শরীয়তপুর সদর উপজেলার শৌলপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও মালয়েশিয়া প্রবাসী দাদন খলিফা নামে এক ব্যক্তিকে পরিকল্পিত ভাবে ধরে নিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে এসকান্দার সরদার ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। পূর্ব শত্রুতা ও আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিত ভাবে ১৫ এপ্রিল তারাবির নামাজের পরে গয়ঘর খলিফা কান্দি মসজিদের কাছ থেকে দাদনকে তুলে পার্শ্ববর্তী পাটক্ষেতে নিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে গুরুতর আহত করে তারা। আহত দাদনকে প্রথমে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় প্রেরণ করে। ঢাকা নেয়ার পথে বাবুবাজার ব্রিজের নিকট এ্যাম্বুলেন্সে ১৬ এপ্রিল ভোর সারে চারটায় দাদনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
নিহতের পিতা সেকান্দার খলিফা বলেন, দুই মাস পূর্বে এসকান্দার সরদার তার পক্ষে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন করার জন্য প্রস্তাব করে। এসকান্দার সরদারের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় পরিকল্পিত ভাবে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তারা। তিনদিন পূর্বে এসকান্দার সরদারের বাড়িতে স্থানীয় ইদ্রিস খান, শাহজাহান খান, আবুল খান, আজাহার খান, রশিদ খলিফা, আজিত খলিফাসহ শতাধিক লোকে মিটিং করে এই হত্যা কান্ডের পরিকল্পনা করে। নিহতের পিতা বিষয়টি চিকন্দী পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত পুলিশ অফিসারকে অবগত করেছেন বলেও দাবী করেছেন। ঘটনার পরে পুলিশ আসলে একাদিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে হত্যাকারীরা। এর ২৫ বছর পূর্বে এসকান্দার খলিফার বোন দিলুনুরকেও পরিকল্পিত ভাবে এই সন্ত্রাসীরাই কুপিয়ে হত্যা করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আক্তার হোসেন বলেন, ঘটনার পরপর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ইদ্রিছ খানকে প্রধান আসামী করে প্রথমে হত্যার চেষ্টা মামলা হয়েছে। এখন মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে। প্রকৃত দোষীকে আইনের আওতায় আনা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন