শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

হিমালয়ের রক্ষকখ্যাত সুন্দরলাল বহুগুণার মৃত্যু হলো করোনায়

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০২১, ৬:৩৩ পিএম

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে মারা গেছেন ২০০৯ সালে ‘পদ্মবিভূষণ’ সম্মানে ভূষিত ভারতে চিপকো আন্দোলনের প্রবর্তক ও হিমালয়ের রক্ষকখ্যাত সুন্দরলাল বহুগুণা (৯৪)। দেশটির উত্তরাখণ্ডের ঋষিকেশে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বহুগুণা। গত ৮ মে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বহুগুণাকে। হাসপাতালে ভর্তির ১০ দিন আগে থেকেই তার শরীরে করোনার মতো উপসর্গ ধরা পড়ে। -আনন্দবাজার
বৃহস্পতিবার রাত থেকে তার অক্সিজেন লেভেন দ্রুত পড়তে শুরু করে। তাকে সাময়িক বাইপ্যাপ ভেন্টিলেশনে স্থানান্তিরত করা হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। হাসপাতালেই শুক্রবার জীবনাবসান হয় জনপ্রিয় এই পরিবেশবিদের। বহুগুণার মৃত্যুত শোকজ্ঞাপন করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টুইট করে রাষ্ট্রপতি লেখেন, ‘সুন্দরলাল বহুগুণার প্রয়াণে একটা গৌরবময় অধ্যায়ের সমাপ্তি হল। পদ্মবিভূষণ এই ব্যক্তি গান্ধীবাদী ছিলেন। তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই’।

নরেন্দ্র মোদি টুইট করে লেখেন, ‘সুন্দরলাল বহুগুণার প্রয়াণে আমাদের দেশের বড় ক্ষতি হল। প্রকৃতির সঙ্গে কীভাবে বন্ধন তৈরি করতে হয়, তা শিখিয়েছেন তিনি। তার সরাল্য এবং মানবতাবোধ কখনওই ভুলবে না দেশ। তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই’। শোক প্রকাশ করেছেন উত্তরাখণ্ডের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তিরথ সিংহ রাওয়ত। তিনি বলেন, “বহুগুণার প্রয়াণ শুধু উত্তরাখণ্ড এবং ভারতের অপূরণীয় ক্ষতি নয়, গোটা বিশ্বের ক্ষতি।” ১৯৭০ সালে সুন্দরলালের হাত ধরেই শুরু হয়েছিল চিপকো আন্দোলন। নর্মদা বাঁচাও, নিয়মগিরি আন্দোলনের পাশাপাশি ভারতবর্ষে ইকোলজিসম বিষয়টি প্রচারে আসে এই চিপকো আন্দোলনের মাধ্যমে। গান্ধীর পথ অনুসরণকারী এই কিংবদন্তি পরিবেশবিদ গাড়োয়াল হিমালয়ের কোলে গাছ বাঁচানোর তাগিদে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন।

গাছ কাটার প্রতিবাদে গাড়োওয়াল হিমালয়ের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নারীদের দেখা গিয়েছিল জঙ্গলের গাছ জড়িয়ে প্রতিবাদ করতে। ১৯৮০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি তেহরী বাঁধ নির্মাণের বিপক্ষেও প্রতিবাদ করেন। ১৯৭৪ সালে সরকারের বন নীতির প্রতিবাদে তিনি দুই সপ্তাহ অনশন করেছিলেন। সেই বছর রেনি গ্রামের কাছাকাছি গাছ কাটার বিরুদ্ধে বৃহৎ আন্দোলন গড়ে ওঠে। গ্রামের মানুষদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নাম করে গ্রামের বাইরে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। চিপকো আন্দোলনের ফলস্বরূপ ভারত সরকার ১৯৮০ সালে পরবর্তী ১৫ বছরের জন্য হিমালয়ের পাহাড়ি অঞ্চলে গাছ কাটার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সেই সময় তাকে 'হিমালয়ের রক্ষক' উপাধি দেওয়া হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন