খুলনার পিটিআই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পুলিশ কর্মকর্তার ধর্ষণের শিকার নারীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে রয়েছেন। অপরদিকে, এ ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশের এএসআই মোকলেছুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ডিএনএ টেষ্ট করার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১ মে থেকে এএসআই মোকলেছুর রহমান খুলনা পিটিআই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। ৪ মে ভারত থেকে ফিরে দুই সন্তানের জননী ওই নারী সেখানে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। গত ১৩ মে রাতে ডিউটিতে থাকাকালীন এএসআই মোকলেছুর রহমান দ্বিতীয় তলায় কোয়ারেন্টাইনে অবস্থানরত ঐ নারীর কক্ষে ঢুকে ধর্ষণ করে। পরদিন আবারও ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
সোমবার মামলার পর খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) প্রাথমিক তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পায়। রাতেই অভিযুক্ত মোকলেছুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। সাময়িক বরখাস্ত করা হয় চাকুরী থেকে।
এদিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নারীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোম ও মঙ্গলবার দু’দিন তার পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত মিলেছে বলে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবু সাইদ বলেন, এএসআই মোকলেছুর রহমানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে নারীটির ডিএনএ টেস্ট করেছি, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের ডিএনএ টেস্ট করার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি সোনালী সেন জানান, ধর্ষণের শিকার নারীর সব পরীক্ষা শেষ হয়েছে। মেডিকেল রিপোর্টের জন্য চিকিৎসকের ওপর নির্ভর করতে হবে। এএসআই মোকলেছুর রহমানের বিরুদ্ধে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে, দ্রুতই বিভাগীয় মামলা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন