রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

দক্ষিণাঞ্চলে ১২শ’ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ

নাছিম উল আলম : | প্রকাশের সময় : ২৫ মার্চ, ২০২১, ১২:০০ এএম

চলতি অর্থবছরে দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলায় প্রায় ৭৩০ কোটি টাকা ঋণ ও এসএমই ও কৃষিভিত্তিক শিল্প প্রকল্পে আরো প্রায় ৮০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে কৃষি ব্যাংক। এছাড়া কোভিড-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ৪% সুদে সরকারের প্রনোদণা কর্মসূচি ও মুজিব জন্মশতবর্ষ ঋণ কার্যক্রমের আওতায় প্রায় ৪৪৫ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে। ব্যাংকটি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতেও প্রায় ৯০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে। কৃষি ব্যাংক প্রথমবারের মত বরিশালে অনলাইনে কৃষি ঋণ আবেদনপত্র গ্রহণ শুরু করেছে। ফলে কোন দালাল বা মধ্য সত্ত¡ভোগী ছাড়াই যেকোন কৃষক ঋণ গ্রহণ করতে পারছেন। এ লক্ষ্যে বরিশাল জেলার ৮৫টি ইউনিয়ন পরিষদে স্থাপিত ডাটা সেন্টারের কর্মীদের প্রশিক্ষণও প্রদান করেছে ব্যাংকটি। ফলে কৃষকরা স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদ অফিসের ডাটা সেন্টারে গিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র ও জমির খতিয়ান দিয়ে কোন ধরনের বিড়ম্বনা ছাড়াই অনলাইনে কৃষি ঋণের আবেদন করতে পারছেন। গত ২০ মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকটি দক্ষিণাঞ্চলের ৪২টি উপজেলায় তার ১০৯টি পল্লী শাখা ও ২০টি আরবান শাখার মাধ্যমে প্রায় ৭৩০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে। যা লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৬০%। পাশাপাশি ব্যাংকটির লোকসানি শাখার সংখ্যা গত অর্থবছরের জুনের ৬৪ থেকে ৫৫-তে হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে। চলতি অর্র্থবছর শেষে লাভজনক শাখার সংখ্যা ৮০-তে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ করছেন কর্তৃপক্ষ।
ব্যাংকটির বকেয়া ঋণ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বিগত অর্থবছরের ৬৮৭.৩৮ কোটি থেকে চলতি অর্থবছরে ৬৯২.৫৪ কোটিতে উন্নীত করা হয়েছে। গত ২০ মার্চ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৭৫% বা সাড়ে ৪শ’ কোটি টাকা আদায় সম্ভব হয়েছে বলেও জানা গেছে। গত বছর একই সময়ে আদায়ের পরিমাণ ছিল ৪২৯ কোটি টাকা বা লক্ষ্যমাত্রার ৬২%। চলতি অর্থবছরে এ পর্যন্ত বরিশাল বিভাগে নতুন প্রায় ৪৮ হাজার গ্রহীতাকে ঋণ প্রদান করায় ব্যাংকটির মোট ঋণ গ্রহীতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ লাখ ৬০ হাজারের মত। দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাংকটির আমানত স্থিতি বর্তমানে প্রায় ১৮শ’ কোটি টাকা।
দক্ষিণাঞ্চলে কৃষি ব্যাংক সাম্প্রতিককালে বৈদেশিক রেমিট্যান্স আয় বৃদ্ধি করতেও সক্ষম হয়েছে। চলতি অর্থবছরের ১৫ মার্চ পর্যন্ত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশে কর্মরতরা প্রায় ১১৪ কোটি টাকা প্রেরণ করেছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া ত্রৈমাসিক মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয় প্রকল্প, ডবল প্রফিট স্কিম, মিলিনিয়াম স্কিম, মাসিক ডিপোজিট স্কিম, লাখপতি স্কিম ও মাসিক মুনাফা স্কিমের প্রায় ১৪ হাজার নতুন হিসেব চালু করতে সক্ষম হয়েছে।
তবে লোকবলের অভাবে পল্লী এলাকার বেশিরভাগ শাখার কার্যক্রমই ব্যাহত হচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলার ৪২টি উপজেলার ১২৯টি শাখাসহ বিভাগীয় ও আঞ্চলিক অফিসের জন্য মঞ্জুরিকৃত প্রায় সাড়ে ১৬শ’ জনবলের মধ্যে কর্মরত আছেন মাত্র সাড়ে ৯শ’র মত।
সার্বিক বিষয় নিয়ে ব্যাংকটির বরিশাল বিভাগীয় জিএম মোহম্মদ সালাহ উদ্দীন রাজিব জানান, আমরা চেষ্টা করছি কৃষি ব্যাংককে জনগণের আরো কাছে নিয়ে যেতে। কৃষকদের হয়রানি মুক্ত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে কৃষি ব্যাংকের প্রতিটি শাখায় যে কেউ অভিযোগ করতে পারেন। যে কোন অভিযোগের তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানান তিনি।
জনবল সঙ্কটের বিষয়টি সদর দফতর অবগত আছে জানিয়ে পরিস্থিতি উন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন