জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, বিশ্বের ৩০০ কোটি মানুষের স্বাস্থ্যকর খাবারের ব্যবস্থা করার সামর্থ্য নেই। রোববার বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে এক বার্তায় তিনি এ কথা বলেন। মহাসচিব বলেন, বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তার জন্য এক কঠিন সময়ে এবারের বিশ্ব খাদ্য দিবস পালিত হচ্ছে। গত তিন বছরে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। তিনি বলেন, বিশ্বে প্রায় ১০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির মধ্যে দিনযাপন করছে, যেখানে অনাহার এবং মৃত্যু প্রতিদিনকার বাস্তবতায় পরিণত হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারি, আবহাওয়া সংকট, পরিবেশ বিপর্যয়, সংঘাত এবং ক্রমবর্ধমান অসমতার কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষগুলো আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ খাদ্য, সার ও জ্বালানির দামবৃদ্ধিকে তরান্বিত করেছে। তবে আমরা একসঙ্গে পদক্ষেপ নিলে এগুলোর সবগুলোই সমাধান করতে পারি। গুতেরেস আরও বলেন, এ বছর আমাদের এই বিশ্বে সবার জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য রয়েছে। কিন্তু আগামী বছরের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদনে কৃষকের জরুরিভিত্তিতে সুলভ মূল্যে সার দরকার। টিবিএস নিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ার পর বিশ্বব্যাপী ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা এভাবে বেড়ে যাওয়ার জন্য করোনা মহামারিকে দায়ী করা যেতে পারে। ১৯৩ সদস্য দেশের সংস্থার প্রধান বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে তার পোস্টে হতাশা থেকে শুরু করে প্রত্যাশা এবং কর্মের ব্যাপারে কথা বলেছেন। সকলের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য এবং সেসব সাশ্রয়ী করার ওপরও জোর দিয়েছেন। জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, বিশ্বে প্রায় ১০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির মধ্যে দিনযাপন করছে। অনাহার এবং মৃত্যু প্রতিদিনকার বাস্তবতায় পরিণত হয়েছে। বিশ্বের ৩০০ কোটি মানুষের স্বাস্থ্যকর খাবারের ব্যবস্থা করার সামর্থ্য নেই। তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তার জন্য এক কঠিন সময়ে এবারের বিশ্ব খাদ্য দিবস পালিত হচ্ছে। এ বছরের বিশ্ব খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ‘কাউকে পেছনে ফেলে রাখা যাবে না। অধিক উৎপাদন, অধিক পুষ্টি, আরও ভালো পরিবেশ এবং আরও ভালো জীবন। ’পুষ্টিকর খাবার সবার জন্য সুলভ করতে সরকার, বিজ্ঞানী, বেসরকারি খাত ও নাগরিক সমাজকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলেও মত দিয়েছেন তিনি। টিবিএস নিউজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন