ভেজাল কীটনাশক বিক্রির দায়ে বরগুনায় দুটি দোকানে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে দোকান দু’টি সিলগালাও করা হয়। গত সোমবার দুপুরে বরগুনা বাজারের নজরুল ইসলাম সড়কে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এসময় ওই দুই দোকান থেকে চার লক্ষাধিক টাকার ভেজাল কীটনাশক জব্দ করা হয়। জরিমানা করা ওই দুই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম মেসার্স মা ট্রেডার্স এবং লিজা এন্টারপ্রাইজ। এর মধ্যে মা ট্রেডার্সের মালিকের নাম মো. ইব্রাহিম। আর লিজা এন্টারপ্রাইজের মালিকের নাম মো. মোতাহার মোল্লা।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বরগুনা সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাঁশবুনিয়া এলাকার কৃষক মো. রাসেল মা ট্রেডার্স থেকে কীটনাশক কিনে তার আবাদ করা তিন একর জমির ডালে প্রয়োগ করেন। এতে কীটনাশক প্রয়োগ করা ওই তিন একর জমির ডাল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। পরে রাসেল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের দ্বারস্থ হলে তারা ভেজাল কীটনাশক প্রয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত হন। এরপর ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক রাসেল ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়ে ভেজাল কীটনাশক বিক্রির দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন বরগুনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আহমেদ।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ডাল নষ্ট হওয়ার পর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক রাসেল আমাদের শরণাপন্ন হন। পরে যাচাই করে আমরা নিশ্চিত হই তার প্রয়োগ করা কীটনাশকে ভেজাল ছিল। পরে বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হলে গতকাল এ মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, ভেজাল কীটনাশক বিক্রির দায়ে গতকাল এ মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এসময় মা ট্রেডার্সের মালিক মো. ইব্রাহীমকে ২০ হাজার টাকা ও লিজা এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. মোতাহার মোল্লাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সাথে এই দুই দোকান থেকে চার লক্ষাধিক টাকার ভেজাল কীটনাশক জব্দ করায় তাদের দোকান দুটি সিলগালা করে দেয়া হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের মোবাইল কোর্ট বরগুনায় নিয়মিত পরিচালিত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন