ময়মনসিংহে তিন শতাধিক কওমী মাদরাসায় বেহাল দশা বিরাজ করছে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রের। এতে মাদরাসা শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিগত হেফাজতের আন্দোলনে করোনা প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে স্কুল কলেজের পাশাপাশি বন্ধ করে দেয়া হয় দেশের কওমী মাদ্রাসা গুলো। এর ফলে ধর্মীয় শিক্ষার এ প্রতিষ্ঠান গুলো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কওমী শিক্ষক জানান, মূলত যাকাত ফিতরা ও দানশীলদের দানের টাকায় চলে কওমী প্রতিষ্ঠান গুলো। আর এ টাকা কালেকশনের জন্য রমজান মাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ মাসে যাকাত ফিতরার সংগ্রহের পাশাপাশি কোরবানি ঈদের গরু ছাগলের চামড়া সংগ্রহ কওমী প্রতিষ্ঠানের খরচ যোগানোর মূল উৎস। কিন্তু বর্তমানে হেফাজতের আন্দোলনের পর চলমান লকডাউনের কারণে এসব অর্থ সংগ্রহ এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
সূত্রটি আরো জানায়, বিগত হেফাজতের আন্দোলনের পর ময়মনসিংহ থেকে পাঁচজন হেফাজত শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে গ্রেফতারকৃতদের অনেকেই পুলিশ রিমান্ডে রয়েছেন। ফলে স্থানীয় আলেম সমাজে এসব ঘটনায় গ্রেফতার আতঙ্ক বিরাজ করছে। এর ফলে অনেকেই এখন আত্মগোপনে রয়েছেন।
মাওলানা জোবায়ের আহম্মেদ নামের এক কওমী শিক্ষক জানান, দেশের কওমী শিক্ষা অঙ্গন ধংসের গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। আর এ কারণেই লকডাউনের দোহাই দিয়ে মাদ্রাসা গুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু তাদের এ ষড়যন্ত্র সফল হবে। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞানী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন