জাতিসংঘ সাংবাদিক নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মপরিকল্পনার লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা- কারণ তথ্য হচ্ছে একটি গণসম্পদ। আর এই মহামারির অর্থনৈতিক প্রভাব অনেক প্রচার মাধ্যমকে কঠোরভাবে আঘাত করেছে, যা তাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। সোমবার বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এক বাণীতে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির সময় আমরা বিশ্বব্যাপী যে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করেছি সেগুলো জীবন বাঁচাতে এবং শক্তিশালী, স্থিতিশীল সমাজ গঠনে নির্ভরযোগ্য, যাচাইকৃত এবং সর্বজনীনভাবে সহজলভ্য তথ্যগুলোর সমালোচনামূলক ভ‚মিকাকে চিহ্নিত করে। জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, আমি সব সরকারকে তাদের ক্ষমতানুযায়ী একটি মুক্ত, স্বাধীন এবং বহুমুখী প্রচার মাধ্যমকে সমর্থন করার জন্য সবকিছু করার আহবান জানাচ্ছি। ভুল তথ্য এবং অপপ্রচার রোধে মুক্ত এবং স্বাধীন সাংবাদিকতা আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। তিনি বলেন, আজ আমরা একটি মুক্ত, স্বাধীন এবং বহুত্ববাদী আফ্রিকান সংবাদ মাধ্যম উন্নয়নের জন্য উইন্ডহোক ঘোষণাপত্রের ৩০ তম বার্ষিকী উদযাপন করছি। গত তিন দশকে গণমাধ্যমে নাটকীয় পরিবর্তন সত্তে¡ও, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং তথ্যের অবাধ প্রবেশাধিকারের জন্য ঘোষণাপত্রের জরুরি আহবান যথারীতি প্রাসঙ্গিক। আসুন এর বার্তার প্রতিফলন ঘটাই এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা পুনরুজ্জীবিত করি - যাতে তথ্য সবার জন্য একটি জীবনরক্ষাকারী গণসম্পদ হিসেবে কাজ করে। মহামারি এবং আবহাওয়ার জরুরী অবস্থাসহ অন্যান্য সংকটময় সময়ে, সাংবাদিক এবং গণমাধ্যম কর্মীরা ক্ষতিকর ভুল এবং মিথ্যাচারকে মোকাবেলাসহ আমাদের দ্রুত-পরিবর্তিত এবং প্রায়শই অপ্রতিরোধ্য তথ্যের দৃশ্যপট তুলে ধরতে সহায়তা করে। অনেক দেশেই কেবল নিজেদের কাজের জন্য তারা নতুন বিধিনিষেধ, সেন্সরশিপ, অপব্যবহার, হয়রানি, আটক এবং এমনকি মৃত্যুসহ অনেক বড় ব্যক্তিগত ঝুঁকিতে থাকে। সেই পরিস্থিতি আরও খারাপ দিকেই যাচ্ছে। মহামারির অর্থনৈতিক প্রভাব অনেক প্রচার মাধ্যমকে কঠোরভাবে আঘাত করেছে, যা তাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। বাজেট সংকটের সাথে সাথে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়াও কঠিন হচ্ছে। এই শূন্যস্থান পূরণ করতে গুজব, মিথ্যা এবং চূড়ান্ত বা বিভাজিত মতামত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এএফপি, রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন