মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ফুলতলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশী যুবক আব্দুল মুমিন বাপ্পার লাশ ফেরত পেলো পরিবার। নিহত বাপ্পার বাবা আবদুল রউফ লাশ ফেরত চেয়ে বিজিবির কাছে লিখিত আবেদন করেন। লাশ ফেরত না পাওয়ায় গতকাল সোমবার দুপুরে পূর্ব বটুলী গ্রামবাসী ফুলতলা বিজিবি ক্যাম্প ঘেরাও করা হয়েছিলো।
গত রোববার দুপুরে ভারত সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে লাশ ফেরত নিতে বিজিবিকে চিঠি দেয় বিএসএফ। তখন বিজিবি লাশ নেয়ার বিষয়টি পরে বিএসএফকে জানাবেন বলে পতাকা বৈঠকের সমাপ্তি করে চলে আসেন।
গতকাল দুপুরে নিহত বাংলাদেশী যুবক বাপ্পার লাশ নিয়ে বিএসএফ সীমান্তে অপেক্ষা করে। পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসী সীমান্তের জিরোপয়েন্ট এলাকায় বিএসএফ লাশ ফেরত দেয়ার বিষয়টি দেখতে পান। এর পরও বিজিবি লাশ ফেরতে কোন উদ্যেগ না নেয়ায় গ্রামবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে ঘেরাও করে বিজিবি ক্যাম্প।
গতকাল সোমবার বিকেলে নিহতের ৪ দিনের মাথায় বিজিবির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে ভারতীয় বাহিনী লাশ হস্তান্তরে বাধ্য হয়। সীমান্ত সূত্র জানায়, বাপ্পাকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। তার বুকের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হওয়ায় বিএসএফ এ নিয়ে প্রতিবাদের মুখে পড়বে এই আশঙ্কায় লাশ গুম করে রাখে। পরে বিজিবির শক্ত অবস্থানের পর সোমবার বিকেলে লাশ হস্তান্তর করতে বাধ্য হয় বিএসএফ।
এ প্রসঙ্গে জানতে বিজিবি-৫২’র কমান্ডিং অফিসার লে. কর্ণেল মো. শাহ আলম সিদ্দিকি’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সোমবার বিএসএফ বাপ্পার লাশ হস্তান্তর করেছে। তার বুকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত হয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন