বাতেন বাহার
প্রশ্ন খুকুরÑ মেঘ বালিকার বয়স জানো কেউ?
বলতে পারোÑ আকাশ বাতাসÑ নীল সাগরের ঢেউ?
প্রশ্ন শুনে বললো হাওয়াÑ এসব জানে নদী
আমরা জানি এক আধটুÑ দাওরে অভয় যদি
বলতে পারি। যেটুক জানিÑ হতেও পারে ভুল
সঠিক জবাব পারবে দিতে হয়তো কদম ফুল।
কদম এসে বললো হেসেÑ ময়ূর জানে বেশি
কারণ, ময়ূর পেখম মেলে, সাজলে কালো কেশী।
প্রশ্ন শুনে বললো ময়ূরÑ শুনেছি আষাঢ় মাসে
পাপড়ি মেলে প্রথম যেদিন কদম কেবল হাসে,
জন্ম যেদিন মেঘ বালিকারÑ সেদিন সে খুব কাঁদে!
কান্না শুনে কৃষান মাঝি ত্বরিত কোমর বাঁধে।
জলদি মাঠে যায়রে কৃষান, কাটে আউস ধান
না কাটলে তো মুখের খাবার কেড়েই নেবে বান।
বানের জলে ডুবলে নদী, ডুবলে বাড়িঘর
তখন আসে চুপি চুপি মেঘবালিকার বর।
বর এলেও বরের সাথে হয় না তো তার দেখা!
তাই ময়ূরের ডাক শুনে সে, ভীষণ কাঁদে একা!
একাকিনীর কান্না শুনে কাঁদে আকাশ মাটি
রাত্রি শেষে যায়রে ডুবে সবুজ বরণ গাঁ-টি।
এমনি দিনের সঙ্গী হতে গভীর রাতে মা তার
কদম ফুলের ‘কেক’ হাতেই কাটতে থাকে সাঁতার।
জন্মদিনের ‘কেক’ দেখে মেঘ, বিজলী জ্বেলে হাসে
জন্ম তারিখ কোন একদিন, আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে।
আমার মায়ের মুখখানি
সাইদুল ইসলাম
আমার মায়ের মুখখানি
এক ফালি হাসি,
তুমি আমার সবকিছু
সুখ রাশি রাশি।
ডাকো তুমি খোকামণি, সোনামণি
আরও কত কি!
একফোঁটা কিছু হলে,
তোমার তোমার আঁচল তলে
লুকিয়ে থাকি।
এক হাতে পৃথিবী
এক হাতে মা,
আমি সবছেড়ে
বেছে নেব তোমায়,
কি আনন্দ! তাহা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন