সোনাইমুড়ীতে গাঁজা সেবনে বাধা দেওয়ায় এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে মাদকসেবীরা।
নিহত মো.মাহফুজুর রহমান (২১), উপজেলার ১০ নং আমিশা পাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাত ঘরিয়া গ্রামের লদের বাড়ির শহীদুল ইসলামের ছেলে।
বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার ১০ নং আমিশা পাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাত ঘরিয়া গ্রামের লদের বাড়ি সংলগ্ন সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, এলাকার চিহিৃত মাদকসেবী ইশতিয়াক। তার রয়েছে হরেক রকম মাদকের নেশা। সে প্রায় তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে নিজ বাড়ির বাগানে অথবা বাড়ি সংলগ্ন সড়কে মাদকের আসর বসায়। এ নিয়ে একাধিকবার তার সাথে নিজ বাড়ির মাহফুজের কথা কাটাকাটি হয়। বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় মাহফুজ বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিল। বাড়ি ফেরার পথে সে আবার দেখতে পায়। তাদের বাড়ির আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো.ইশতিয়াক (২০), সাতঘরিয়া গ্রামের আল আমিন (১৭), নাওড়ি গ্রামের আরমান (১৭), মানিক্য নগর গ্রামের নাঈম (২২), তাদের বাড়ির সামনে গাঁজা সেবন করছে। এ সময় মাহফুজ তাদেরকে বাড়ির সামনে গাঁজা সেবনে বাধা দেয়। এ নিয়ে তার সাথে গাঁজা সেবনকারী ইশতিয়াক ও তার সহযোগীদের বাকবিতন্ডা হয়। এতে ইশতিয়াক ক্ষিপ্ত হয়ে মাহফুজের মুখের দিকে গাঁজা সেবন করে ধোঁয়া ছুড়ে দেয়। মাহফুজ কঠিন ভাষায় প্রতিবাদ করলে ইশতিয়াক মাহফুজের, বুকে,তলপেটে,হাতে, পায়ে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে। এক পর্যায়ে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে ঘটনাস্থলেই মাহফুজ মারা যায়। পরে মাহফুজের বাড়ির লোকজন তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রাত ১০টায় চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। খবর পেয়ে পুলিশ রাত ১২টার দিকে হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
সোনাইমুড়ী থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আরো জানান, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন