বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের জান্তা মিলিটারি সরকারকে কাজ লাগানোর জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহবান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। গতকাল বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) দুই সহকারী হাইকমিশনার রাউফ মাজাও ও গিলিয়ান ট্রিগসের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারে এখন জান্তা সরকার দেশ চালাচ্ছে। এই সুযোগে তাদের মিলিটারি সরকারের সঙ্গে কথা বলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য জাতিসংঘকে সুযোগ কাজে লাগাতে পারে। আমরা ওনাদের বলেছি, রাখাইনে যেন ফোকাস দেন। ওনারা সুন্দর সুন্দর প্রজেক্ট রাখাইনে করছেন। এখানে যে মাঝিরা আছে তাদের নিয়ে এগুলো দেখাতে বলেছি। আমরা তাদের বলেছি মিয়ানমারকে চাপ দিতে, হয়তো এতে যাওয়ার একটা পথ হতে পারে রোহিঙ্গাদের।
নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরের প্রশংসা করেন ইউএনএইচসিআরের সহকারী হাইকমিশনার গিলিয়ান ট্রিগস। তিনি বলেন, কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ভাসানচর খুবই ভালো জায়গা, ভালো পরিবেশ। বাংলাদেশের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির বিশ্বের মধ্যে অন্যতম বড় শরণার্থী শিবিরগুলোর মধ্যে একটি। আমরা ভাসানচর ঘুরে দেখেছি, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপ করেছি। ভাসানচর ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আমরা কাজ করব। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আহবান জানাব।
ইউএনএইচসিআরের দুই সহকারী হাইকমিশনার রাউফ মাজাও ও গিলিয়ান ট্রিগসের ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল সম্প্রতি ভাসানচর পরিদর্শন করেন। এ সময় রোহিঙ্গারা বিক্ষোভ ও আন্দোলন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে চার বছরেও প্রত্যাবাসন না হওয়ার বিষয়টিকে সামনে আনেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, চার বছর হয়ে গেছে কিন্তু রোহিঙ্গারা যেতে পারেনি, যার ফলে হতাশা। হতাশার এই প্রতিচ্ছবি হচ্ছে, ওনারা যখন গেলেন ওরা তখনৃ। কী করবে বেচারারা, বাচ্চা-কাচ্চা আছে; কোনো শিক্ষা নেই, কোনো ভবিষ্যত নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন