অবৈধভাবে ফেন্সিডিল বিক্রির অভিযোগে বগুড়ার শিবগঞ্জ সার্কেলের এএসপি আরিফুল ইসলামকে বরিশালে স্ট্যান্ড রিলিজের ঘটনার রেশ না কাটতে না কাটতেই নতুন অভিযোগ উঠলো তার বিরুদ্ধে। নতুন অভিযোগটি করেছেন গত ফেব্রæয়ারি মাসে নিহত বগুড়ার শিবগঞ্জের কৃষকলীগ নেতা আজাহারুল ইসলাম নান্টু হত্যা মামলার বাদী ও মরহুমের পিতা আব্দুল বাছেদ মন্ডল। বাছেদ মন্ডলের অভিযোগ, সদ্য বদলি হওয়া শিবগঞ্জ থানার সার্কেল এএসপি আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকীর চাপেই তিনি তার পুত্র হত্যার বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন। তার পুত্র নান্টু মারা যায় ৮ ফেব্রæয়ারি। ১০ ফেব্রæয়ারি তিনি শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন। কিন্তু পুলিশ আসামি গ্রেফতারে উদাসীন ভ‚মিকা পালন করতে থাকেন।
এর কারণ অনুসন্ধান করে জানতে পারেন, নান্টু হত্যা মামলার ২ নম্বর আসামি মাহাবুবুল আলম মানিক এবং আরিফুল বগুড়ার নিশিন্দারা উপশহরের একই ফ্ল্যাটে বসবাস করেন। দু’জনের মধ্যে পূর্ব ঘনিষ্টতা থাকায় আরিফুল ম্যানেজ হয়ে হত্যা মামলার কার্যক্রম স্থবির করে দেন। তিনি সুনির্দিষ্টভাবে জানান, নান্টু হত্যা মামলার ২ নম্বর আসামি মানিক ও তারই ভাগ্নে একই মামলার ৩ নম্বর আসামি রাসেল মাহমুদ সবুজ যৌথভাবে একটি প্রাইভেট কার গিফট করে নিরাপদে বসবাস করছেন।
অভিযোগটি তিনি মৌখিকভাবে তথ্য প্রমাণসহ পুলিশ সুপারকে জানানোর পর পুলিশ সুপার মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের নির্দেশ দিয়ে বগুড়া ডিবিতে হস্তান্তর করেছেন বলেও জানান আব্দুল বাছেদ। পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, অভিযুক্ত আরিফুল সিদ্দিকীর স্ত্রী ডাক্তার শারমীন সুলতানা বগুড়ার টিএমএসএস মেডিকেল কলেজে চাকরি করেন। প্রাইভেটকারটি তিনিই ব্যবহার করেন। নান্টু হত্যা মামলার ৩ নম্বর আসামি রাসেল মাহমুদ সবুজ জানান, তিনি মূলত প্রাইভেটকারটির মালিক। মাসে ২০ হাজার টাকা ভাড়ার বিনিময়ে তিনি গাড়িটি ভাড়া দিয়েছেন। এর সাথে মামলার কোন সম্পর্ক নেই।
অন্যদিকে এএসপি আরিফুল সিদ্দিকী বলেন, তিনি কোন গাড়ি গিফট নেননি। যেহেতু তিনি এখন শিবগঞ্জ সার্কেলের দায়িত্বে নেই, তাই সুযোগ বুঝে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন