পুলিশের সাথে সংঘর্ষে চার হেফাজত কর্মী নিহতের ঘটনায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী-খাগড়াছড়ি সড়কে যান চলাচল এখনো বন্ধ রয়েছে। শনিবারও সড়কে মাদ্রাসার ছাত্ররা অবস্থান করছে। সড়কের ওপর থাকা বাঁশের ব্যারিকেড সরানো হয়নি। এতে দুর্ভোগে পড়েছে ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা নাজিরহাট, খাগড়াছড়ি ও রামগড়ের যাত্রীরা। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায় গতকাল শুক্রবার বেলা আড়াইটা থেকে বন্ধ রয়েছে সড়কটি।
হাটহাজারী বাজারের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অতিরিক্ত আড়াই শ র্যাব, পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া বিজিবির ১০০ সদস্য মোতায়েন রয়েছেন।
হাটহাজারী থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) কবির উদ্দিন বলেন, যান চলাচল এখনো স্বাভাবিক হয়নি।
জানা গেছে নিহত চার জনের লাশ হাটহাজারী মাদরাসায় নেওয়া হবে। হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী জানান, তারা লাশের অপেক্ষায় চমেক হাসপাতালের মর্গের সামনে রয়েছেন। প্রশাসন লাশ বুঝিয়ে দিলে হাটহাজারীতে নেওয়া হবে। সেখানে তাদের নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে।
নিহতরা হলেন-রবিউল ইসলাম, মেহরাজ হোসেন, জামিল উদ্দিন ও মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। নিহতদের মধ্যে আবদুল্লাহ ছাড়া বাকি তিনজন হাটহাজারী মাদসার ছাত্র বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের মধ্যে রবিউলের বাড়ি কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ, মেহরাজের বাড়ি মাদারীপুর এবং জামিলের বাড়ি হাটহাজারী এলাকায়। আবদুল্লাহ হাটহাজারীর একটি দর্জির দোকানের কর্মচারী বলে জানা গেছে।
অন্য আহতদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায় তিনিও মুসল্লি হিসাবে মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। চমেক হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ আরো চারজনকে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন