শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

‘গোলামের বাচ্চা’ বলে গালি দেওয়ায় .....

বিয়ানীবাজার (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ মার্চ, ২০২১, ৩:১০ পিএম

বিয়ানীবাজারে স্কুল পড়ুয়া তরুণী হত্যাকাণ্ডে সাথে অভিযুক্ত আসামী নাজিম উদ্দিন পাশা বুধবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। দীর্ঘ দিনের প্রেম অত:পর ব্রেকআপের ঘটনায় ক্ষুব্ধ নাজিমকে কতিথ প্রেমিকা গোলামের বাচ্চা বলে গালি দেওয়ায় প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে উঠে নাজিম। সুযোগ খুঁজতে থাকে স্কুল ছাত্রী নাজনিন আক্তারকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার। মঙ্গলবার একা বাড়ীতে নাজনিনের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে নাজিম পাশা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কৌশলে নাজনিনের ঘরে প্রবেশ করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে হত্যা করে। আদালত সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় যুবক নাজিম উদ্দিন পাশা (২১) নাজনিনকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিল্লোল রায়সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন।

নিহত তরুনী নাজমিন আক্তার বালিঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। সে বালিঙ্গা গ্রামের সামসুল হক চৌধুরীর পালিত কন্যা।
ওসি হিল্লোল রায় জানান, ঘটনার পর নাজিম পাশা খেয়াঘাটের নৌকা দিয়ে পালানোর সময় কুশিয়ারা নদীর কাকরদিয়া এলাকায় আসার পর নদীতে ঝাঁপ দেয়। উপস্থিত লোকজন ঘটনা বোঝার আগেই সাঁতার কেটে পালিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যায় কুড়ারবাজার ইউনিয়নের আঙ্গাজুর গ্রাম থেকে এলাকাবাসী নাজিম উদ্দিন পাশাকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

ওসি জানান, থানায় জিজ্ঞাসাবাদে নাজিম উদ্দিন পাশা জানায় তার সাথে নাজনিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিগত দেড় বছর আগে তা ব্রেকআপ ঘটে। এরপর থেকে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের জন্য নাজিম বারবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এরই এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটি কালে নাজিমকে নাজনিন গোলামের বাচ্চা বলে গালি দেয়। এ নিয়ে মনোকষ্টে ছিলেন ঘাতক নাজিম।

এরই মধ্যে নাজনিনের বিয়ের আলাপ শুরু হয়। পাশের বাড়ী থেকে তা নাজিম খবর পান। সব মিলিয়ে নাজিমের মনে ক্ষোভের জন্ম দেয়। মনে মনে সিদ্ধান্ত নেয় নাজনিনকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক মঙ্গলবার নাজনিনকে হত্যা করে।
হিল্লোল রায় আরো জানান, ঘটনার পর সে পালিয়ে গেলেও কুশিয়ারা নদীর কচুরীপণার মধ্যে কয়েক ঘন্টা আত্মগোপণে ছিল। পরে সন্ধ্যার সময় তার নিকট আত্মীয়ের বাড়ীতে আশ্রয় নেওয়ার সময় ভেজা কাপড়ে দেখতে পেয়ে এলাকার মানুষ তাকে আটক করেন। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন।
উল্লেখ্য মঙ্গলবার সকালে নাজিমকে গৃহস্তালি কাজ করতে দিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে সামসুল হক চৌধুরী নিজেদের নতুন বাড়ি দেখতে যান। বাড়ি একা পেয়ে নাজিম ঘরের ভেতর টিভি দেখতে থাকা নাজমিনের ঘাড়ে একাধিক কুপ দেয়। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু ঘটে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন