বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের অপূর্ব ভান্ডার হিসেবে খ্যাত মিরাতের আজমানের নয়া সানাইয়ায় বাংলাদেশি মার্কেট (বাঙালি মার্কেট)। আমিরাতের যে কোন প্রান্ত থেকেই এক বাক্যে সবাই চেনেন এ মার্কেটটি। ব্যাপকভাবে সুনাম বাড়ানোর পাশাপাশি রয়েছে এ মার্কেটটির সুখ্যাতিও। মূল মার্কেটসহ এর আশপাশে রয়েছে ৪ শতাধিক বাংলাদেশি দোকান। প্রতিযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক বাজারের মান অনুযায়ী এ মার্কেটের প্রতিটি দোকানে রয়েছে বাংলাদেশের তৈরি মানসম্পন্ন রুচিশীল নিপুণ কর্মশৈলী হরেক রকম পোশাকের অপূর্ব সমাহার। ব্যাপক চাহিদা থাকায় আমিরাতের স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের তৈরি এসব পোশাক কিনতে আসেন এখানে। প্রতিদিন এ মার্কেটে খুচরা ও পাইকারিভাবে বেচাকেনা হয় লাখ লাখ দিরহামের। তবে করোনাকালীন এ সময়ে বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীরা ব্যাপকভাবে আসতে না পারায় এ মার্কেটে ব্যবসায় কিছুটা মন্দা যাচ্ছে। তারপরও মন্দা কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে এবং জনপ্রিয় মার্কেটের সুনাম অব্যাহত রাখতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান এখানকার ব্যবসায়ীরা।

তবে এখানকার ব্যবসায়ীরা ইনকিলাবকে জানান, বাংলাদেশে এসব পোশাকাদি বেশি দামে কেনার পাশাপাশি জাহাজের মাধ্যমে পোশাক ভর্তি কন্টেইনার আনতে গিয়ে দেশীয় নৌবন্দরে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাছাড়া এদেশটিতে পৌঁছা পর্যন্ত সময় বেশি লাগার পাশাপাশি মূল্যও অনেক বেশি পড়ে যায়। এতে প্রতিযোগিতামূলক বাজার দর এবং সময়মতো না আসায় বাংলাদেশি পোশাক শিল্পের বাজার চাহিদা ধরে রাখতে গিয়ে কম দামে বিক্রি করায় লোকশান গুণতে হচ্ছে তাদের। প্রবাসী ব্যবসায়ীরা বলেছেন, সরকারের সুষ্ঠু ও সহজ ব্যবস্থাপনা এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার পাশাপাশি পোশাকের মূল্য, পরিবহন ভাড়া ও শুল্ক কমিয়ে ক্রেতা চাহিদা অনুযায়ী এদেশটিতে বাজারজাত করার ব্যবস্থা বা সুযোগ তৈরি করে দিলে আরব আমিরাতে আরো ব্যাপকভাবে স¤প্রসারিত হবে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বাজার।