নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের হাফেজ ছাব্বির আহম্মেদ নামে এক মাদরাসা ছাত্রের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ১১ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে ওই শিক্ষার্থীর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। ছাব্বির হোসেন উপজেলার তারাবো পৌরসভার বরপা শান্তিনগর এলাকার জামাল হোসেনের ছেলে। নারায়ণগঞ্জ জেলা সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওয়াহিদ হোসেনের নেতৃত্বে সাব্বির হোসেনের লাশ উত্তোলন করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত বছরের নভেম্বর মাসে সাব্বির হোসেনকে তার পরিবার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার চৌধুরীপাড়ার রসুলবাগ রওজাতুল উলুম মাদরাসার হেফজখানায় ভর্তি করান। গত ১০ মার্চ সাব্বিরের ঝুলন্ত লাশ মাদরাসা ভবনের ছাদ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। মাদরাসার শিক্ষকরা পরিবারকে জানান সাব্বির আত্মহত্যা করেছে। পরে সাব্বিরকে রূপগঞ্জ উপজেলার বরপা শান্তিনগর এলাকার সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। গোসল করানোর সময় তার ঠোঁটে, মাথার ডানদিকে ও কপালসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন দেখতে পেয়ে মাদরাসায় যান তার বাবা। এসময় মাদরাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের কথাবার্তার অসংলগ্নতায় সাব্বির হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে বলে তার বাবার সন্দেহ হয়। গত ১২ মার্চ তিনি বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওইদিন রাতে অভিযান চালিয়ে মাদরাসার হেফজ বিভাগের শ্রেণি শিক্ষক ক্বারী মোহাম্মদ জোবায়ের হোসেন, শিক্ষক আজিজুল হক, সাখাওয়াত হোসেন, মাদরাসার ছাত্র ও সাব্বিরের সহপাঠী শামীম আহম্মেদ, মাহমুদুল হাসান, আবু তালহা ও আবু বক্করকে গ্রেফতার করে। তারা এখন জেল হাজতে রয়েছেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু শাহাদাৎ মোহাম্মদ শাহীন বলেন, সাব্বিরের লাশ কবর থেকে উত্তেলন করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন