নরসিংদীর বাজারগুলোতে মুরগির ডিমের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে চলছে। ১৩০ টাকা কুড়ির ডিম এখন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা দরে। কুড়ি প্রতি ডিমের দাম বেড়েছে ৪০ টাকা। হালি প্রতি বেড়েছে ১০ টাকা। খুচরা দোকানে একটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯ টাকা দরে।
ডিমের এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি কর্মজীবী মানুষসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। সাধারণ ভোক্তারা ডিমের মূল্যবৃদ্ধিকে মুনাফাখোর অসাধু খামারি ও ব্যবসায়ীদের কারসাজি বলে মনে করছে। জানা গেছে, ডিম এখন দেশের মানুষের প্রাণিজ আমিষের বেশিরভাগ চাহিদা পূরণ করে। ডিমের ব্যাপক চাহিদা থাকার কারণে অসাধু খামারিরা যখন তখনই ডিমের দাম বাড়িয়ে দেয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাধারণ মানুষ। প্রাণিসম্পদ বিভাগের মতে, দেশে ডিমের যেমন চাহিদা রয়েছে তেমন উৎপাদনও বেড়েছে বহুগুণ। বর্তমানে ডিমের কোনো ঘাটতি নেই। প্রতিদিন বাজারে প্রচুর সংখ্যক মুরগির ডিম, হাঁসের ডিম সরবরাহ হয়। গাজীপুর নরসিংদীসহ বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার মুরগির খামার রয়েছে। এসব খামারের প্রচুর সংখ্যক ডিম উৎপাদিত হয়।
হাওর এলাকা থেকে প্রতিদিন লাখ লাখ হাঁসের ডিম নরসিংদীসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। এর পরও ডিমের দাম বাড়িয়ে দিয়ে অতিরিক্ত মুনাফা লুটে নিচ্ছে অসাধু খামার মালিক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে খামার মালিকদের সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে, ডিম উৎপাদন করে দিনদিন লোকসান গুনছেন খামারিরা। হ্যাচারির মালিকরা যখন-তখন সিন্ডিকেট করে একদিনের মুরগির বাচ্চার দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। ২৫/৩০ টাকার বাচ্চা বিক্রি করছে ৮০ টাকা দরে। পোল্ট্রি উৎপাদকরা খাদ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে যখন তখন। চড়া দামে বাচ্চা কিনে চড়া দামের খাদ্য খাইয়ে মুরগি পালন করে খামারিরা দিনের পর দিন লোকসান দিয়েছে। বহুসংখ্যক বড় বড় খামার লোকসান দিতে দিতে বন্ধ হয়ে গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন