দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ করা; লক ডাউনে শ্রমজীবী মানুষের জন্য রেশন ব্যবস্থা চালু করা; টিসিবি’র পণ্যের মূল্য কমানো; গণপরিবহণে ৬০% ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা; বিআরটিসির গণপরিবহণের সংখ্যা বাড়ানো; দেশের সকল নাগরিকদের বিনামূল্যে টিকা ও করোনা টেস্ট নিশ্চিত করা এবং সর্বজনীন চিকিৎসনা-স্বাস্থ্য সেবা ও সকল হাসপাতালে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বাসদ। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দলের ঢাকা মহানগর শাখার সদস্য সচিব কমরেড জুলফিকার আলীর সভাপতিত্বে সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার কোন পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ না করে ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করে। আশঙ্কা করা যায় করোনা নিয়ন্ত্রণে না এলে এ সময় আরও বাড়নো হতে পারে। লকডাউনের ফলে, দেশের কোটি কোটি শ্রমজীবী গরিব মানুষ-যারা দিন এনে দিন খায় তাদের আয়রোজগার বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম আর্থিক সংকটে পড়বে। তারা আরো বলেন, টিসিবির হিসাব অনুযায়ী গত এক বছরে মোটা চালের দাম বেড়েছে ৩৭ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং পাইজাম চালের দাম বেড়েছে ২২ শতাংশ। সরকারের ‘দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি’ এখন প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ১৩৯ টাকা। দেশব্যাপী চলমান সংকটকালীন সময়ে মূল্য সমন্বয়ের নামে দাম বাড়ানোর সরকারের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক ও অগণতান্ত্রিক।
নেতৃবৃন্দ বলেন, গণপরিবহণে ৬০% ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক। তাই বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার করতে হবে। বিআরটিসির গণপরিবহণের সংখ্যা বাড়াতে হবে। দেশের সকল নাগরিকদের বিনামূল্যে টিকা ও করোনা টেস্ট নিশ্চিত করা এবং সর্বজনীন চিকিৎসা-স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে সকল হাসপাতালে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ করার দাবি জানান। নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার লকডাউন ঘোষণা করলেও জরুরি সেবা ও গার্মেন্টসসহ কারখানা চালু রাখার সমালোচনা করে বলেন, কারখানা চালু রাখতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানায় শিফটিং ডিউটি নিশ্চিত করা, শ্রমিকদেরকে ঝুঁকি ভাতা এবং করোনা আক্রান্ত হলে চিকিৎসার দায়িত্ব মালিক এবং রাষ্ট্রকে নিতে হবে।
এ সময় বক্তৃতা করেন হাবিব বুলবুল, খালেকুজ্জামান লিপন, আল কাদেরী জয়, রুখসানা আফরোজ আশা রাশেদুর রহমান প্রমূখ। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল প্রেসক্লাব-পল্টন হয়ে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। ##
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন