খুলনার ডুমুরিয়ার চুকনগরে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই যুবক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। দাবীকৃত ৪০ হাজার টাকা চাঁদা না দেয়ায় ওই গৃহবধূকে দুই যুবক পালাক্রমে ধর্ষণ করে বলে জবানবন্দিতে তারা বলেছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকালে খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন বিশ্বাসের আদালতে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জিএম ইমদাদুল হক জানান, গৃহবধূ (৩৫) কেশবপুরের বসুতিয়া গ্রামের বাসিন্দা। বুধবার সন্ধ্যায় তিনি চুকনগর বাজারে কাপড়ের দোকানে যান। ফেরার পথে ইউসুফ হারুন গাজীর চাতালের সামনে দাড়িয়ে তার পরিচিত আত্মীয়ের সাথে কুশল বিনিময়ের সময় দক্ষিণ চাকুন্দিয়ার আমজাদ গাজীর ছেলে রায়হান গাজী (২৩) ও চুকনগর গোলাম রোডের আঃ হামিদ গাজীর ছেলে আসাবুর রহমান ওরফে আশিক তাদের চাতালের একটি টিনের ঘরে আটক রেখে ৪০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবীকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গৃহবধূর আত্মীয় আকবর মোড়লকে অন্য ঘরে আটক রেখে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের পর নারীর কাছে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। মধ্যরাতে ধর্ষকদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা স্বেচ্ছায় আদালতে ঘটনার বর্ণনা দিতে চাইলে পুলিশ তাদের দুপুর ১ টায় আদালতে হাজির করেন। বিকেল ৬ টা পর্যন্ত বিচারক তাদের জবানবন্দি রের্কড করেন। পরে আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন