শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহিলা

কোরবানির ঈদে গৃহিণীর করণীয়

প্রকাশের সময় : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

রওশন আরা মনি

ঈদ মুসলমানদের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। ঈদুল ফিতর থেকে ঈদুল আজহার উৎসবে ব্যস্ততা যেন একটু বেশি থাকে। কারণ এই ঈদে যে যার সাধ্যমত কোরবানি দিয়ে থাকে। নারী-পুরুষ উভয়েরই দায়িত্ব বেড়ে যায়। বিশেষ করে গৃহের কাজে নারীকেই বেশি ব্যস্ত থাকতে হয়। ঘর গোছানো, রান্না করা, মাংস বণ্টন সব কাজেই নারীকে সমান দক্ষতার সাথে করতে হয়। ঈদের দিন কি কি রান্না হবে তা গৃহিণী আগে থেকে ঠিক করে রাখবেন। এ ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যরা কে কোন খাবার পছন্দ করে তার উপর প্রাধান্য দিতে পারেন। বাড়ির ছেলে সদস্যরা নামাজে যাবার আগে কিছু মিষ্টি খাবার মুখে দিয়ে যান। তাই সেমাই, জর্দা এগুলো আগে তৈরি করে রাখতে পারেন। এছাড়া নুডুলস, চটপটিও রাখতে পারেন আইটেমে।
কোরবানির কাজটি সমাধা হয়ে গেলে গৃহিণীর দায়িত্ব আরো বেড়ে যায়। এই সময় পরিবারের বড় সদস্যরা গৃহিণীকে সাহায্য করে থাকে। কোরবানির পুরো ভাগটাকে তিন ভাগে ভাগ করতে হবে। একভাগ নিজেদের জন্য, একভাগ আত্মীয়স্বজনদের এবং একভাগ গরিব-দুঃখীদের জন্য বণ্টন করতে হবে। পরিবারের বড় সদস্যদের মধ্যে যিনি বণ্টনে পারদর্শী তাকে মাংস বিলি করার দায়িত্বটা দিন। গৃহিণী এর মধ্যে কোরবানির ভাগের বেশ কিছুটা মাংস রান্নায় বসাতে পারেন। কিমা বা শিক কাবাবের জন্য কিছুটা ফ্রেস মাংস আলাদা করে রেখে বাকিটা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবেন।
যাদের ফ্রিজ আছে তারা ডিপ ফ্রিজে মাংস রেখে দিন। মাংস সামান্য ধুয়ে মোটা পলিথিনে পুরে ফ্রিজে রাখতে পারেন। কোন কোন ফ্রিজে বরফ জমে বেশি। সেই সব ফ্রিজে মাংস না ধুয়ে রাখাই ভাল।
এছাড়া বিকল্প পদ্ধতিতেও মাংস সংরক্ষণ করতে পারেন। মাংসে সব মসল্লা মিশিয়ে প্রথন দিন জাল দিন। দ্বিতীয় দিন করাইতে তেল বা চর্বি দিন, মাংসের ঝোল ঝরিয়ে তাতে ভাজুন। এভাবে কিছু দিন ভাজার পর মাংস শক্ত হয়ে যাবে। এভাবে মাংস বেশ কিছু দিন রাখা যায়।
চিকন তারে মাংসগুলো গেঁথে কড়া রোদে শুকিয়েও সংরক্ষণ করতে পারেন। অথবা মাংস হলুদ-লবণ দিয়ে সিদ্ধ করেও বেশ কিছু দিন রাখা যায়। আগে থেকে পরিকল্পনা করে রাখুন। পরবর্তীতে মাংস সংরক্ষণের সময় যে পদ্ধতি আপনার পছন্দ হয় সে পদ্ধতি অনুযায়ী মাংস সংরক্ষণ করতে পারবেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন