নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে দ্ব›দ্বকে কেন্দ্র করেই চেয়ারম্যানের সমর্থকরা সোলায়মান নামে এক যুবলীগ কর্মীকে ইট দিয়ে মাথা থেতলে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে দাবি করেছেন নিহতের পরিবা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। গতকাল উপজেলার তারাব পৌরসভার গন্ধর্বপুর নামাপাড়া এলাকায় এ হত্যাকাÐের ঘটনা ঘটে। নিহত সোলমান উপজেলা পরিষদ চত্বর এলাকার মজিদ শিকদারের ছেলে। তিনি মুড়াপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মী ছিলেন।
জানা গেছে, মুড়াপাড়াসহ আশপাশের এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহাম্মেদ আলমাসহ তার সমর্থকদের সঙ্গে যুবলীগ কর্মী সোলায়মানসহ তার সমর্থকদের দীর্ঘ দিন ধরেই বিরোধ চলে আসছিলো। চেয়ারম্যান সমর্থকদের সঙ্গে সোলায়মান গ্রæপের প্রায় সময়ই মাছিমপুর, মীরকুটিরছেও, নরসিংগলসহ বিভিন্ন স্থানে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, হামলা, ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আসছে।
সর্বশেষ গত ২৮ মে রাতে মাছিমপুর এলাকায় চেয়ারম্যান সমর্থকদের সঙ্গে সোলায়মানসহ মোহাম্মদ আলী, রিয়াজ, সেলিম, সবুজসহ তাদের লোকজনের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও হামলার ঘটনা ঘটে। ওই সময় বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করা হয়। এসময় চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান তোফায়েল আহাম্মেদ আলমাছ বাদী হয়ে নিহত সোলায়মানসহ ২৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার পর গতকাল দুপুরে নরসিংগল এলাকার মাছের খামারে খাবার দিচ্ছিলো যুবলীগ কর্মী সোলায়মান। এসময় সোলায়মানকে মাছের খামার থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে গর্ন্ধবপুর নামাপাড়া এলাকায় নিয়ে আসা হয়।
এসময় চেয়ারম্যান তোফায়েল আহাম্মেদ আলমাছ সমর্থকরা প্রকাশ্যে দিবালোকে ইট দিয়ে থেতলে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে বলে দাবি করেন নিহতের ভাই রাজিব মিয়া। মসজিদের মাইক দিয়ে ডাকাত পড়েছে বলে এলাকাবাসী লাঠিসোঠা নিয়ে এসে দেখতে পান সোলায়মানকে হত্যা করা হয়েছে। সোলায়মানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে জানতে মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহাম্মেদ আলমাছের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, নিহত সোলায়মানের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন