বিশ্বে যা কিছু কল্যাণকর তার সবকিছুর পথপ্রদর্শক মুসলমানরাই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, মুসলমানরাই জ্ঞান বিজ্ঞান ও সভ্যতায় এগিয়ে ছিলেন। সবকিছুর পথপ্রদর্শক মুসলমানরা কেন এখন পিছিয়ে থাকবেন? গতকাল সারা পদশে নির্মাণাধীন ৫৬০ মডেল মসজিদের মধ্যে কাজ সমাপ্ত হওয়া ৫০টি মসজিদের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, মুসলমানদের মধ্যে সঠিক ইসলামের জ্ঞান অর্জনে সহায়তা ও তাদের ইতিহাস ঐতিহ্য সচেতন করতে এই মডেল মসজিদ ও ইসলামিক কালচারাল সেন্টার। এখানে তারা ইসলামের মূল কথাটা জানতে ও শিখতে পারবেন। লেবাসের ইসলাম নয়, আমরা ইনসাফের ইসলামে বিশ্বাস করি। মুষ্টিমেয় লোক সন্ত্রাস ও জঙ্গি কর্মকান্ড করায় ইসলামকে দোষারোপ করা হচ্ছে। আমি বিশ্বের যেখানেই গেছি, এসব বিষয়ে কথা ওঠলে আমি সব ফোরামে বলেছি, মুষ্টিমেয় লোকের কর্মকান্ডে ইসলাম ধর্মকে দোষারোপ করা যায় না। তিনি আরো বলেন, আমাদের ওলামায়ে কেরামরা এখানে আছেন, অভিভাবক, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক নেতা-কর্মী সকলকে আমি আহবান জানাবো- জঙ্গিবাদের সর্বনাশা পথ থেকে আমাদের যুব সমাজ যেন দূরে থাকে সেজন্য সকলকে প্রচেষ্টা চালাতে হবে; দেশের মানুষকে দূরে রাখতে হবে। কারণ, ইসলাম ধর্ম চর্চা করতে হলে আল্লাহর ওপর বিশ্বাস রেখে মানুষের সেবা ও কল্যাণ করতে হবে। মানুষের অকল্যাণ করে বা মানুষ হত্যা করে কেউ বেহেশতে যেতে পারবেন না।
ধর্ম মন্ত্রণালয় আয়োজিত ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের এ ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্ত হন। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নুরুল ইসলাম স্বাগত বক্তৃতা করেন। গণভবন থেকে মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়াসহ পিএমও এবং গণভবনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ওসনামী স্মৃতি মিলনায়তনে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ, খুলনা জেলা সদর, রংপুরের বদরগঞ্জ, সিলেটের সুরমা উপজেলা সদর থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা ও মুসল্লিরা সংযুক্ত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠান থেকে খুলনা জেলা মডেল মসজিদ, রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলা মডেল মসজিদ এবং সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলা মডেল মসজিদের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের ইসলাম প্রচারের পথিকৃৎ’ শীর্ষক একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সারা দেশে ৫৬০ মডেল মসজিদ নির্মাণ করছি। এরমধ্যে ৫০টি এখন উদ্বোধন করছি। সারা দেশে ইসলামের চর্চা, প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে এর মর্মবাণী মানুষকে অনুধাবন করানোসহ নানা সামাজিক ব্যাধি থেকে দূরে রাখতেই জেলা-উপজেলায় মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে সরকার। এই মসজিদ থেকে মানুষ যেন ইসলামের মূল কথাটা শিখতে পারে, জানতে পারে। চিকিৎসা শাস্ত্র বলি এস্ট্রলজি বলি, বিজ্ঞান চর্চা বলি সবকিছুতেই অগ্রণী ছিল মুসলমানরা। তারা পথপ্রদর্শক ছিল। আজকে কেন মুসলিমরা পিছিয়ে থাকবে?
প্রধানমন্ত্রী ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমাজের সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে সরকারের সন্ত্রাস-মাদক ও জঙ্গিবাদবিরোধী সামাজিক আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে কমিটি করে সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদের পাশপাশি মাদক, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং পাশবিকতার বিরুদ্ধেও এই সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এই মসজিদগুলোও আমরা সেভাবেই তৈরি করতে চেয়েছি যেখানে ইসলাম সম্পর্কে সব ধরনের প্রচার ও প্রসার এবং এই ধর্ম সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান যেন আরো বৃদ্ধি পায়। তিনি বলেন, আমরা চাই, যেন ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে সবাই সচেতন হয়। ইসলাম ধর্ম নারীদের অধিকার দিয়েছে। পিতার ও স্বামীর সম্পদে নারীর অধিকার দিয়েছে। এই মসজিদেও নারী-পুরুষের নামাজসহ পৃথক ধর্মচর্চার ব্যবস্থা আছে। এর মাধ্যমে ধর্মীয় দৃষ্টিতে বাল্যবিয়ে, নারী-শিশুদের নির্যাতন ও মাদকের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করতে হবে। এগুলো রোধে সামাজিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে হজ যাত্রীদের যাতে কোনো সমস্যা না হয় সে ব্যবস্থা নিয়েছি। যখন আমি হজে যাই আমাদের হজ যাত্রীদের খোঁজ-খবর নেই। সমস্যা হলে সউদী আরবের সরকারের সঙ্গে কথা বলে সেগুলো সমাধানও করি। এখন আর হজ যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয় না। ঢাকা বিমানবন্দরের আশকোনা হজ ক্যাম্পেই ইমিগ্রেশনসহ নানা কার্যক্রম সম্পন্ন করার সুযোগ করেছি। জেদ্দায় নেমে যাতে সমস্যায় না পড়ে সেখানেও হজ্জ অফিস করে দিয়েছি।
সরকার প্রধান বলেন, আমরা মসজিদগুলো করেছি সেখানে কোরআন চর্চার জন্য হিফজখানা, হজযাত্রী ও ইমামদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, মুসল্লিদের জ্ঞান আহরণের জন্য মসজিদে নববীর আদলে ইসলামিক লাইব্রেরির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মসজিদ কমপ্লেক্স এর মধ্যে পৃথক ভবনে ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে থাকবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের অফিস, কনফারেন্স হল, গবেষণা কক্ষ, প্রতিবন্ধী কর্নার, হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন ও বিদেশি মুসল্লিদের আবাসনের ব্যবস্থা ইত্যাদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মসজিদগুলোতে বিদেশি মুসল্লিরা আসলে তাদের আতিথেয়তা প্রদানও আমাদের দায়িত্ব। সে চিন্তা থেকেই তাদের আবাসনের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই যে, আমাদের ধর্ম সম্পর্কে মানুষ যাতে সচেতন হয়। মডেল মসজিদে নারীদের নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে। কারণ, একমাত্র ইসলাম ধর্মেই নারীদের সমঅধিকারের কথা বলা হয়েছে। পৈত্রিক সম্পত্তি এবং স্বামীর সম্পত্তিতে তাঁদের অধিকারও ইসলাম ধর্মই নিশ্চিত করেছে। যা অন্য কোনো ধর্মে নেই।
দেশে এবং বিদেশে যারা ইসলাম ধর্মের নামে ফ্যাসাদ ও জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করছে তথা মানুষ খুন করছে তারা ইসলাম নামের শান্তির ধর্মের সর্বনাশ করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমি মনে করি সারাবিশে^ সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম হচ্ছে ইসলাম ধর্ম। কিন্তু মুষ্টিমেয় লোক জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে খুন খারাপি করে, বোমা মেরে আমাদের এই ধর্মের নামে বদনাম ছড়াচ্ছে। এরা ধর্মের পবিত্রতাই শুধু নষ্ট করছে না সমগ্র বিশ্বে মুসলমানদের ‘ইমেজ’র ক্ষতি করছে। বিশে^ একটা প্রবণতা দেখা গেছে কোনো সন্ত্রাসি ঘটনা ঘটলেই ‘ইসলামি জঙ্গি’ এই ধরনের একটি নামকরণের অপচেষ্টা রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তার সফরকালিন এবং বিভিন্ন ফোরামে তার বক্তব্যে এর প্রতিবাদ করেছেন বলেও জানান।
২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে উন্নত মসজিদ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণে নিজস্ব অর্থায়নে ৮ হাজার ৭২২ কোটি টাকা ব্যয়ে মডেল মসজিদ ও সংস্কৃতি কেন্দ্রগুলো নির্মাণ করছে সরকার। এটাই হচ্ছে বিশ্বে প্রথম কোনো সরকারের একই সময়ে একসঙ্গে এত বিপুল সংখ্যক মসজিদ নির্মাণের ঘটনা। যা বিশ্বে বিরল।
আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত সুবিশাল এসব মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সে নারী ও পুরুষদের পৃথক ওজু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা, লাইব্রেরি, গবেষণা কেন্দ্র, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, পবিত্র কোরআন হেফজ বিভাগ, শিশু শিক্ষা, অতিথিশালা, বিদেশি পর্যটকদের আবাসন, মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা, হজ্জযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণ, ইমামদের প্রশিক্ষণ, অটিজম কেন্দ্র, গণশিক্ষা কেন্দ্র, ইসলামী সংস্কৃতি কেন্দ্র থাকবে। এ ছাড়া ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা এবং গাড়ি পার্কিং সুবিধা রাখা হয়েছে। মডেল মসজিদগুলোতে দ্বীনি দাওয়া কার্যক্রম ও ইসলামী সংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি মাদক, সন্ত্রাস, যৌতুক, নারীর প্রতি সহিংসতাসহ বিভিন্ন সামাজিক ব্যাধি রোধে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
৫৬০টি মডেল মসজিদে সারা দেশে প্রতিদিন ৪ লাখ ৯৪ হাজার ২০০ জন পুরুষ ও ৩১ হাজার ৪০০ জন নারী একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন। লাইব্রেরি সুবিধার আওতায় প্রতিদিন ৩৪ হাজার পাঠক একসঙ্গে কোরআন ও ইসলামিক বই পড়তে পারবেন। ইসলামিক বিষয়ে গবেষণার সুযোগ থাকবে ৬ হাজার ৮০০ জনের। ৫৬ হাজার মুসল্লি সবসময় দোয়া, মোনাজাতসহ তসবিহ পড়তে পারবেন।
মসজিদগুলো থেকে প্রতি বছর ১৪ হাজার হাফেজ তৈরির ব্যবস্থা থাকবে। আরো থাকবে ইসলামিক নানা বিষয়সহ প্রতিবছর ১ লাখ ৬৮ হাজার শিশুর প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা। ২ হাজার ২৪০ জন দেশি-বিদেশি অতিথির আবাসন ব্যবস্থাও গড়ে তোলা হবে প্রকল্পের আওতায়। কেন্দ্রগুলোতে পবিত্র হজ পালনের জন্য ডিজিটাল নিবন্ধনের ব্যবস্থা থাকবে।
৪০ শতাংশ জায়গার ওপর তিন ক্যাটাগরিতে মসজিদগুলো নির্মিত হচ্ছে। জেলা পর্যায়ে ৪ তলা, উপজেলার জন্য ৩ তলা এবং উপক‚লীয় এলাকায় ৪ তলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতি কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এ-ক্যাটাগরিতে ৬৪টি জেলা শহরে এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় ৬৯টি চারতলা বিশিষ্ট মডেল মসজিদ নির্মিত হচ্ছে। এই মসজিদগুলোর প্রতি ফ্লোরের আয়তন ২ হাজার ৩৬০ দশমিক ০৯ বর্গমিটার। বি-ক্যাটাগরিতে উপজেলা পর্যায়ে ৪৭৫টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। এগুলোর প্রতি ফ্লোরের আয়তন ১ হাজার ৬৮০ দশমিক ১৪ বর্গমিটার।
সি-ক্যাটাগরিতে উপকূলীয় এলাকায় ১৬টি মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। এগুলোর প্রতি ফ্লোরের আয়তন ২ হাজার ৫২ দশমিক ১২ বর্গমিটার। উপক‚লীয় এলাকার মসজিদগুলোতে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে নিচতলা ফাঁকা থাকবে। জেলা সদর ও সিটি করপোরেশন এলাকায় নির্মাণাধীন মসজিদগুলোতে একসঙ্গে ১২শ’ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। অপরপক্ষে উপজেলা ও উপক‚লীয় এলাকার মডেল মসজিদগুলোতে একসঙ্গে ৯শ’ মুসল্লির নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা থাকবে।
যে ৫০টি মডেল মসজিদ নির্মিত হয়েছে সেগুলো হচ্ছে: ঢাকার সাভার উপজেলায়, ফরিদপুরের মধুখালী ও সালথা উপজেলায়, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া ও কুলিয়ারচর উপজেলায়, মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায়, রাজবাড়ি সদর উপজেলায়, শরিয়তপুর সদর ও গোসাইরহাট উপজেলায়, বগুড়ার শারিয়াকান্দি, শেরপুর ও কাহালু উপজেলায়, নওগাঁর সাপাহার ও পরশা উপজেলায় সিরাজগঞ্জ জেলা ও সদর উপজেলায়, পাবনার চাটমোহর উপজেলায়, রাজশাহীর গোদাগারি ও পবা উপজেলায়, দিনাজপুরের খানসামা ও বিরোল উপজেলায়, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায়, পঞ্চগড় সদর ও দেবীগঞ্জ উপজেলায়, রংপুরের সদর উপজেলা, মিঠাপুকুর, পীরগঞ্জ ও বদরগঞ্জ উপজেলায়, ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায়, নোয়াখালির সুবর্ণচর উপজেলায়, ময়মনসিংহের গফরগাও ও তারাকা উপজেলায়, চট্টগ্রাম জেলার লোহাগড়া, মীরসরাইর ও স›দ্বীপ উপজেলায়, জামালপুর সদর ও ইসলামপুর উপজেলায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর ও বিজয়নগর উপজেলায়, ভোলা সদর, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায়, কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায়, খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায়, কুষ্টিয়া সদর, খুলনা জেলা, চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায়, ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা এবং চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন