রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে নিয়মিত। এর আগে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন একজন সাংবাদিক। এবার নিহত হয়েছে যুবলীগের এক কর্মী।
জানা যায়, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা চত্বরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে একজন নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও ১৩ জন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে বসুরহাটের নবনির্বাচিত পৌরমেয়র কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মির্জা কাদের ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন।
নিহত মো. আলাউদ্দিন যুবলীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। মিজানুর রহমান বাদল তাকে নিজের কর্মী দাবি করলেও অতীতে তাকে কাদের মির্জার সঙ্গেই দেখা গেছে।
এমন পরিস্থিতিতে বসুরহাট পৌর এলাকায় বুধবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছেন কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও জিয়াউল হক মীর।
গোলাগুলির সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই মেয়র মির্জা কাদের পৌরসভা কার্যালয়েই অবস্থান করছিলেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মির্জা কাদের ও মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দফায় দফায় সংঘর্ষের পর পৌর চত্বরে এ ঘটনা ঘটল।
এই দুই পক্ষের সংঘর্ষেই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজ্জাকির। সে ঘটনার তিন সপ্তাহ পার না হতেই রক্তাক্ত হলো বসুরহাট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন