র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিটি ভাষণই ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের গ্রন্থতত্তে¡ অন্তর্ভুক্ত হওয়ার মতো। গতকাল কুর্মিটোলায় র্যাব সদরদফতরে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ও বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের চ‚ড়ান্ত সুপারিশ প্রাপ্তিতে দেশব্যাপী আনন্দ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। র্যাব ডিজি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯ মিনিটে যে ভাষণটি দিয়েছিলেন তা ছিল বাংলার প্রতিটি মানুষের মনের কথা। বাংলার লাখো-কোটি মানুষ সেদিনের রেসকোর্স ময়দানে সমবেত হয়েছিল তাদের মহান নেতার এই ভাষণ শোনার জন্য, দিক নির্দেশনা নেওয়ার জন্য।
র্যাব ডিজি বলেন, উন্নয়নের মহাসড়ক থেকে বাংলাদেশ এরইমধ্যে এলডিসি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে। ২০৩০ সালে এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হবে বাংলাদেশ। ২০৪০ সালে আমাদের দেশ উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। তিনি বলেন, এরইমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের মধ্যে একটি আর্থিক স্বচ্ছলতা এসেছে। এই স্বচ্ছলতা দিন দিন বাড়ছে। আগামী বিশ্বে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে পরিচিত লাভ করবে এবং গর্বের সঙ্গে বলব যে, আমরা বাংলাদেশের নাগরিক।
আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন, বাংলাদেশ খুব দ্রুত একটি স্বনির্ভর দেশ হিসেবে, উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে। সে সময় এজন্য সবাইকে আত্মনিয়োগ করার আহবান জানিয়েছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের পরপর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের অস্ত্র সমর্পণ করেছেন। তার একক আহবানে দেশের মানুষ উন্নয়নে একত্রিত হয়ে কাজ শুরু করে, ঠিক তখনই একটি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্র বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে গিয়েছিলেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়ে মর্যাদা অর্জন করেছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার করা হয়। এরপর বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্তিতে তৈরি ডকুমেন্টারি দেখানো হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন