শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মাদারীপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার, মাদারীপুর থেকে : | প্রকাশের সময় : ৩ মে, ২০২১, ১২:০০ এএম

মাদারীপুরে গত শনিবার রাতে রেশমা নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় স্থানীয়রা গৃহবধূর স্বামী ঠান্ডু জমাদারকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। রেশমার পরিবারের অভিযোগ তাকে হত্যা করে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক বছর আগে শিবচর উপজেলার মাদবরচর ইউনিয়নের খাড়াকান্দি গ্রামের দাদন শেখের মেয়ে রেশমার সাথে একই উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের তাহের ফকিরকান্দি গ্রামের ধলু জমাদারের ছেলে ঠান্ডু জমাদারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ির সাথে রেশমার মনমালিন্য চলছিল। এ নিয়ে প্রায়ই রেশমার সাথে তার স্বামী ঠান্ডুর ঝগড়া হতো এবং রেশমাকে ঠান্ডু মারধর করতো বলে রেশমার পরিবারের অভিযোগ। গত শনিবার সকালে রেশমাকে বাবার বাড়ি নিতে আসে তার ভাই মুনকির শেখ। বোনকে বাড়ি নিয়ে যাবে বলে রেশমার শাশুড়ির কাছে বলে। ঠান্ডু বাড়ি না থাকায় রেশমার শাশুড়ি তাকে পরে আসতে বলে। তাই মুনকির একই গ্রামে নানা বাড়িতে চলে যায়। ঠান্ডু বাড়ি ফিরে রেশমাকে নিতে আসার খবর শুনে তাকে বাবার বাড়ি যেতে নিষেধ করে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে ঠান্ডু বাড়ি থেকে বাইরে চলে যায়। এদিকে মুনকির বিকেলে আবার রেশমাকে নিতে আসে। এসময় রেশমাকে অনেক ডেকেও কোন সাড়া-শব্দ না পেয়ে মুনকিরসহ স্থানীয়রা দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে ঘরের আড়ার সাথে রেশমার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। এ খবর আশপাশে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা কুতুবপুর বাজার থেকে স্বামী ঠান্ডুকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার ও ঠান্ডুকে আটক করে।
রেশমার ভাই মুনকির শেখ বলেন, সকালে আমার বোনকে নিতে আসলে বোন জামাই বাড়ি না থাকায় আমার বোনের শাশুড়ি আমাকে চলে যেতে বলে। বিকেলে আসলে আমার বোনের ঘর বাইরে থেকে শিকল আটকানো দেখি। পরে দরজা খুলে ভেতরে গিয়ে আমার বোনের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখি। আমার বোনকে ওরা মেরে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে। আমরা এই হত্যার বিচার চাই।
নিহতের বাবা দাদন শেখ বলেন, বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়েকে তার শাশুড়ি অনেক কষ্ট দিতো। এ নিয়ে জামাই ঠান্ডুর সাথে প্রায়ই রেশমার ঝগড়া হতো। কিন্তু এভাবে আমার মেয়েকে ওরা পরিকল্পিতভাবে মেরে ফেলবে এটা ভাবিনি। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
শিবচর থানার ওসি মো. মিরাজুল হোসেন বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। রিপোর্ট পেলে জানা যাবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা। তবে প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা মনে হচ্ছে। স্থানীয়রা গৃহবধূর স্বামীকে আটকে রেখে আমাদের হাতে সোপর্দ করেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন