বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ কলেজ ২ এপ্রিল পুলিশের একজন এস আই আহত হওয়ার ১ দিন পর একই স্থানে ছুরিকাঘাতে খুন হলো ওই কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র বিশু মিয়া (৩২)।
পুলিশের ধারনা মতে রোববার (৪ এপ্রিল) রাত পৌনে ৯ টার দিকে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ ক্যাম্পাসে 'শহীদ মুন " হলের পার্শ্বে রাস্তায় খুনের ঘটনা ঘটে।নিহত বিশু মিয়া শিবগঞ্জ উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামের মৃত জাহিদুল ইসলামের ছেলে।
এর একদিন আগে এই ক্যাম্পাসেই রাত ৮টার দিকে বগুড়া জেলা পুলিশে কর্মরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলামকে ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। রবিউল বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ঘটনা প্রসঙ্গে নিহতের ছোট বোন জাহানারা জানায়, বিশু মিয়া বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে হিসাব বিজ্ঞানে মাস্টার্স পাশ করেন কয়েক বছর আগে। এরপর থেকে কলেজের অদুরে জামিল নগর এলাকায় মেসে বসবাস করে চাকরির সন্ধান করছিলেন। জাহানারা নিজেও একই কলেজ থেকে লেখা পড়া শেষ করে মন্নুজান ছাত্রী নিবাসে বসবাস করেন।
তিনি জানান, তার বড় ভাই বিশু মিয়া রোববার বিকেলে গ্রামের বাড়ি থেকে ৪ হাজার টাকা নিয়ে শহরে ফিরছিলেন। চারমাথা বাস টার্মিনালে নেমে জহুরুল নগর হয়ে পায়ে হেঁটে মেসে যাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ৮টায় ভাইকে ফোন দিলে জানান, তিনি মুন হলের সামনে দিয়ে হেঁটে জামিল নগরের দিকে যাচ্ছেন।
এর ঘন্টাকাল পরে আব্দুস সামাদ নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, কলেজ চত্বর দিয়ে হেঁটে যাওয়া কয়েক ব্যক্তি তাকে জানান কলেজ চত্বরে রাস্তার উপর অন্ধকারে এক ব্যক্তির মরদেহ পড়ে আছে। এ খবর পেয়ে তিনি কয়েকজন ব্যক্তিকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে লাশ মর্গে পাঠায়। উদ্ধারকারি পুলিশ জানায়, নিহতের একটি ব্যাগ ও প্যান্টের পকেটে ২টি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়।
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে বিশু মিয়া খুন হতে পারে।
এদিকে পরপর দুদিনের দুটি ছুরিকাঘাতে পুলিশের একজন এস আই আহত ও যুবক নিহতের ঘটনা এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন