জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক ও পিকআপভ্যানে উঠে পড়ছেন বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ। তোলা হচ্ছে ছোট ছোট শিশুদেরকেও। যুবকরা লাফিয়ে উঠছেন ট্রাকে। নারী ও বৃদ্ধরা নিচ্ছেন অন্যের সহযোগিতা। আর যে মায়েদের কোলে সন্তান তারাও ট্রাকে উঠার জন্য অন্যের সহায়তা নিচ্ছেন। মোটকথা যে যেভাবে পারছেন খালি ট্রাকে উঠে পড়ছেন। গাদাগাদি করে এসব নারী-পুরুষকে একসাথে বসিয়ে ট্রাকগুলো গন্তব্যে ছেড়ে যাচ্ছে। এভাবেই চলছে শ্রমজীবী পরিবারের সদস্যদের এবারের ঈদযাত্রা।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, শনিরআখরা, রায়েরবাগ ও নারায়ণগঞ্জ শহর ও শহরতলীর লিংক রোড, নারায়ণগঞ্জ-আদমজী সড়ক ও ঢাকা-পুরাতন সড়কে মঙ্গলবার গভীর রাতে এমন ঈদযাত্রায় শামিল হন হাজার হাজার মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গার্মেন্টস অধ্যুষিত নারায়ণগঞ্জে জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন জেলার লোকজন এসে কাজ করেন। আগে দূরপাল্লার বাসে ঈদযাত্রা করতেন শ্রমজীবী লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা। এবার দূরের পথে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিকল্প হিসেবে মালবাহী ট্রাক বেছে নিয়েছেন তারা। গ্রামে থাকা প্রিয়জনের সাথে ঈদের আনন্দটা ভাগভাগি করাই তাদের মূল লক্ষ্য।
অপর দিকে ট্রলারে করে শীতলক্ষ্যা নদী পার হয়ে বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার সময় দু’শতাধিক যাত্রীকে মঙ্গলবার গভীর রাতে আটকে দিয়েছে নৌপুলিশ। তবে এখনো বন্ধ হয়নি ঘরমুখো মানুষের ঝুঁকিপূর্ণ ঈদযাত্রা। বুধবারও ট্রাক-পিকআপভ্যানে নারায়ণগঞ্জ ছাড়ছেন কর্মজীবী বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ। আবার ট্রলারে শীতলক্ষ্যা নদীও পার হচ্ছেন অনেকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন