২০১১ সালে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অর্থাৎ ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়ার পর এক দশকের ব্যবধানে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল পেল টেস্ট মর্যাদা। নিউজিল্যান্ড সিরিজে সব ম্যাচে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অপ্রত্যাশিত পারফরম্যান্সে ক্রিকেটপ্রেমীরা যখন চরম হতাশ ও ক্ষুব্ধ তখনই আইসিসি কর্তৃক নারী ক্রিকেট দলের টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্তির খবর আমাদের আনন্দিত করেছে। এই অনন্য অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গৌরবময় ক্রিকেট ইতিহাসে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের হালখাতা হলো। বাংলাদেশের নারীদের ঈর্ষণীয় অগ্রযাত্রার সাফল্যগাঁথায় এই অর্জন বিশেষ জায়গা দখল করবে। একইসাথে এই প্রাপ্তি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপনকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। নারী ক্রিকেটকে দিয়েছে পূর্ণতা। অসাধারণ এই প্রাপ্তি নারী খেলোয়াড়দের আরও বেশি অনুপ্রাণিত ও নিবেদিত করবে বলেই আশা করি। যার মাধ্যমে মোচন হবে বিশ্বকাপে খেলতে না পারার গভীর আক্ষেপ। তৃণমূল পর্যায়ে নারীদের ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে অসাধারণ এই অর্জন নিশ্চিতভাবেই অনুপ্রেরণার শক্তিশালী উৎস হিসেবে কাজ করবে। এখন প্রয়োজন যথাযথ পরিকল্পনা ও সুষ্ঠু তদারকি নিশ্চিত করা। ঘরোয়া ক্রিকেটের ভিত্তি মজবুত করতে পারলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রত্যাশিত সাফল্য অর্জনের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত হবে। সরকারি ও বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে পুরুষদের মতোই এগিয়ে যাবে দেশের নারী ক্রিকেট। অন্যথায়, কেবল স্বীকৃতি প্রাপ্তিতেই সীমাবদ্ধ হয়ে থাকবে অর্জনের পরিসংখ্যান। নারী ক্রিকেট দলের টেস্ট ক্রিকেটের অভিজাত ক্লাবের সদস্য হওয়ার স্বীকৃতি দেশ ও জাতির জন্য গর্ব ও অহঙ্কারের উপলক্ষ। যা প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রের মতো ক্রিকেটেও নারীদের সাহসের সাথে এগিয়ে যাওয়ার গতি বাড়াতে আজকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাই এমন যুগান্তকারী অর্জনের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সকলকে, বিশেষত নারী খেলোয়াড়দের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
আবু ফারুক
বনরুপা পাড়া, বান্দরবান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন