অনলাইন জায়ান্ট অ্যামাজন সম্প্রতি লন্ডনে একটি সুপারমার্কেট চালু করেছে। নাম ‘অ্যামাজন ফ্রেশ’। সেখানে বাজার করতে যাওয়া অনেকের কাছেই এটা সুপারমার্কেট ছাড়াও সায়েন্স ফিকশনের একটি অংশ মনে হয়েছে।
মার্কেটে ঢোকার সময় ক্রেতাকে তার স্মার্টফোনে থাকা অ্যামাজন অ্যাপ দিয়ে একটি কিউআর কোড স্ক্যান করতে হয়। তারপর যা পছন্দ, তা নিয়ে বের হয়ে যাওয়া যায়। সেটি কেনার জন্য ক্রেতাকে লাইনে দাঁড়াতে হয় না। টাকা বা কার্ড বের করে পেমেন্ট করতে হয়না। কারণ স্ক্যান করে বাজারে ঢোকার পর ক্রেতা তাক থেকে যা নেবেন, সেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাপের ভার্চুয়াল কার্টে যুক্ত হয়ে যায়। ক্রেতা মার্কেট থেকে বের হওয়ার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাপ থেকে টাকা কেটে রাখা হয়।
২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ‘অ্যামাজন গো’ নামে এমন সুপারমার্কেট চালু হয়েছিল। সেদেশে এমন ২০টি স্টোর রয়েছে।
একই প্রযুক্তি চালু করে পশ্চিম লন্ডনের ইলিং এলাকায় ‘অ্যামাজন ফ্রেশ’ নামে ইউরোপের প্রথম ক্যাশিয়ারহীন সুপারমার্কেট চালু করেছে অ্যামাজন। সেখানে ক্রেতারা তাক থেকে কী তুলছেন বা নিচ্ছেন সেটা কম্পিউটার ভিশন, ডেপথ সেন্সর ও মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি নজর রাখছে। এই সুপারমার্কেট থেকে সংগ্রহ করা ক্রেতার ব্যক্তিগত তথ্য ৩০ দিন পর্যন্ত অ্যাপে সংরক্ষণ করা হবে বলে অঙ্গীকার করেছে অ্যামাজন।
অবশ্য যুক্তরাজ্যের ক্রেতা অধিকার সংগঠনগুলো অ্যামাজনের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের এই বিষয়টির সমালোচনা করছে। ওপেন রাইটস গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক জিম কিলক বলছেন, ‘আমাদের আরও তথ্য জানতে হবে এটা (অ্যাপে তথ্য সংরক্ষণের বিষয়টি) দিয়ে আসলে বাস্তবে কী বোঝায়।’ লন্ডনে সুপারমার্কেট চালুর সঙ্গে অ্যামাজন নিজ ব্র্যান্ডের কিছু পণ্যও চালু করেছে। যেমন অ্যামাজন আলুর ভর্তা, অ্যামাজন কিওরড হ্যাম, অ্যামাজন হলুদ গোলাপ ইত্যাদি।
মার্কেটে থাকা কয়েকজন ক্রেতার মনে হয়েছে তারা স্টোরে এত ক্যামেরার উপস্থিতিতে বিচলিত নন। যেমন এলিজাবেথ বেলুর বলছিলেন, ‘আমি জানি লন্ডনে আপনি যেখানেই যান, সেখানেই ক্যামেরা আছে। তাই আমি আর এ নিয়ে ভাবিনা।’ তিনি বাজার করে অবাকই হয়েছেন। বলছেন, ‘এটা দ্রুত ও সুবিধাজনক এক পন্থা। বাজারে ঢুকে ব্যাগে কিছু তুলে বের হয়ে যেতে পারেন। আপনাকে কোনো লাইনে অপেক্ষা করতে হয় না।’ সূত্র: ডয়চে ভেলে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন