শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সোনালি আসর

হোসেন মাহমুদরে ছড়া

প্রকাশের সময় : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

শরতের দিন

পুব আকাশের আঙ্গিনায় ঐ মুঠো মুঠো সোনা রং
ছড়িয়ে পড়ছে প্রতি ক্ষণে ক্ষণে অনিবার অফুরান
রাত কেটে গেছে একটি নতুন সকাল উঠেছে হেসে
গাছের পাতায় বাতাসের দোল এলো শরতের দিন।

বাদলের ঋতু বিদায় নিয়েছে আকাশ এখন নীল
সাদা সাদা মেঘ দল বেঁধে সব সুদূরে জমায় পাড়ি
খাল বিল নদী হাওরের বুকে পানি করে টলমল
চারদিক করে রূপে ঝলমল মোহন মায়ার ছবি।

শান্ত প্রকৃতি মুখে হাসি নিয়ে গায় শরতের গান
বিলেঝিলে ফোটা শাপলা শালুক ছড়ায় মধুর হাসি
ঘন সবুজের আলপনা আঁকে প্রকৃতি নিপুণ হাতে
চির মনোরম নয়নাভিরাম আমার বাংলাদেশ।

 

পূর্ণিমা চাঁদ

আকাশে উঠেছে পূর্ণিমা চাঁদ রুপোলি মিহিন আলো
দূরে সরে গেছে আঁধারের বুকে জমে থাকা সব কালো
ঝিরঝির বহে দখিনা বাতাসে গাছের পাতারা দোলে
সুনসান রাতে শিশুরা অঘোরে ঘুমায় মায়ের কোলে।
প্রহর গড়ায় চাঁদ উঠে আসে মাঝ আকাশের গায়
অভিসারে চলে পরীকন্যারা রূপ যেন ঝলসায়।

বাগানে বাগানে ফলের কুঁড়িরা ফোটার প্রহর গোনে
রূপের মাধুরী সুবাস ছড়াতে স্বপ্নের জাল বোনে।
নীরবতা ভেঙ্গে ডেকে ওঠে কোন একা রাত জাগা পাখি
অনিমেষ চোখে চেয়ে থাকে দূরে নিঝুম তারার আঁখি।
নিশুতি রাতের মায়াবী আঁচলে পৃথিবী ঘুমিয়ে রয়
সময়ের নদী নীরব নিভাঁজ আপন গতিতে বয়।

এপার ওপার

ওই পারেতে তারা থাকে এই পারেতে এরা
মধ্যখানে দাঁড়িয়ে আছে কাঁটাতারের বেড়া
চোখের দেখা হয় যদিও যায় না হাতে ছোঁয়া
বুকের মধ্যে পাড় ভাঙছে জলাঙ্গী করতোয়া
এই বেড়াটা কে দিয়েছে সেইতো দিয়েছে
যার মনেতে হিংসা ভীষণ জন্ম নিয়েছে
কাঁটাতারের এই বেড়াটা বাড়ায় ব্যবধান
মানুষ এবং মানবতার চরম অপমান
হয় না যাওয়া হয় না আসা স্বজনরা দু’পারে
দুঃখব্যথা মনের ভেতর ক্রমেই শুধু বাড়ে
মানুষ কি আর পাখির মত উড়ে যেতে পারে
কাঁটাতারের বেড়ায় যে তাই দুঃখ শুধু বাড়ে।

আমের ভিতর পোকা
নাসিমা সুলতানা শফি

আমের ভিতর পোকা দেখে
খুকু করে কি
ঝুড়ির ভিতর আম রেখে সে
করে ছি ছি ছি।
আম খাবে না খুকু মণি
রাগ করেছে খুব
আমের পাশে বসে আছে
এক্কেবারে চুপ।
কা- দেখে বড় আপু
হাসে ফিক ফিক
ফলের রাজা আম খেলে যে
মজা পাবে ঠিক।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন