ইমরান মাহমুদ
রাত তখন ৮টা। সংবাদ মাধ্যমগুলোর সুপার পিক আওয়ার বলতে যা বোঝায় সেটিই চলছে অফিসে। আমারও একই অবস্থা। পরের দিনের পত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ সংগ্রহ এবং পাতা অলংকরণের ব্যস্ততায় নাভিশ্বাস। তার উপর সকাল থেকেই ওয়ালটন-ডিআরইউ মিডিয়া কাপের খেলা ছিল। সেই উৎসবেও ভাটা পড়েছে- কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিতের ম্যাচে হেরে ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত। ঠিক ঐ সময় স্পোর্টস ইনচার্জ শামীম ভাইয়ের আদেশ ‘কক্সবাজার যেতে হবে’। অফিশিয়াল এসাইনম্যান্ট। রাত ১০টায় বাস ছাড়বে আরামবাগ থেকে। হাতে সময় নেই, নেই ব্যাগও গোছানো। বাসা থেকে আনাটাও সময়ের ব্যাপার। অগত্যা সহধর্মিণীর সাহায্যে তড়িঘড়ি তল্পিতল্পা গুছিয়ে ছোট ভাইকে দিয়ে অফিসে আনানো। তাতে কি আর কাজ বসে থাকে! এর মাঝেই চললো পাতা অলংকরণের চেষ্টা, সন্ধ্যার নাস্তাটিও অনাবৃত টেবিলে পড়ে। রাতে এত্ত লম্বা পথের যাত্রা, না খেয়ে রওয়ানা দেয়াটাও বুদ্ধিমানের কাজ হবে না বলেই মনে হলো। সময়ও দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। কোন মতে নাকে-মুখে অল্প কিছু গুঁজে, সহকর্মীদের কাছ থেকে বিদায় নিয়েই দে চম্পট।
রাত পৌনে ১০টায় আরামবাগ বাসস্ট্যান্ডে এসে পৌঁছুতেই পুরনো এক বন্ধুর সঙ্গে অনেকদিন পর দেখা। সেও একই যাত্রা পথের সঙ্গী। বাহ! ভালো তো!! উৎসবের রং লাগতে শুরু করেছে শুরু থেকেই!!! রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকার দিনকে পেছনে ফেলে যেই রাতের আঁধারে যাত্রা শুরু করেছি অমনি আরেক অনাহুত অতিথির সাক্ষাৎ- ‘হঠাৎ বৃষ্টি’। না, কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার বাসু চ্যাটার্জির বাংলা সিনেমা নয়, আদতেই শুরু হলো আকাশ ফুঁড়ে ইলশে গুঁড়ি- বৃষ্টি। মাঝে মধ্যে একটু খ্যান্ত দিলেও, কক্সবাজার পর্যন্ত পুরোটা পথই আমাদের ছায়াসঙ্গী হয়েই রইলো মাঘ মাসের বেরসিক বৃষ্টি। যাহ্! মনটাই খারাপ করে দিল। আকাশের সকল কালো মেঘ যেন তখন ভর করেছে সফরকারী প্রতিটি মুখাকাশে। যে উৎসবের খোঁজে এত্ত দূর যাওয়া, তাই বুঝি ভেস্তে যেতে বসেছে!
ক্লান্তিভরা শরীর আর অবসাদ মন নিয়ে যখন নির্ধারিত হোটেলে এসে পৌঁছেছি তখন প্রায় সকাল ৭টা। সমুদ্রের এত কাছে এসে, ঘরে বসে থাকতে কার মন চায়! কিছুটা বিশ্রাম নিয়ে এক চক্কর দেখা দিয়ে এসে বিকেলের অপেক্ষায় থাকি, যার জন্য কক্সবাজার যাওয়া। তখনও ঝিরি ঝিরি ঝরছে বৃষ্টি। মনের কোনেও জমতে শুরু করেছে ঘন কালো মেঘ। কালো মুখেই সমুদ্রতীরে ঘেরা সৌন্দর্যে ভরা শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে যখন পৌঁছেছি, তখনও ঈষান কোনে খেলা করছে মেঘের দল। তবে সময় গড়িয়ে যখনই মাঠে প্রবেশ করলো একটি গাড়ি অমনি উধাও হতে শুরু করেছে মেঘের দল। নইলে এত্ত তারা চোখে পড়বে কি করে? একে একে নেমে এলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের একসময়ের মাঠ কাঁপানো সব তারকারা। ছিলেন ১৯৯৭ আইসিসি ট্রফি জয়ের নায়ক আকরাম খান। তার হাত ধরেই বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে যাত্রা শুরু। বাংলাদেশ ওয়ানডেতে আজ বিশ্বের উদিয়মান শক্তি। অন্যদিকে দেশের হয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক টেস্টের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন নাইমুর রহমান দুর্জয়। তার হাত ধরেই ওয়ানেড পর শুরু টেস্টে টাইগারদের স্বপ্নের যাত্রা। দীর্ঘ একটা সময় ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নানা স্বপ্নের জাল বুনেছেন, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, খালেদ মেহমুদ সুজন, হাবিবুল বাশার সুমন, খালেদ মাসুদ পাইলটরা। বলা চলে তাদের হাত ধরেই বাংলাদেশের ক্রিকেট পথ এতটা স্বপ্নময় হয়েছে। ধিরে ধিরে তারা মাঠ ছেড়েছেন। এখন মাঠে-ব্যাট বল হাতে সাবেক এই ক্রিকেটাররা না থাকলেও, সেই স্বপ্নের মাশাল এখন মাশরাফি-সাকিব-তামিমদের হাতে। তাই বলে কি নতুন করে স্বপ্ন দেখতে নেই স্বপ্ন সারথীদের? পারেন! আর সেই স্বপ্ন গোটা বিশ্বময় ছড়িয়ে দেয়ার প্রত্যয়ে আবারও ‘মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভাল’ (এসসিসি) ব্যানারে ব্যাট-বল হাতে মাঠে নেমেছিলেন অকরাম-দুর্জয়রা। তবে এবার ক্রিকেটকে একতাবদ্ধ কারার স্বপ্ন দেখিয়েছেন সোনালী দিনের ক্রিকেটাররা। ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেশের যে কোন দুর্যোগে ভূমিকা রাখার অঙ্গীকার নিয়ে মাঠে গাড়ায় সাবেকদের ক্রিকেট উৎসব। ৬টি দলে ভাগ হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন তারা।
কেউ ক্রিকেট ছেড়েছেন এক দশক, কারো মাঠের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে এক যুগ। কারো কাকে ক্যারিয়ারই থমকে গেছে অনাকাক্সিক্ষত কোন ঘটনায় কাক্ষিত সময়ের আগে, বহু আগেই। তবে মনের এক কোনে জমে থাকা মাঠের প্রতি টান, আবেগ ঝেড়ে ফেলতে পারেননি এতদিনেও। বর্তমান যুগের অনেক ক্রিকেট পাগল দর্শকই বঞ্চিত ‘আসল’ ক্রিকেট পাগল মানুষগুলোর আলো ঝলমলে ব্যাটে-বলের লড়াই থেকে। যারা আজ নিজেকে বাঘ আর লাল-সবুজে রাঙিয়ে মাশরাফি, সাকিব কিংবা মুশফিক, মুস্তাফিজদের উৎসাহ যোগাতে মাঠ মাতিয়ে রাখেন, তারাও কি জানেন এর চাইতে অনেক বেশি আলোড়িত ছিল একসময় বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট তাদের কল্যাণে? সেই মুখগুলোই সাগর কন্যা কক্সবাজার মাতিয়ে মিরপুরে এসে পেয়েছেন চ্যাম্পিয়নের দেখা। প্রথম মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভালের শিরোপা জিতেছে হাবিবুল বাশারের দল জেমকন খুলনা।
অবসরের পর অনেকে ক্রিকেটের সাথে নিজেদের যুক্ত রাখতে পারলেও, সংখ্যাগরিস্টেরই হয়নি এমন সৌভাগ্য। কেউ ব্যাট ছেড়ে হয়েছেন পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী, কেউবা আবার ৯টা-৫টা অফিস করা চুকুরে। অনেকে আবার জীবিকার তাগিদে পরিবার পরিজন নিয়ে পাড়ি জমিয়েছেন পরদেশে। তবে সকলের মনে আজও মাঠে নামার ব্যাকুলতা স্পষ্ট। তাদের সেই আকুলতার কাছেই মূলত হার মেনেছে বেয়াড়া বৃষ্টি। প্রতিদিন তাদের মাঠে নামার আগ্রহ দেখে মুগ্ধ স্টেডিয়ামে আসা কিছুসংখ্যক দর্শকরাও। বল বাউন্ডারি পেরিয়ে যাওয়ার উচ্ছ্বাস অথবা উইকেট হারানোর বেদনায় হতাশ মুখগুলোর সাথে সাথে ‘চার-ছক্কায় হৈ হৈ, বল গড়াইয়া গেল কৈ’, কিংবা ‘ক্যারিবিয়ান ডোয়াইন ব্রাভোর ‘চ্যাম্পিয়ন, হো চ্যাম্পিয়ন’ গানের তালে তাদের নাচ আজও মনে করিয়ে দেয় তখনকার মাঠের উত্তেজনা। স্লেজিং আজও যেমস আছে, তখনও যে ছিল সেটিও স্মরণ করিয়ে দিলেন প্রতিটি ‘ভদ্র’ ক্রিকেটারও। কেউ সুউচ্চ কন্ঠে, কেউ আবার মুখ লুকিয়ে টিটকিরি মেরে গেছেন প্রতিপক্ষের ক্রিকেটারকে। তবে ম্যাচ শেষে যে-ই জিতুক কিংবা হারুক- হাসির রেশ ছড়িয়ে পড়েছে দু’দলের মাঝেই। ম্যাচের পর জয়ের নায়ককে ঘিরে উল্লাসের চিত্রটা ঠিক যেন ভারত, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে জয়ের। এরই সাথে চলেছে কারো বাজে আউটের সমালোচনা, ছিল ভালো করার প্রসংশাও। সকলেরই একটাই ভাষ্য, ‘মাঠে থাকার মজাই অন্যরকম’।
তবে এত আনন্দের মাঝেও কারো কারো মুখ হঠাৎ ছেয়ে গেছে ঘন কালো মেঘে। পেছন ফিরে স্মৃতি হাতড়ে বের করে এনেছেন মনের কোনে জমে থাকা কিছু আক্ষেপ কিংবা না পাওয়ার বেদনা। এই যেমন ওমর খালেদ রুমির ‘যদি আরেকটু সময় পেতাম’, কিংবা প্রথম সেঞ্চুরিয়ান মেহরাব হোসেন অপির ‘একটি টেস্ট সেঞ্চুরির আক্ষেপ’ অথবা দিপু রায় চৌধুরীর ‘একটু রিকগনিশন না পাওয়ার বেদনা’।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময় ক্রিকেট খেলাটাই ছিল সংগ্রামের। সেই সময় যারা ক্রিকেট খেলেছে তাদের পরিবার চালাতেও অন্য চাকরির চিন্তা করতে হত। তাদেরই একজন ওমর খালেদ রুমি। তিনি দেশের হয়ে প্রথম আইসিসি চ্যাম্পিয়ান ট্রফিতে খেলেছেন লেগ স্পিনার হিসেবে। ব্যাট হাতেও ছিলেন তুখোর। যেমন মাঠে ব্যাট-বল নিয়ে ছুটে বেড়াতেন, তেমনি সারদিনের কান্তি নিয়ে গিটার বাজাতেন হোটেলে। মনের আনন্দের সঙ্গে হতো কিছু রোজগারও। এখন তিনি বিসিবির বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটির সদস্য। ৬০ বছর বয়সেও ছাড়তে পারেনি মাঠের মায়া। তাই মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভালে খেলার সুযোগ পেয়ে ছুটে এসেছেন। খেলার এক ফাঁকে সেই সময় ও এসময়ের ক্রিকেট নিয়ে জানালেন নিজের অনুভুরি কথা, ‘এখনকার ক্রিকেটারই ভিষন প্রফেশনাল। তাদের ক্রিকেটের বাইরে আয়-রোজগারের কথা চিন্তা করতে হয় না। কিন্তু আমাদের সময় এমনটা ছিল না। আমাদের খেলার জন্য ব্যাট ছিল না, বুটও ছিল না। এমনও হয়েছে এক ব্যাট দিয়ে তিন চারজন খেলতাম। তারপরও ক্রিকেট খেলেছি ভালবাসা থেকে। আমার একটাই দুঃখ আরও কিছু দিন খেলতে পারতাম। ১৯৮৮ সালে একবার ক্রিকেট ছেড়ে দিয়েছিলাম। ফের ১৯৯১ সালে একবার মাঠে নামি। কিন্তু পরে আর খেলা হয়নি। আমাদের সময় আমরা ক্রিকেট খেলে সংসার চালানোর কথা ভাবতেই পারতাম না। এখনতো ক্রিকেটারদের নিয়ে গর্ব করি। এই পেশাদারিত্ব ভীষণ প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য।’
তাদেরই সময়কার আরেক ক্রিকেট যোদ্ধা দিপু রায় চৌধুরী। মাস্টার্স ক্রিকেটে খেলতে পেরে ভীষণ উৎফুল্ল এই সাবেক। খেলার এক ফাঁকে জানালেন ক্রিকেট খেলে জীবনে এত কিছু পেয়েছেন তার এখন আর কিছুই চাওয়ার নেই। তবে আছে ছোট্ট একটি অক্ষেপ, ‘অনেক দিন জাতীয় দলের হয়ে ক্রিকেটর খেলেছি। আমরা প্রথম জাতীয় দলের ক্রিকেটার। আমরা প্রথম আইসিসি চ্যাম্পিয়ান ট্রফি খেলতে গিয়েছিলাম। সেই সময় আমাদের বিমান ভাড়াও ছিল না। ৬০ ওভারের সেই ম্যাচগুলো ইংল্যান্ডের পরিস্থিতিতে অনুশীলনও করতে পারিনি ঠিকভাবে। তবে দুটি ম্যাচ আমরা জিতেছিলাম। সেই সময় ক্রিকেটই বন্ধ হয় হয় অবস্থা। কিছুই ছিল না আমাদের খেলার জন্য। তবুও আমরা লড়াই করে গেছি। ভালবাসা থেকে ক্রিকেট খেলেছি। টাকা ছিল না তাও ভাবিনি, এমনকি টাকা পাব তাও ভাবিনি। কিন্তু এই প্রজন্মের কিন্তু এখন আর সেই চিন্তা নেই। অনেক দিন খেলেছি। এখন কোচ হয়েছি। আজকের অনেক ক্রিকেটারই আমার হাত ধরে এসেছে। এত কিছু পরও এখন একটাই বিষয় ভাবি আমাদের একটা ছবিও নেই প্রথম জাতীয় দলের ক্রিকেটার হিসেবে। বিসিবি কিন্তু আমাদেরকে সম্মান দিত। দেশের মানুষকে আমাদের সেই ক্রিকেট নিয়ে লড়াই গল্পটা জানতো তাহলে নতুন প্রজন্মে অনেক ক্রিকেটারই উৎসাহ পেত, ক্রিকেট খেলতে আরও আগ্রহী হত। আমরা টাকা পয়সা চাই না। চাই একটু সম্মান।’
এক সময়ের জাতীয় দলের অন্যতম তারকা মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। ক্রিকেট ছেড়েছেন অনেক দিন। এখন তিনি জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক। মাঠের সঙ্গে সম্পর্কটা বেশ অটুট রেখেছেন। তবে ব্যাট-বল হাতে খুব একটা মাঠে নামা হয় না। তাই কক্সবাজারে ক্রিকেট কার্নিভালে খেলার সুযোগ হাত ছাড়া করেননি। খেলার ফাঁকে তিনি তিনি বলেন, ‘এখানে খেলতে পেরে খুবই ভাল লাগছে। আমরা এতগুলো ক্রিকেটার এক জায়গাতে ভাবতেই অন্যরকম লাগে। জাতীয় দলে খেলেছি। অনেক কিছু পেয়েছি। তবে একটা আফসোস সারা জীবনই থেকে যাবে। আমি সম্পূর্ণ ফিট থাকার পরও টেস্ট খেলতে পরিনি জাতীয় দলের হয়ে। এটি আমাকে খুবই কষ্ট দেয়।’
আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেটারই সেঞ্চুরি করেছেন। কিন্তু এর মধ্যে জাতীয় দলের ওপেনার মেহরাব হোসেন অপির নামটি ভিন্নভাবে উচ্চারিত হয়। কারণ তিনিই প্রথম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে সেঞ্চুরি করেছিলেন জাতীয় দলের হয়ে। এরপরও এই ক্রিকেটাররের রয়েছে অরেকটি সেঞ্চুরি না করতে পারার আক্ষেপ, ‘এটা ভাবতে খুবই ভাল লাগে যে দেশের হয়ে প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিয়ান আমি। ক্রিকেট থেকে আমি যা পেয়েছি তা আমার জীবনকে বদলে দিয়েছে। ক্রিকেট ছেড়েও আমি এখন তৃপ্ত। কিন্তু এর মাঝেও একটা দুঃখ আছে আমি ৯টি টেস্ট খেলেছি। কিন্তু আমার ব্যাট থেকে কোন সেঞ্চুরি আসেনি। এখনও দুঃখ করি প্রথম না হোক যদি টেস্টে একটা সেঞ্চুরি করতে পারতাম!’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন