মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের উদনার পাড় ব্রীজের নিচ থেকে উদ্ধার করা বস্তা বন্দি লাশের পরিচয় মিলেছে। তার বাড়ি ঝিনাইদহ জেলায়। এ ঘটনায় মূল আসামী ঘাতক স্বামী মসুদ মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া জানান, লাশ ভর্তি বস্তার গায়ে ‘মো. অনিক শ্রীমঙ্গল’ লেখা ছিল। এর সূত্র ধরে ১৩ ঘন্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন করে ঘাতক স্বামীকে আটক করে পুলিশ। ৭ মাস পূর্বে শ্রীমঙ্গলের রামনগর এলাকার মসুদ মিয়া, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বধনপুর গ্রামের ডলি আক্তারকে বিয়ে করে। গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর বস্তাবন্দী করে একটি অটোরিক্সা করে ব্রিজের নিচে ফেলে আসে। মসুদের চতুর্থ স্ত্রী ডলি আক্তার। পরে ঘাতক স্বামী মসুদ মিয়াকে বিকেলে হাজির করা হয় আদালতে। সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বস্তায় অনিক লিখা সূত্র ধরে শ্রীমঙ্গল শহরেরর সাইফুর রহমান মার্কেটের পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ী অনিক এবং তার ভাই জুয়েল মিয়াকে শনাক্ত করা হয়। তারা জানান বুধবার রাতে মসুদ মিয়া চা পাতা ভরার কথা বলে একটি বস্তা তাদের কাছ থেকে নিয়ে যান। ঘাতক মসুদ মিয়া একজন সুদের ব্যবসায়ী। সিন্দুরখান রোডের বসতঘরে ডলি আক্তার এবং আসামি মসুদ মিয়া ঘর সংসার করে আসছিলো। পুলিশী তদন্তকালে জানা যায়, মসুদ মিয়ার সাথে ডলি আক্তারের ঝগড়া বিবাদ হয়। ওই দিন রাত সাড়ে ৩ টায় মসুদ মিয়া তার স্ত্রী ডলি আক্তারকে রশি দিয়া গলায় ফাস লাগিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) হাসান মোহাম্মদ নাছের রিকাবদার, মৌলভীবাজার, শ্রীমঙ্গল সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) এ বি এম মোজাহিদুল ইসলাম, শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুছ ছালেক, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হুমায়ূন কবির।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উদনার পাড় ব্রীজের নিচে একটি মুখ বাঁধা সাদা রংয়ের বস্তা দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বস্তাটি উদ্ধার করে মুখ খুললে এক যুবতীর লাশ দেখা যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন