স্বাধীনতা দিবসের দিনে ঢাকা ও চট্টগ্রামে নিরীহ মানুষকে হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর মালিবাগ থেকে এ বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে কর্ণফুলী গার্ডেন সিটির সামনে গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে তাদের কর্মসূচি সমাপ্ত করা হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। এসময় সমাবেশে যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুইয়া জুয়েল, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা খন্দকার এনামুল হক এনাম, সাজিদ হাসান বাবু, শাহনেওয়াজসহ তিনি শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে একই ঘটনার প্রতিবাদে দুপুর ১২টায় ছাত্রদলের একটি বিক্ষোভ মিছিলটি রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে থেকে শুরু হয়ে এলিফ্যান্ট রোডে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা। মিছিলকারীরা নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে এবং সরকারের পদত্যাগ দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। মিছিলটি সাইন্সল্যাব মোড়ে এসে পৌঁছলে সেখানে ৮-১০ টি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সহ-সভাপতি জাকিরুল ইসলাম জাকির, মোক্তাদির হোসেন তরু, ঢাকা মহানগর পশ্চিমের সাধারণ সম্পাদক সাফায়েত রাব্বি আরাফাত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আকতার এবং সদস্য সচিব আমান উল্লাহ প্রমুখ।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে যুবদল দুপুরের পরে নগরীর হাসপাতাল রোড এলাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত সেখানে পৌছার আগেই মিছিল সমাপ্ত করে যুবদল কর্মীরা।
বগুড়া ব্যুরো জানায়, বিক্ষোভ করেছে বগুড়া জেলা যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। বিকেলে বিক্ষোভকারীরা বগুড়া শহরের জলেশ^রীতলা এলাকায় জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সংসদ সদস্য জিএম সিরাজের বাড়ির সামনে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়। এরপর সরকার বিরোধি বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে মিছিল করে শেরপুর সড়ক হয়ে সুত্রাপুর মফিজ পাগলার মোড়ে ইসলামী হাসপাতার মোড়ে জমায়েত হয় । জমায়েতে বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা যুবদলের আহবায়ক খাদেমুল ইমলাম খাদেম , ছাত্রদলের জেলা সভাপতি ও স্ব্চ্ছোসেবক দলের সভাপতি মাজেদুর রহমান জুয়েল প্রমুখ ।
টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা জানান, টাঙ্গাইলে পুলিশের বাধার মুখে পূর্ব নির্ধারিত জেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের সম্মিলিত কর্মসূচি মিছিল সমাবেশ করতে পারেনি। গতকাল দুপুরে তারা স্থান পরিবর্তন করে মিছিল বের করলে পুলিশ সেখানেও বাধা প্রদান করে এবং ব্যানার ছিনিয়ে নেয়। এসময় পুলিশের সাথে নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে তাদের ধাওয়া করলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়।
জেলা যুবদলের আহবায়ক আশরাফ পাহেলী বলেন, সারা দেশে দলীয় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আওয়ামী-ছাত্রলীগ দ্বারা হামলা, খুনের প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের ডাকে সম্মিলিতভাবে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি আহবান করা হয়। সকালে ভিক্টোরিয়া রোডে কর্মসূচি পালন করতে চাইলে পুলিশ সেখানে বাধা দেয়। পরে স্থান পরিবর্তন করে শহরে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড রেজিস্ট্রিপাড়া এলাকায় কর্মসূচি পালন করতে চাইলে পুলিশ সেখানেও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাঁধা দেয়। নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটা করে আহত করে এবং ব্যানার ছিনিয়ে নেয়। এসময় যুবদল নেতা কামাল হোসেন, ওলামা মোস্তফা কামাল ও ছাত্রনেতা তৌহিদুল ইসলাম বাবুকে আটক করে নিয়ে যায়। টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন বলেন, তারা পুলিশের গাড়িতে হামলার চেষ্টা করে বলে আটক করা হয়েছে। তবে কাউকে আহত করা হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন