মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

গৌরনদীতে যুবতী খুন

বরিশাল বু্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২ জুন, ২০২১, ১২:০০ এএম

বগুড়ার নাজনীন আক্তারকে প্রতারণামূলক বিয়ে করে গৌরনদীতে এনে হত্যার পর লাশ গুম করেছে সাকিব হোসেন নামের এক সেনা সদস্য। এ ঘটনায় পুলিশ ওই সেনা সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু লাশের সন্ধান পাওয়া যায়নি। ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেম, প্রতারণা ও সর্বশেষ হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন ওই যুবতী।
জানা গেছে, বগুড়া সদর থানার সাবগ্রাম উত্তরপাড়া এলাকার মুদি ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ প্রামাণিকের যুবতী কন্যা নাজনীন আক্তারের সাথে প্রায় দুই বছর আগে ফেসবুকে পরিচয় হয় সাকিব হোসেনের। সে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার আগরপুর ইউনিয়নের চর উত্তর ভ‚তেরদিয়া এলাকার নতুন জাহাপুর গ্রামের ভ্যানচালক আব্দুল করিম হাওলাদারের ছেলে। পরিচয়ের এক পর্যায়ে পরিবারের সদস্য ও বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের না জানিয়ে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর সাকিব নাজনীনকে বিয়ে করে।
নাজনীন ও তার পরিবারকে সাকিব জানায় তার বাবা বড় ব্যবসায়ী, তাদের চারতলা বাড়ি আছে। বিয়ের সময় প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সাকিব তাদের বিয়ের কাবিননামায় ভুল নাম এবং ঠিকানা ব্যবহার করে। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই তাদের মধ্যে কলহ শুরু হয়। কলহের এক পর্যায়ে গত ২৪ মে সাকিব নাজনীনকে ফোন করে বলে, আমার বাবা খুব অসুস্থ, বাড়িতে যেতে হবে। অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বগুড়ার গোদাগড়া চারমাথা বাসস্ট্যান্ডে আসছি, তুমি ওখানে আসো। তোমাকে সাথে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাব।
ওই দিন রাত থেকে নাজনীন ও সাকিবের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর নাজনীনের পরিবার সাকিবের মায়ের মোবাইলে ফোন দেয়। ওই ফোনটি বাজলেও কেউ রিসিভ করেনি। ঘটনার দুইদিন পর সাকিব ফোন করে নাজনীনের বাবাকে বলে আপনার মেয়ে পালিয়ে গেছে।
এ ঘটনায় নাজনীনের পিতা আব্দুল লতিফ প্রামাণিক বাদী হয়ে গত ২৬ মে বগুড়া সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বগুড়া সেনানিবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকেও ঘটনাটি অবহিত করেন। তারা তখন সাকিবের ছুটি বাতিল করে দ্রæত তাকে কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেয়। নির্দেশ পেয়ে সাকিব তার কর্মস্থলে যোগদান করে। পরে সেনা কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে নাজনীন খুনের ঘটনা বেড়িয়ে আসে। সেনা কর্তৃপক্ষ তখন সাকিবকে চাকরিচ্যুত করে বগুড়া সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। গৌরনদী মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে, নাজনীনের লাশ উদ্ধারের জন্য বগুড়া সদর থানার পুলিশ সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে গত সোমবার রাতে গৌরনদী মডেল থানায় এসে পৌঁছায়। এরপর গৌরনদী মডেল থানা পুলিশের সহয়তায় তারা গতকাল ভোরে লাশ উদ্ধারে অভিযানে নামেন। সাকিবের দেয়া বর্ণনা মোতাবেক সেপটিক ট্যাংকের ভেতরের পানি সেচ করে সেখানে দুটি নখ ও শরীরের চামড়ার কিছু অংশ পেলেও নাজনীনের লাশের কোন হদিস মেলেনি। সাকিবের গ্রেফতারের খবর পেয়ে তার পরিবারের সকল সদস্য ওই ভাড়া বাসা ছেড়ে গাঁ ঢাকা দিয়েছে।
গৌরনদী থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, নাজনীনের লাশ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সাকিরের পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতার করতে পারলে নাজনীনের লাশের সন্ধান পাওয়া যাবে বলে আশা করছে পুলিশ।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন