বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

পানির চাপে ফেটে যায় সাবমেরিন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০৫ এএম

মুসলিম অধ্যুষিত হাজার দ্বীপের দেশ ইন্দোনেশিয়ার রয়েছে পাঁচটি সাবমেরিন। তার মধ্যে একটি কেআরআই নাংগালা-৪০২। গত বুধবার প্রশিক্ষণ মহড়ায় পানিতে ডুব দিয়ে নিখোঁজ হয় সাবমেরিনটি। জার্মানির তৈরি এই সাবমেরিনটি ৪০ বছরেরও বেশি পুরনো। তবে ২০১২ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাঠিয়ে এটি আরও উন্নত করা হয়। সেটিই ৫৩ জন নাবিক নিয়ে বালি দ্বীপের কাছে সমুদ্রে টর্পেডো মহড়া চালানোর সময় গায়েব হয়ে যায়। বুধবার মহড়ার জন্য নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে শেষ যোগাযোগ করা হয় সাবমেরিনটি থেকে। অনুমতি চাওয়া হয় সমুদ্র গভীরে ডুব দেবার জন্য। অনুমতিও মেলে, কিন্তু তার পরপরই হঠাৎ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সাবমেরিনটি। টানা উদ্ধার অভিযানের পর শনিবার সাবমেরিনটির বিভিন্ন ধ্বংসাবশেষ মেলে। যেসব জিনিস পাওয়া গেছে তার মধ্যে রয়েছে জায়নামাজ, গ্রিজের একটি বোতল যা লুব্রিক্যান্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়, একটি যন্ত্র যা টর্পেডোর হাত থেকে জাহাজটিকে রক্ষায় সাহায্য করে। ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর প্রধান ইওদো মারগোনো বলছেন যেখান থেকে সাবমেরিনটি নিখোঁজ হয়েছে তার কাছেই এর কিছু অংশ পাওয়া গেছে। ইন্দোনেশীয় বিমানবাহিনীর কর্মকর্তা এয়ার মার্শাল হাদি তিজাহজানতো বলেন, সাবমেরিনের সর্বশেষ অবস্থানের কাছেই এসব জিনিস পাওয়া গেছে। এগুলো সাবমেরিনের অংশ বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তীব্র চাপে না ফেটে গেলে সাবমেরিন থেকে এসব জিনিস কখনো বের হয়ে আসার কথা নয়। কিন্তু এভাবে কেন নিখোঁজ হলো সামরিক কাজে ব্যবহৃত একটি সাবমেরিন। তা নিয়ে তদন্ত এখনও চলছে। স্ক্যান করে দেখা গেছে ডুবোজাহাজটি সমুদ্রের যতোটা গভীরে চলাচল করতে পারে, এটি তারচেয়েও অনেক গভীরে তলিয়ে গেছে। নৌবাহিনী বলছে সাবমেরিনটিতে কোনো সমস্য ছিল না। তবে জাহাজটি যেখানে ডুবে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে সেখানে কিছু তেল দেখতে পাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে তেলের ট্যাঙ্কের হয়তো কোনো ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া বৈদ্যুতিক বিপর্যয়েরও আশঙ্কা করা হচ্ছে। সাবমেরিনটি ৩০০ ফুট সমুদ্র গভীরে চলাচলে সক্ষম ছিল। সর্বোচ্চ ৫০০ ফুট সমুদ্রতলের পানির চাপ সহ্য করার ক্ষমতা ছিল সাবমেরিনটির। কোনো না কোনো গোলযোগের কারণে এর চেয়ে গভীরে নেমে যাওয়ায় সেটি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে ধারণা করা হচ্ছে। আর যে গভীরতায় সাবমেরিনই টিকে থাকতে পারেনি সেখানে মানুষের বাঁচা তো অলিক কল্পনা। তবুও অলৌকিকভাবে ফিরে আসুক তরতাজা প্রাণগুলো এটাই চাওয়া বিশ্ববাসীর। রয়টার্স।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন