বাংলা ভাষায় অনেক মহান কবির আবির্ভাব হয়েছে, কিন্তু তাঁদের কেউই নজরুলের মতো নন। মধুসূদন দেশমাতৃকার কবি, রবীন্দ্রনাথ সত্য ও সুন্দরের কবি, জসীমউদদীন গ্রামবাংলার কবি, প্রকৃতির কবি জীবনানন্দ দাশ। নজরুলকে বিদ্রোহী কবি নামে অভিহিত করা হয় বটে, কিন্তু কেবল বিদ্রোহী কবি তিনি নন। বহু বিশেষণে বিশেষিত হওয়ার মতো একজন কবিই শুধু আছেন বাংলায়, আর তিনি নজরুল। তিনি বিদ্রোহী কবি তো বটেই, সেই সাথে তিনি নবজাগরণের কবি, গণমানুষের কবি, তারুণ্যের কবি, নিপীড়িত মানুষের কবি, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের কবি, বিপ্লবের কবি, সাম্যবাদের কবি, স্বাধীনতার কবি, প্রেম ও বিরহের কবি, জাতীয় চেতনার কবি, এশ্ক ও কাশ্ফের কবিÑকত নামেই না অভিহিত করা যায় তাঁকে! নজরুলসাহিত্য নিয়ে ব্যাপক গবেষণা এবং উদার ও গভীর আলোচনা না হওয়ায় নজরুলসাহিত্যের অনেক মুক্তা-মানিক আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে আছে আজও।
কবিরা হলেন একটি জাতির সবচেয়ে সাহসী সন্তান। সত্য উচ্চারণে তাঁরা কখনো পিছপা হন না। দেশ ও জাতির স্বাধীনতা, শান্তি ও ঐতিহ্যের গান গাওয়ার ব্যাপারে তাঁরা কারো সাথে আপস করেন না। ভীরুতা, কাপুরুষতা ও হীনমন্যতা কখনো শোভা পায় না তাঁদের। যা বিশ^াস করেন, মানুষের জন্যে যা কল্যাণকর, তা প্রকাশ করতে তাঁরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন না কখনো। তাঁদের সাহসী উচ্চারণ একটি জাতিকে মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াতে সাহায্য করে। এ ধরনের অমিতসাহসী কবিদের একজন নজরুল। সত্যি কথা বলতে কি, নজরুলের আবির্ভাব না হলে বাঙালি-মুসলমান আধুনিকতার আলো-বাতাস থেকে পিছিয়ে থাকতো এক ’শ বছর। বাঙালি-মুসলমানকে জাগানোর জন্য যে-প্রাণান্ত প্রচেষ্টা তিনি চালিয়ে গেছেন সমস্ত জীবন তাঁর সাহিত্যসাধনার মধ্য দিয়ে, তা-ই তাদেরকে শেষপর্যন্ত মুক্তির পথ দেখিয়েছে, যার সাক্ষী হয়ে আছে তাঁর অজস্র কবিতা ও গান। আরবি-ফর্সি শব্দ প্রয়োগই শুধু নয়, বাঙালি-মুসলমানের ধর্ম, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও বিশ^াস এত নিবিড়ভাবে তিনি তাঁর সাহিত্যে প্রয়োগ করে গেছেন যে, বাংলাভাষার মুসলমানি ঢংটা প্রতিষ্ঠা পেয়েছে তাঁরই হাতে। আধুনিকতার দাবিদার কপট লেখকদের মতো তিনি তাঁর স্বাজাত্যবোধ ও স্বকীয়তাকে বিসর্জন দেননি কখনো। তাঁর মধ্যে কোনো রাখঢাক ছিলো না; যা বিশ^াস করেছেন, অবলীলায় তা প্রকাশ করে দিয়েছেন জাতির সামনে।
উৎসব যে-কোনো জাতির সামষ্ঠিক জীবনে একটি অপরিহার্য উপাদান। উৎসবের মধ্য দিয়েই একটি জাতি তার আনন্দ উদযাপন করে থাকে, যা তাকে দান করে অফুরন্ত আত্মিক শক্তি। বাঙালি-মুসলমানেরও দুটি উৎসব আছেÑএকটি ঈদুল ফিতর, অন্যটি ঈদুল আজহা বা কুরবানির ঈদ। এই ঈদ বারংবার ফিরে এসেছে নজরুলের গানে ও কবিতায়। বাঙালীর ঈদের সাথে নজরুলসত্তা এত নিবিড়িভাবে মিশে আছে যে, একটা থেকে আরেকটাকে পৃথক করা যায় না। বাঙালীর তো ঈদুল ফিতরই হয় না নজরুলের এই গান ছাড়াÑ
‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ
তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানী তাগিদ।’
যেমন এর সুর, তেমনি এর ভাব-ব্যঞ্জনা, যা বাঙালি-মুসলমান শুধু নয়, ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে যে-কোনো বাংলাভাষীকে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। তবে এ গানের মধ্য দিয়ে কবি স্মরণ করিয়ে দিতে চেয়েছেন মুসলিম জাতির অতীত গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও ত্যাগ-তিতিক্ষার কথা। তিনি উদাত্ত কণ্ঠে বলে ওঠেনÑ
‘তোর সোনা-দানা, বালাখানা সব রাহে লিল্লাহ
দে যাকাত, মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিঁদ।
আজ পড়বি ঈদের নামাজ রে মন সেই সে ঈদগাহে,
যে ময়দানে সব গাজী মুসলিম হয়েছে শহীদ।’
ইসলাম যে তরবারি দিয়ে নয়, ভালবাসা ও সাম্যবাদ দিয়ে সারা পৃথিবী জয় করেছিল একদিন, সে-কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে কবি বলেনÑ
‘আজ ভুলে যা তোর দোস্ত-দুশমন, হাত মেলাও হাতে,
তোর প্রেম দিয়ে র্ক বিশ্ব নিখিল ইসলামে মুরিদ।’
দীর্ঘ এক মাসের সীয়াম সাধনার পর খুশির বার্তা নিয়ে আসে ঈদ, মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। কিন্তু সার্বজনীন শান্তির এই ঈদ অর্জন করার জন্য মুসলিম জাতিকে কত রক্তাক্ত রাস্তাই না পাড়ি দিতে হয়েছে, স্বীকার করতে হয়েছে কত ত্যাগ-তিতিক্ষা ও কুরবানি। শাশ^ত সেই ঈদকে স্বাগত জানিয়ে কবি বলেনÑ
শত যোজনের কত মরুভূমি পারায়ে গো,
কত বালুচরে কত আঁখি-ধারা ঝরায়ে গো,
বরষের পরে আসিলে ঈদ!
ভুখারির দ্বারে সওগাত বয়ে রিজওয়ানের,
কণ্টক-বনে আশ^াস এনে গুল-বাগের,
সাকিরে “জা’মের” দিলে তাগিদ।
(ঈদ-মোবারক, জিঞ্জির)
ঈদুল ফিতর ধনী-দরিদ্র সবার জন্যেই আনন্দের বার্তা নিয়ে হাজির হয়। কিন্তু গরিব-দুখীদের দুঃখ লাঘবের জন্য চাই ধনীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা, চাই মুক্তহস্তে দান। যাকাত প্রথার প্রচলন হয়েছিল মহান এই ব্রতকে সামনে রেখেই। ধনী-মুসলমানদের জন্য যাকাত দেওয়া ফরজ। নামাজ, রোযা ও হজের মতো যাকাত আদায় করাও তাদের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য দূর হবে এই যাকাতের মাধ্যমে। ইসলামের এ সাম্যবাদী চরিত্রের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে কবি বলেনÑ
ইসলাম বলে, সকলের তরে মোরা সবাই,
সুখ-দুখ সম-ভাগ করে নেব সকলে ভাই,
নাই অধিকার সঞ্চয়ের।
(ঈদ-মোবারক, জিঞ্জির)
ঈদ অর্থ আনন্দ। তবে নজরুল ঈদের এই আভিধানিক অর্থ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকেননি তাঁর ঈদবিষয়ক কবিতাসমূহে, বরং তিনি এর মধ্যে তালাশ করেছেন এর হাকিকি অর্থ, যা-ই মূলত ধারণ করে আছে ঈদের আসল সৌন্দর্য। ঈদের প্রসঙ্গ এলেই কবি দুখী-মানুষদের নিয়ে হাজির হয়েছেন জাতির সামনে। যে-জাতির কাজই ছিলো একসময় ভুখানাঙা মানুষদের মুখে সুখের হাসি ফোটানো, সে-জাতি কী করে গরিব-দুঃখীদের উপেক্ষা করে আত্মসুখে বিভোর হয়ে থাকতে পারে, সে-কথা তিনি তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিতে ছাড়েন না। কৃষকপ্রজার দুর্দশার কথা তুলে ধরে কবি ক্ষোভের সাথেই বলেনÑ
জীবনে যাদের র্হরোজ রোজা ক্ষুধায় আসে না নিদ
মুমূর্ষু সেই কৃষকের ঘরে এসেছে কি আজ ঈদ?
এক বিন্দু দুধ নাহি পেয়ে যে খোকা মরিল তার
উঠেছে ঈদের চাঁদ হয়ে কি সে শিশু-পাজরের হাড়?
(কৃষকের ঈদ, নতুন চাঁদ)
ইসলাম এক মহান ধর্মের নাম। সমগ্র পৃথিবীতে ইসলামের আবির্ভাব হয়েছিল মিথ্যাকে উৎখাত করে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য, সমুদয় বৈষম্য-অন্যায়-অবিচার ও জুলুমকে উৎপাটিত করে সাম্যের পৃথিবী গড়ার জন্য; অধঃপতিত মুসলিম জাতি আজ সেই মহান ধর্ম ধারণ করেও যাপন করছে কলঙ্কিত জীবন। তাদের অবস্থা সেই ফলের ঝুড়ির মতো, যা কেবল ফলই বহন করে কিন্তু ফলের রস আস্বাদন করতে পারে না কিংবা তাদের অবস্থা সেই ঝর্ণার নুড়ির মতো, পানির মধ্যে থেকেও যে পানির স্বাদ গ্রহণ করার সৌভাগ্য অর্জন করে না। কবির কথায়Ñ
নামাজ পড়েছ, পড়েছ কোরান, রোজাও রেখেছ জানি,
হায় তোতাপাখি! শক্তি দিতে কি পেরেছ একটুখানি?
ফল বহিয়াছ, পাওনিক রস, হায় রে ফলের ঝুড়ি,
লক্ষ বছর ঝর্ণায় ডুবে রস পায় নাকো নুড়ি!
(কৃষকের ঈদ, নতুন চাঁদ)
নতুন চাঁদ কাব্যগ্রন্থের ‘নতুন চাঁদ’ শীর্ষক কবিতায় কবি জং ধরা পুরনো সমাজ বদলানোর আহ্বান জানিয়েছেন নওজোয়ানদের প্রতি। ঈদের চাঁদ যে সাম্যবাদের বার্তা নিয়ে আসে তা বাস্তবায়নের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় আত্মসুখে মগ্ন বাহ্যিক ইবাদতে মশগুল প্রাণহীন পুরাতনরাই। ইসলামের প্রকৃত আলোয় চোখ মেলতে এরা ভয় পায়। এদেরকে ব্যঙ্গ-বিদ্রƒপ করে এ-কবিতায় কবি বলেনÑ
তিন্তিড়ি গাছে জোনাকি-দল
চাঁদের নিন্দা করে কেবল,
পুচ্ছের আলো উচ্ছের ঝোঁপে জ¦ালায়ে কয়-
মোরা আলো দেব, চন্দ্রের দেশে ভীষণ ভয়!
ঈদুল ফিতর উদযাপনের অধিকার তো তাদেরই বেশি, যারা এক মাস ধরে সিয়াম পালন করে মহান সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে। সিয়াম সাধনা বা রোজা রাখার অর্থই হলো উপবাস থাকা। কিন্তু জালিম-শাসকের অধীনে অসহায় প্রজাসাধারণ তো উপবাস থেকেছে সারা বছরই। কবি তাই শ্লেষের সাথে বলেনÑ
প্রজারাই রোজ রোজা রাখিয়াছে, আজীবন উপবাসী,
তাহাদেরই তরে এই রহমত, ঈদের চাঁদের হাসি।
কিন্তু কবি আজ শোষিত-নিপীড়িত প্রজার কণ্ঠে শুনতে পান বিপ্লবের গান। কারবালা সৃষ্টিকারী খুনী এজিদের বিরুদ্ধে তারা আজ গর্জে উঠেছে বজ্রকণ্ঠেÑ
শহীদ হয়েছে হোসেন, কাসেম, আজগর, আব্বাস,
মানুষ হইয়া আসিয়াছি মোরা তাঁদের দীর্ঘশ^াস!
তোমরাও ফিরে এসেছ এজিদ সাথে লয়ে প্রেত-সেনা,
সে-বারে ফিরিয়া গিয়াছিলে, জেনো, আজ আর ফিরিবে না।
এক আল্লার দৃষ্টিতে আর রহিবে না কোনো ভেদ,
তাঁর দান কৃপা কল্যাণে কেহ হবে না না-উম্মেদ্!
(ঈদের চাঁদ, নতুন চাঁদ)
নজরুলের কবিতায় ঈদুল ফিতরই সর্বাধিক স্থান দখল করে থাকলেও ঈদুল আজহাও কিন্তু উপেক্ষিত থাকেনি একটুও। তাঁর ভাঙার গান কাব্যগ্রন্থের একটি অসম্ভব সুন্দর কবিতা ‘শহীদি ঈদ’। ঈদুল ফিতরের মতো নজরুল এখানেও ঈদুল আজহার পশু কুরবানির আনুষ্ঠানিকতায় সন্তুষ্ট থাকতে পারেননি, তিনি তাঁর জাতির কাছে প্রত্যাশা করেছেন আরো বেশি কিছু, প্রত্যাশা করেছেন সেই কুরবানি, যে-কুরবানির জন্যে তৈরি হয়ে গিয়েছিলেন নবী ইব্রাহিম (আ.), এবং কবির বিশ^াস তাঁর জাতি যখন পুনরায় ইব্রাহিমের মতো সন্তানদেরকে উৎসর্গ করার জন্য তৈরি হবে তখনই কেবল তারা পরাধীনতার জিঞ্জির ভেঙে স্বাধীনতার আলোয় অবগাহন করার সৌভাগ্য অর্জন করবে। কবি তাই বলেনÑ
চাহি না ক’ গাভী দুম্বা উট,
কতটুকু দান? ও দান ঝুট।
চাই কোরবানী, চাই না দান।
রাখিতে ইজ্জত ইসলামের
শির চাই তোর, তোর ছেলের,
দেবে কি? কে আছ মুসলমান?
(শহীদি ঈদ, ভাঙার গান)
কবি আরো খোলসা করে বলে ওঠেনÑ
মনের পশুরে কর জবাই,
পশুরাও বাঁচে, বাঁচে সবাই।
কশাই-এর আবার কোরবানী!Ñ
আমাদের নয়, তাদের ঈদ,
বীর-সুত যারা হ’ল শহীদ,
অমর যাদের বীরবাণী।
(শহীদি ঈদ, ভাঙার গান)
নজরুল তাঁর সওগাত কাব্যগ্রন্থের ‘বকরীদ’ কবিতায় একই আহ্বান জানিয়েছেন তাঁর জাতির কাছে এবং একইভাবে প্রত্যাশা করেছেন নওজোয়ানদের আত্মত্যাগ। কবি বলেনÑ
শহীদান’দের ঈদ এল বক্রীদ!
অন্তরে চির নৌ-জোয়ান যে, তারি তরে এই ঈদ।
(বক্রীদ, শেষ সওগাত)
তিনি তাঁর জাতিকে আহ্বান করে প্রশ্ন করেনÑ
আল্লার নামে, ধর্মের নামে, মানব জাতির লাগি’
পুত্রেরে কোরবানি দিতে পারে, আছে কেউ হেন ত্যাগী?
(বক্রীদ, শেষ সওগাত)
কবি এভাবে ঈদকে সার্বজনীন করে তুলেছেন এর মানবিক আবেদনকে প্রতিষ্ঠিত করে। ইসলাম সমগ্র পৃথিবীতে মানবতার সাম্রাজ্যই প্রতিষ্ঠা করতে চায় আর তার জন্যে চাই বড় ধরনের আত্মত্যাগ। কুরবানির ঈদ আমাদেরকে মূলত এই শিক্ষাই প্রদান করে থাকে। কিন্তু মানবিক বিশ^ গড়ে তোলার পথে অন্তরায় হয়েছে মুসলিম জাতির আত্মকলহ, মোনাফেকি ও প্রকৃত ইসলামহীনতা। কবি তাই সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন-
পিছন হইতে বুকে ছুরি মেরে, গলায় গলায় মেলো,
করো না আত্ম-প্রতারণা আর, খেল্কা খুলিয়া ফেল!
(বক্রীদ, শেষ সওগাত)
ইসলামি গান রচনার দিক থেকে নজরুল যেমন অগ্রদূতের ভূমিকা পালন করেছেন, বাংলা কবিতায় ইসলামি সংস্কৃতি ও ভাবধারা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও তিনি একই ভূমিকা পালন করে গেছেন। বিশেষ করে ঈদের কবিতা ও গান রচনা করে তিনি বিস্ময় সৃষ্টি করে গেছেন বাংলা ভাষায়। নজরুল জানতেন সাহিত্যের কাজই হলো স্বদেশ ও স্বজাতির সংস্কৃতিকে ধারণ করা। নজরুল তাঁর দায়িত্ব পুরামাত্রায় সম্পাদন করতে পেরেছিলেন বলেই তিনি আমাদের হৃদয়ের কবি, আমাদের জাতীয় কবি।
লেখক: কবি, প্রাবন্ধিক ও অধ্যাপক
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন