দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিগ্রস্থরা বুঝে পেয়েছেন পাকা ভবন। বৃহস্পতিবার সোয়া ১১টায় মুজিববর্ষের এই উপহার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন। এর মধ্যে দিয়ে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বাড়িহারা মানুষগুলোর স্বপ্নের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ নিশ্চিত করলেন। ওইসব মানুষগুলো স্বপ্নেও ভাবেননি ঘর-বাড়ি-গাছপালা জমির ক্ষতিপূরণের টাকা পাওয়ার পরও চার কাঠা এবং তিন কাঠা জমিতে নির্মিত একতলা পাকা বাড়ি পাবেন। বৃহস্পতিবার দরিদ্র-হতদরিদ্র জেলে-কৃষকরাই এই পাকা ঘরের মালিকানা বুঝে পেল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পায়রা প্রান্তে পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মহিববুর রহমান মহিব এমপি, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য কাজী কানিজ সুলতানা, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান কমডোর হুমায়ুন কল্লোল,পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো.মতিউল ইসলাম চৌধুরী, পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পিপিএম, উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম রাকিবুল আহসান, পৌর মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় পুনর্বাসিত পরিবারের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মোসাম্মৎ হেনা বেগম ও ফোরকান প্যাদা।
উল্লেখ্য,পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা বন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে অধিগ্রহণ করা জমির মালিকদের পুনর্বাসনের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন ৫০০ টি বাড়ি হস্তান্তর করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ৩ হাজার ৪২৩টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে। এছাড়া পুনর্বাসিত উপকারভোগীদের জন্য জীবন ও কর্মমুখী প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন