বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

মসজিদ দখল পায়তারা নিয়ে যা বললেন মেয়র আইভী

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:৩০ পিএম

প্রাচীন মসজিদ দখল পায়তারার অভিযোগ সম্পর্কে মেয়র আইভী গণমাধ্যমকে বলেন, এ অভিযোগে তিনি হতবাক। তার বিরুদ্ধে এটি আরও একটি নোংরা রাজনৈতিক কুটকৌশল বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, এ অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ ধরনের কোন পরিকল্পনা নেই নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের। অভিযোগটি ডাহা মিথ্যা। তিনি বলেন, ইসলামী ফাউন্ডেশন প্রথমে নবীগঞ্জ খেয়াঘাট সংলগ্ন মডেল মসজিদ করার জন্য বোরিং শুরু করে।
খবর পেয়ে আমরা কিশের জন্য নদী তীরে কারা কাজ করছে জানতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে পাঠাই। তারা আমাকে স্পটে গিয়ে জানান প্রধানমন্ত্রীর অনুদানে মডেল মসজিদ নির্মার্ণের জন্য সয়েল টেস্টের কাজ চলছে। এসময় আমি ফোনে কথা বলি এবং ইসলামী ফাউন্ডেশন কতৃপক্ষকে জানাই। ভবিষ্যতে এ অঞ্চলে একটি সেতু নির্মাণ হবে। সেতু নির্মাণ হলে মসজিদ তখন ভেঙ্গে ফেলতে হবে।
আপনারা এখানে মসজিদ না করে শহরে আপনাদের ওয়াকফ সম্পত্তিতেই করতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীর অনুদানে নির্মিত মডেল মসজিদটি তাহলে আর ভাঙ্গতে হবে না। বিষয়টি তারা অনুধাবন করে তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন।
২০১৭ সালে মন্ডলপাড়া মসজিদের ওয়াকফ সম্পত্তিতে নির্মাণের জন্য সভা করে ইসমলামী ফাউন্ডেশন এই মসজিদ কমিটির সঙ্গে। কয়েকদফায় বৈঠক শেষে উভয়পক্ষের সম্মতিতে এখানে মডেল মসজিদ নির্মাণের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
সম্প্রতি এটি কাজ শুরু করা হয়। এসময় সিটি কর্পোরেশনের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়। বলা হয় পুকুরটি ভরাট করতে তার তীরে গড়ে উঠা দোকানপাটগুলো সরিয়ে দিতে। তাদের কাজের সহযোগিতায় সিটি কর্পোরেশন সেটি পরিস্কার করে দেয়। ওখানেই আমাদের কাজ শেষ। এখানে সিটি কর্পোরেশন বানিজ্যক ভিত্তি মার্কেট করার পায়তারা করছে বলে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে সেখানে আমাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই।
কোন ওয়াকফ সম্পত্তিতে সিটি কর্পোরেশনের যাওয়ার প্রশ্নই উঠেনা বলে তিনি জানান। তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, পুকুরের পাড়ে যে দোকানপাটগুলো ছিল তা মসজিদ উন্নয়নে কোন কাজে আসত না। এটি ব্যক্তিগতভাবে ভাড়া তোলা হয়। একেক জন ভাগবাটোয়ারা করে ভাড়া আদায় করেন।
তিনি নাম উল্লেখ করে বলেন, এ দোকানগুলোর ভাড়া তোলেন, তারা হলেন, আবুল কালাম, ভাড়া ৬হাজার টাকা, শেখ আবুল হোসেন, ভাড়া নেনন ৩হাজার টাকা, শাহনেওয়াজ ভাড়া নেন ৪ হাজার টাকা, আয়েশা আক্তার, খাদিজা আক্তার ভাড়া নেন ২ হাজার টাকা, সাদাত সাদিক, আবেদা খন্দকার ভাড়া নেন ১হাজার টাকা, লাঈম খন্দকার ভাড়া নেন, ১হাজার ৪শত টাকা। প্রতি মাসে তাড়া ভাড়া নিয়ে সংসার চালান। এছাড়াও যিনি মোতাওয়াল্লী তারা এই জমি দান করেন নাই। কিংবা তার পূর্ব পুরুষেরাও এ জমি দান করেননি। তাহলে তা সে কিভাবে মোতওয়াল্লী হয়ে আছে?

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন