শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

তান্ডবে তোলপাড় ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩১ মার্চ, ২০২১, ৫:০২ পিএম

চারদিকে শুধুই ধ্বংসের চিহ্ন। বাতাসে পোড়া গন্ধ। অন্যদিকে বিভিন্ন বাড়িতে কান্নার রোল। গত ৩দিনের হেফাজত ইসলামের ডাকা কর্মসূচিকে ঘিরে ভয়াবহ অরাজকতা সৃষ্টি হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। হেফাজত নেতারা জানিয়েছেন, পুলিশ ও বিজিবি’র গুলিতে এ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৫জন নিহত হয়েছে। আর পুলিশের পক্ষ থেকে ১৩জনের মৃত্যুর খবর দেয়া হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরে আসায় হেফাজত নেতারা আপত্তি জানিয়ে আসছিল। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া তান্ডব ঘটনা অনেকটাই পরিকল্পিত বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। ব্যাপক ভাংচুরের পর কেপিআইসহ সরকারী বেশ কিছু স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন, জেলা পরিষদ, পুলিশ সুপার কম্পাউন্ড, পৌরসভা, পৌর মিলনায়তন, আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, শিল্পকলা, শহর সমাজ সেবা প্রকল্প কার্যালয, সদর উপজেলা ভূমি অফিস, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আল মামুন সরকারের অফিসন, বাসভবন ও তার শ্বশুর বাড়ি, ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক বাস ভবন, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডের সদর দফতরের গাড়ি গ্যারেজ, হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি, আশুগঞ্জ টোল প্লাজার পুলিশ ক্যাম্প পুড়িয়ে দেয়া হয়। অনুসন্ধানে জানা যায়, ২৮মার্চ হরতালের পূর্বে বিকেলে শহরে জেলা আওয়ামীলীগের প্রতিবাদ সমাবেশটি বিক্ষোভের রূপ নেওয়ার পরই দ্রæত বদলে যায় পরিস্থিতি। বিক্ষোভ মিছিলটি প্রধান সড়ক টিএ রোড অতিক্রম করার সময় মিছিলের পেছনের অংশ থেকে জেলার প্রধান মাদ্রাসা জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসায় রোডে হামলা চালায় কয়েকজন। এসময় অর্ধশত ককটেলের বিষ্ফোরন ঘটে। পরক্ষনই মসজিদের মাইক থেকে ঘোষনা দেয়া হয় মসজিদ-মাদ্রাসা রক্ষার। ঘোষনার পর পর মাদ্রাসার ছাত্ররা রাস্তায় নেমে পড়ে। তাদের সাথে যোগ দেয় স্থানীয় লোকজন। রাত প্রায় ৮টায় মাদ্রাসা সড়কে বিজিবি ও পুলিশের সাথে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েকজন হতাহত হয়। পরদিন হরতাল চলাকালে সকাল থেকে পুলিশ ও বিজিবি শহরের মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে হেফাজতকর্মীদের শহরে প্রবেশ করার দৃশ্য। অদৃশ্য হয়ে যায় সড়কে শহরে অবস্থানকারী আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এসুযোগে নারকীয় তান্ডব চালানো হয়। আলোচনায় রয়েছে, জেলা বাহির হতে শিবির কর্মীরা যোগ দেয় হরতালে। শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে হাজার হাজার লোক প্রবেশ করে। এতে পুলিশ অনেকটা নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে। সদর থানা থেকে বার বার পুলিশকে মাইকে ঘোষনা করতে শোনা যায়, আপনার শান্তিপূর্ন বিক্ষোভ করুন। আামাদের কোন ক্ষতি করবেন না। থানার দিকে এগুবেন না। শুধু তাই নয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ লাইনে ৫ দফা হামলা চালিয়েছে হামলাকারীরা। জেলার অন্যতম কেপিআই প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডের সদর দফতরে ৫দফা হামলার পর বিকেল ৪টার দিকে গাড়ির গ্যারেজে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, পৌর নির্বাচনসহ গত ১০ বছরে প্রাপ্তিতা নিয়ে ক্ষমতাসীনদের মাঝে বিরোধর ঝলও ও এ হরতালে মেটানো হয়েছে। হেফাজত নেতাদের আড়ালে সরকার বিরোধী বিশেষ গোষ্টী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এ তান্ডব চালায়।

হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় ৮ মামলা দায়ের, ৮ হাজার আসামী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হেফাজতী হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় দুই থানায় আলাদা ৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় অজ্ঞাত অন্তত ৮ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ জোরেশোরে মামলা গুলোর তদন্ত কাজ শুরু করেছে। পুলিশের একটি সুত্র জানায়, ঘটনার সময় ভিডিও ফুটেজ, দেখে মোবাইলে ধারন করা চিত্র দেখে তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিসি টিভির চিত্র সংগ্রহ করা হচ্ছে। এসব দেখে তান্ডবের সময় কারা কি ভাবে ভাংচুর চালায় তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সে সাথে ঘটনার উস্কানি দাতাদের শনাক্তের কাজ চলছে। জেলা পুলিশের একটি সুত্র জানায়, ঘটনার সময়কার স্থির চিত্র গুলো গভীর ভাবে পর্যবেক্ষন চলছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরিকল্পিত ধ্বংস যজ্ঞ চালানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট মামলার মধ্যে আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজায় হামলার ঘটনায় টোল প্লাজা কর্তৃপক্ষ একটি, আশুগঞ্জ হাইওয়ে সাজেন্ট জহিরুল হক একটিসহ দুটি মামলা করেন। এসব মামলায় ১২’শ অজ্ঞাত লোকজনকে আসামি করা হয়। অন্যদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হামলা ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় গত চারদিনে ৬টি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাগুলোর মধ্যে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে দুটি মামলা, আনসার বিডিপি ক্যাম্পে হামলার ঘটনায় আনসার বাদি হয়ে ১টি মামলা, পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে ১ মামলা, এদিকে মৌলভীবাজারের পুলিশ হরতালের দিন আসামী নিয়ে যাবার সময় সুহিলপুর এলাকায় তাদের উপর হামলা করা হয় এ ঘটনায় মৌলভীবাজার থানা পুলিশ আসামী ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টায় ১টি মামলা দায়ের করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায়, এছাড়া ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রেজিস্ট্রার বাদি হয় ১টি মামলা দায়ের করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহিম ৬টি মামলা ও আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাবেদ মাহমুদ ২টি মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত আটক করা হয়েছে ১৪ জনকে।
স্বাধীনতার পরাজিত শত্রæরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী এ.কে.এম. খালিদ বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে তা বিশ^াস করা যায়না। ৭১ আর এখনকার ধ্বংসযজ্ঞ একই চরিত্রের। স্বাধীনতার পরাজিত শত্রæরাই এটি করেছে। তিনি আজ বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ শিল্পকলা একাডেমী ও সুর স¤্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণ পরিদর্শন শেষে একথা বলেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করেছি দ্রæত পুঃননির্মানের কাজ শুরু হবে পাশাপাশি দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। পরিদর্শনকালে সুর স¤্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণের সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল আলম, শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক ওসমান গণি সজীবসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, রবিবার হেফাজতের হরতাল চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিল্পকলা একাডেমী ও সুর স¤্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ভাংচুর শেষে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

প্রশাসন ও পুলিশের ভূমিকার নিষ্ক্রীয়তার অভিযোগ আনলেন সংসদ সদস্য মোকতাদির চৌধুরী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবের ঘটনার সময় প্রশাসন ও পুলিশের ভ‚‚‚মিকা নিষ্ক্রীয়ী ছিল বলে অভিযোগ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র, আ,ম, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তিনি হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। তিনি হেফাজতের তান্ডবের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি জানান। এ ছাড়া তিনি নিষ্ক্রীয়দের অভিযোগ এনে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারে কাছে দাবি জানান। তিনি আরো বলেন, যেহেতু হরতাল হেফাজত ডেকেছে এসব তান্ডবের দায় দায়িত্ব হেফাজতকে নিতে হবে। মতবিনিময়কালে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন, দিনভর হেফাজতের তান্ডবে বিক্ষুব্ধকারীরা টার্গেট করে আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ভাংচুর ও আগুনে পুড়িয়ে দেয়। তারা আমার বাড়ি ও আমার শ্বশুর বাড়িসহ আমার অফিসকে পুড়িয়ে ছাঁই করে দেয়। প্রাণ রক্ষার ভয়ে পরিবারসহ নিরাপদ জায়গায় থাকতে হয়েছে। আমার জীবনের অর্জন করা সব স্মৃতি তারা পুড়ে দিয়েছে। আমরা পুলিশ প্রশাসনকে বার বার অবহিত করলেও তারা আমাদের সাহায্যে এগিয়ে আসেনি।

বিএনপি ও জামায়াতে ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করেছে

হেফাজতে ইসলামের মতো ধর্মব্যবসায়ী দলের ওপর ভর করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। বুধবার দুপুরে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের প্রতিনিধি দল নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি। গত ২৮মার্চ হেফাজতে ইসলামের হরতাল চলাকালে সরকারি-বেসরকারি বেশ কয়েকটি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। হেফাজতকর্মীরা কয়েকজন সাংবাদিকের ওপরও হামলা চালায়। মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে আমরা বলব যারা এই ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিয়ে প্রমাণ করতে হবে যে, স্বাধীন রাষ্ট্রে এই ধরণের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করা যাবে না। ১৯৭১ সালে যেভাবে ধ্বংস করা হয়েছিল, একইভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধ্বংসাত্মক কার্যাকলাপ করা হয়েছে। এ গুলো কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। এবার আশ্বস্ত করছি, এবার আমরা একটা কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেব’। তিনি আরও বলেন, হেফাজতের যারা এখানে আছেন, তাদের কাছে তো গানপাউডার থাকার কথা না। এই গানপাউডারের ব্যবহার আমরা ১৯৭১ সালে দেখেছি। আর দেখেছি জামায়াতের বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাÐে। ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে এখন আবার নাশকতামূলক কর্মকাÐে গানপাউডারের ব্যবহার দেখে পরিস্কার হয়ে গেছে, হেফাজতের কাঁধে ভর করেছে জামায়াত এবং বিএনপি। তারাই এ সন্ত্রাসী কর্মকাÐ করেছে। দেশে তো বিএনপির সাংগঠনিকভাবে এমন কোনো তৎপরতা নেই, যেটা সরকারকে অস্থিতিশীল করতে পারে। ওদের নিজেদের সক্ষমতা নেই, ওরা এখন ধর্মব্যবসায়ী দল হেফাজত ও জামায়াতের ওপর ভর করেছে। এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহ সভাপতি মঈন উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহসম্পাদক মো. আলআমিনুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে মাহবুব উল আলম হানিফ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি- বেসরকারি স্থাপনাগুলো ঘুরে দেখেন।


ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের মানববন্ধন

হেফাজতে ইসলামের সহিংসতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব ভাংচুর এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক, প্রেসক্লাব সভাপতি ও দৈনিক জনকন্ঠের স্টাফ রিপোর্টার রিয়াজ উদ্দিন জামিসহ দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম। এতে বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সহসভাপতি আল আমিন শাহীন, সহ-সভাপতি আ, ফ, ম কাউসার এমরান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, সিনিয়র সহ-সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য্য, সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদত, সাবেক সভাপতি মোঃ আরজু প্রমূখ। এ সময় বক্তারা, এ ধরণের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দায়ীদের দ্রুত আইানের আওতায় আনার দাবী জানান। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচী দেয়া হবে বলে ঘোষনা দেন। মানববন্ধনে জেলা ছাড়াও উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন