কখনো কড়া রোদ, কখনো মেঘলা আবার কখনো মুষলধারায় বৃষ্টি পড়ছে। এ সময়ের আবহাওয়াটা থাকে বেশ গুমোট, ভ্যাপসা ও স্যাঁতসেঁতে। এই ঋতুতে শিশুদের নিয়ে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। কখনো স্কুলে যেতে আবার কখনো স্কুল থেকে বাসায় ফিরতে বৃষ্টির মোকাবেলা করতে হয় শিশুদের। শিশুরা পানি দিয়ে খেলতে বেশ পছন্দ করে। কখনো দেখিয়ে ভিজছে আবার কখনো না দেখিয়ে। এ জন্য তাদের মধ্যে দেখা দেয় সর্দি, কাশি, ঠা-া, মাথাব্যথা, গলাব্যথাসহ নানা সমস্যা। শিশুদের জ্বর দুই থেকে তিন দিনের বেশি থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করাবেন। যেসব শিশু প্রতিদিন স্কুলে যায় তাদের জন্য অবশ্যই ছাতা বা রেইনকোট রেডি করে রাখবেন। সব মার্কেটেই শিশুদের জন্য রেইনকোট ও ছোট হাতলের ছাতা পাওয়া যায়। তাদের ব্যাগের ভেতর সবসময় তা দিয়ে রাখবেন। তাহলে হঠাৎ বৃষ্টিতে তাদের কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। যেসব গার্জিয়ানরা কন্টিনিউ স্কুলে শিশুদের দিয়ে আসেন ও ছুটির শেষে নিয়ে যান তাদের ক্ষেত্রে তা শিশুর ব্যাগে না দিলেও হবে। বৃষ্টিতে ব্যাগ ভিজে যায়।
তাই এসময় সুতি কাপড় বা ছালার তৈরি ব্যাগ ব্যবহার করা উচিত নয়। এই বৃষ্টিতে বই-খাতা রক্ষা করতে প্লাস্টিক বা রেক্সিনের ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন। স্কুলের জুতা ভিজে গেলে অন্য জুতা পরিয়ে স্কুলে পাঠাবেন। কখনো ভেজা ড্রেস বা জুতা পরিয়ে রাখবেন না। স্কুল থেকে ফেরার পথে যদি ভিজে যায় তাহলে তাড়াতাড়ি গোসল করিয়ে জামাকাপড় চেঞ্জ করে দেবেন। এ তো গেল স্কুলযাত্রী ছাত্রছাত্রীদের কথা। যেসব ঘরে কোলে বা হামাগুড়ি দেয় এ ধরনের শিশুর ক্ষেত্রে বর্ষার সময় আরো বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এ মৌসুমে বেশি কাঁথা ও জামাকাপড় সংগ্রহে রাখতে হয়। কেননা ভেজায় বেশি, শুকায় কম, আর তখনই প্রয়োজন অতিরিক্ত জামাকাপড় ও কাঁথা। যাদের ঘরে ছোট ছোট শিশু রয়েছে তারা অবশ্যই মেঝেতে ম্যাট বা কার্পেট বিছিয়ে রাখবেন। তাহলে ঠা-া লাগার সম্ভাবনা খুব একটা থাকবে না। এ সময় ফ্লোর খুব ঠা-া থাকে। অনেকে আছেন যাদের ঘরে কিছুই বিছানোর মতো নেই সে ক্ষেত্রে শিশুকে উলের বা ভারী কাপড়ের বড় প্যান্টি, মোজা ও কাপড়ের ছোট ছোট জুতা পাওয়া যায় সেগুলো পরিয়ে রাখবেন। তাতেও ঠা-ার হাত থেকে কিছুটা রক্ষা পাবে। যাদের ঘরে বৃদ্ধ এ শিশু রয়েছে তাদের কথা ভেবে অবশ্যই শুকনো খাবার সংরক্ষণ করে রাখবেন। কেননা বর্ষার ঝড়বৃষ্টির কারণে ঐ সময় যখন তখন ঘর থেকে বের হওয়া সম্ভব হয় নয়। শিশুদের কাপড় যেন কখনই ভেজা না থাকে সেদিকে আমাদের প্রত্যেকেরই খেয়াল রাখতে হবে। তাদের ঠা-া খাবার খাওয়াবেন না। ঠা-া খাবার থেকে বিভিন্ন রকম অসুখ হতে পারে। তাই সবসময় চেষ্টা করবেন শিশুদের কুসুম গরম খাবার খাওয়াতে। তাদের যেন কোনোভাবেই কাঁচা পানি খেতে দেয়া না হয়। সবসময় বিশুদ্ধ পানি খাওয়াবেন। চার দিকে এ সময় ডায়রিয়ার প্রকোপ লক্ষ করা যাচ্ছে। তাই সাবধান, আপনার সচেতনতা ও সেবাযতœই সুস্থ থাকতে পারে আপনার কোলের মানিক। যদি শিশুরা অসুস্থ হয়েই পড়ে তাহলে নিজ চিন্তায় কিছু খাওয়াবেন না। কেননা তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। তাই শিশুদের সব সমস্যায় ডাক্তারি পরামর্শ গ্রহণ করবেন এবং সে মোতাবেক ওষুধ খাওয়াবেন।
য় শারমীন সুলতানা নূপুর
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন