কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরনবী চৌধুরীকে (৬৬), হত্যার চেষ্টায় করা মামলায় উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মিকনকে (৪১), দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভার্চুয়াল আদালতে নুরনবী চৌধুরীকে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানার মামলায় তাকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে নোয়াখালী ২নং আমলি আদালতে বিচারক এস.এ, মোছলে উদ্দিন নিজামের আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নোয়াখালী ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো.রবিউল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি আরো জানান, মামলাটি বর্তমানে নোয়াখালী (ডিবি) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত (১৯ এপ্রিল) উপজেলা আ.লীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে বিবদমান দ্বন্দ্বের জেরে বসুরহাট পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের মাস্টার পাড়া এলাকায় উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদ নুরনবী চৌধুরীকে হত্যার উদ্দেশ্যে কাদের মির্জার অনুসারীরা মধ্যযুগীয় কায়দায হামলা করে। পরে এ ঘটনায় গত (২০ এপ্রিল) উপজেলা আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান বাদী হয়ে যুবলীগ নেতা নাজিম উদ্দিন মিকনকে প্রধান আসামি, তার সহযোগী শহিদ উল্যাহ রাসেল প্রকাশ কেচ্ছা রাসেল, কাদের মির্জার ছেলে তাশিক মির্জা, ছোটভাই শাহাদাত হোসেনসহ ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০-৩০ জনকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যার চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
বর্তমানে নুরনবী চেধৈুরী ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয়দের ভাষ্য, গত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনসহ নানা কারণে উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিরাজপুরের চেয়ারম্যান নুরনবী চৌধুরীর সঙ্গে মিকনের পূর্ব বিরোধ ছিল। একসময় বাদলের অনুসারী হিসেবে কাজ করলেও সাম্প্রতিক সময়ে মিকন কাদের মির্জার খুব ঘনিষ্ঠ সহচর হয়ে ওঠেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন