজনদের নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে আসেন। তাদের গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার বেংহাড়ী। গাজীপুরের গাছা উপজেলার উত্তর খাইলকুর গ্রামে থাকেন তারা। নিহাদ ছিল মা-বাবার একমাত্র সন্তান। মা-বাবা দুজনই পোশাককর্মী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন