শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

লেবাস নয়, ইনসাফের ইসলামে বিশ্বাসী

৫০ মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ জুন, ২০২১, ১২:০২ এএম

বিশ্বে যা কিছু কল্যাণকর তার সবকিছুর পথপ্রদর্শক মুসলমানরাই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, মুসলমানরাই জ্ঞান বিজ্ঞান ও সভ্যতায় এগিয়ে ছিলেন। সবকিছুর পথপ্রদর্শক মুসলমানরা কেন এখন পিছিয়ে থাকবেন? গতকাল সারা পদশে নির্মাণাধীন ৫৬০ মডেল মসজিদের মধ্যে কাজ সমাপ্ত হওয়া ৫০টি মসজিদের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, মুসলমানদের মধ্যে সঠিক ইসলামের জ্ঞান অর্জনে সহায়তা ও তাদের ইতিহাস ঐতিহ্য সচেতন করতে এই মডেল মসজিদ ও ইসলামিক কালচারাল সেন্টার। এখানে তারা ইসলামের মূল কথাটা জানতে ও শিখতে পারবেন। লেবাসের ইসলাম নয়, আমরা ইনসাফের ইসলামে বিশ্বাস করি। মুষ্টিমেয় লোক সন্ত্রাস ও জঙ্গি কর্মকান্ড করায় ইসলামকে দোষারোপ করা হচ্ছে। আমি বিশ্বের যেখানেই গেছি, এসব বিষয়ে কথা ওঠলে আমি সব ফোরামে বলেছি, মুষ্টিমেয় লোকের কর্মকান্ডে ইসলাম ধর্মকে দোষারোপ করা যায় না। তিনি আরো বলেন, আমাদের ওলামায়ে কেরামরা এখানে আছেন, অভিভাবক, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক নেতা-কর্মী সকলকে আমি আহবান জানাবো- জঙ্গিবাদের সর্বনাশা পথ থেকে আমাদের যুব সমাজ যেন দূরে থাকে সেজন্য সকলকে প্রচেষ্টা চালাতে হবে; দেশের মানুষকে দূরে রাখতে হবে। কারণ, ইসলাম ধর্ম চর্চা করতে হলে আল্লাহর ওপর বিশ্বাস রেখে মানুষের সেবা ও কল্যাণ করতে হবে। মানুষের অকল্যাণ করে বা মানুষ হত্যা করে কেউ বেহেশতে যেতে পারবেন না।

ধর্ম মন্ত্রণালয় আয়োজিত ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের এ ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্ত হন। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নুরুল ইসলাম স্বাগত বক্তৃতা করেন। গণভবন থেকে মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়াসহ পিএমও এবং গণভবনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ওসনামী স্মৃতি মিলনায়তনে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ, খুলনা জেলা সদর, রংপুরের বদরগঞ্জ, সিলেটের সুরমা উপজেলা সদর থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা ও মুসল্লিরা সংযুক্ত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠান থেকে খুলনা জেলা মডেল মসজিদ, রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলা মডেল মসজিদ এবং সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলা মডেল মসজিদের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের ইসলাম প্রচারের পথিকৃৎ’ শীর্ষক একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সারা দেশে ৫৬০ মডেল মসজিদ নির্মাণ করছি। এরমধ্যে ৫০টি এখন উদ্বোধন করছি। সারা দেশে ইসলামের চর্চা, প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে এর মর্মবাণী মানুষকে অনুধাবন করানোসহ নানা সামাজিক ব্যাধি থেকে দূরে রাখতেই জেলা-উপজেলায় মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে সরকার। এই মসজিদ থেকে মানুষ যেন ইসলামের মূল কথাটা শিখতে পারে, জানতে পারে। চিকিৎসা শাস্ত্র বলি এস্ট্রলজি বলি, বিজ্ঞান চর্চা বলি সবকিছুতেই অগ্রণী ছিল মুসলমানরা। তারা পথপ্রদর্শক ছিল। আজকে কেন মুসলিমরা পিছিয়ে থাকবে?

প্রধানমন্ত্রী ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমাজের সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে সরকারের সন্ত্রাস-মাদক ও জঙ্গিবাদবিরোধী সামাজিক আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে কমিটি করে সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদের পাশপাশি মাদক, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং পাশবিকতার বিরুদ্ধেও এই সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এই মসজিদগুলোও আমরা সেভাবেই তৈরি করতে চেয়েছি যেখানে ইসলাম সম্পর্কে সব ধরনের প্রচার ও প্রসার এবং এই ধর্ম সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান যেন আরো বৃদ্ধি পায়। তিনি বলেন, আমরা চাই, যেন ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে সবাই সচেতন হয়। ইসলাম ধর্ম নারীদের অধিকার দিয়েছে। পিতার ও স্বামীর সম্পদে নারীর অধিকার দিয়েছে। এই মসজিদেও নারী-পুরুষের নামাজসহ পৃথক ধর্মচর্চার ব্যবস্থা আছে। এর মাধ্যমে ধর্মীয় দৃষ্টিতে বাল্যবিয়ে, নারী-শিশুদের নির্যাতন ও মাদকের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করতে হবে। এগুলো রোধে সামাজিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে হজ যাত্রীদের যাতে কোনো সমস্যা না হয় সে ব্যবস্থা নিয়েছি। যখন আমি হজে যাই আমাদের হজ যাত্রীদের খোঁজ-খবর নেই। সমস্যা হলে সউদী আরবের সরকারের সঙ্গে কথা বলে সেগুলো সমাধানও করি। এখন আর হজ যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয় না। ঢাকা বিমানবন্দরের আশকোনা হজ ক্যাম্পেই ইমিগ্রেশনসহ নানা কার্যক্রম সম্পন্ন করার সুযোগ করেছি। জেদ্দায় নেমে যাতে সমস্যায় না পড়ে সেখানেও হজ্জ অফিস করে দিয়েছি।

সরকার প্রধান বলেন, আমরা মসজিদগুলো করেছি সেখানে কোরআন চর্চার জন্য হিফজখানা, হজযাত্রী ও ইমামদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, মুসল্লিদের জ্ঞান আহরণের জন্য মসজিদে নববীর আদলে ইসলামিক লাইব্রেরির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মসজিদ কমপ্লেক্স এর মধ্যে পৃথক ভবনে ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে থাকবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের অফিস, কনফারেন্স হল, গবেষণা কক্ষ, প্রতিবন্ধী কর্নার, হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন ও বিদেশি মুসল্লিদের আবাসনের ব্যবস্থা ইত্যাদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মসজিদগুলোতে বিদেশি মুসল্লিরা আসলে তাদের আতিথেয়তা প্রদানও আমাদের দায়িত্ব। সে চিন্তা থেকেই তাদের আবাসনের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই যে, আমাদের ধর্ম সম্পর্কে মানুষ যাতে সচেতন হয়। মডেল মসজিদে নারীদের নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে। কারণ, একমাত্র ইসলাম ধর্মেই নারীদের সমঅধিকারের কথা বলা হয়েছে। পৈত্রিক সম্পত্তি এবং স্বামীর সম্পত্তিতে তাঁদের অধিকারও ইসলাম ধর্মই নিশ্চিত করেছে। যা অন্য কোনো ধর্মে নেই।

দেশে এবং বিদেশে যারা ইসলাম ধর্মের নামে ফ্যাসাদ ও জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করছে তথা মানুষ খুন করছে তারা ইসলাম নামের শান্তির ধর্মের সর্বনাশ করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমি মনে করি সারাবিশে^ সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম হচ্ছে ইসলাম ধর্ম। কিন্তু মুষ্টিমেয় লোক জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে খুন খারাপি করে, বোমা মেরে আমাদের এই ধর্মের নামে বদনাম ছড়াচ্ছে। এরা ধর্মের পবিত্রতাই শুধু নষ্ট করছে না সমগ্র বিশ্বে মুসলমানদের ‘ইমেজ’র ক্ষতি করছে। বিশে^ একটা প্রবণতা দেখা গেছে কোনো সন্ত্রাসি ঘটনা ঘটলেই ‘ইসলামি জঙ্গি’ এই ধরনের একটি নামকরণের অপচেষ্টা রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তার সফরকালিন এবং বিভিন্ন ফোরামে তার বক্তব্যে এর প্রতিবাদ করেছেন বলেও জানান।

২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে উন্নত মসজিদ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণে নিজস্ব অর্থায়নে ৮ হাজার ৭২২ কোটি টাকা ব্যয়ে মডেল মসজিদ ও সংস্কৃতি কেন্দ্রগুলো নির্মাণ করছে সরকার। এটাই হচ্ছে বিশ্বে প্রথম কোনো সরকারের একই সময়ে একসঙ্গে এত বিপুল সংখ্যক মসজিদ নির্মাণের ঘটনা। যা বিশ্বে বিরল।

আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত সুবিশাল এসব মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সে নারী ও পুরুষদের পৃথক ওজু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা, লাইব্রেরি, গবেষণা কেন্দ্র, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, পবিত্র কোরআন হেফজ বিভাগ, শিশু শিক্ষা, অতিথিশালা, বিদেশি পর্যটকদের আবাসন, মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা, হজ্জযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণ, ইমামদের প্রশিক্ষণ, অটিজম কেন্দ্র, গণশিক্ষা কেন্দ্র, ইসলামী সংস্কৃতি কেন্দ্র থাকবে। এ ছাড়া ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা এবং গাড়ি পার্কিং সুবিধা রাখা হয়েছে। মডেল মসজিদগুলোতে দ্বীনি দাওয়া কার্যক্রম ও ইসলামী সংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি মাদক, সন্ত্রাস, যৌতুক, নারীর প্রতি সহিংসতাসহ বিভিন্ন সামাজিক ব্যাধি রোধে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

৫৬০টি মডেল মসজিদে সারা দেশে প্রতিদিন ৪ লাখ ৯৪ হাজার ২০০ জন পুরুষ ও ৩১ হাজার ৪০০ জন নারী একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন। লাইব্রেরি সুবিধার আওতায় প্রতিদিন ৩৪ হাজার পাঠক একসঙ্গে কোরআন ও ইসলামিক বই পড়তে পারবেন। ইসলামিক বিষয়ে গবেষণার সুযোগ থাকবে ৬ হাজার ৮০০ জনের। ৫৬ হাজার মুসল্লি সবসময় দোয়া, মোনাজাতসহ তসবিহ পড়তে পারবেন।

মসজিদগুলো থেকে প্রতি বছর ১৪ হাজার হাফেজ তৈরির ব্যবস্থা থাকবে। আরো থাকবে ইসলামিক নানা বিষয়সহ প্রতিবছর ১ লাখ ৬৮ হাজার শিশুর প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা। ২ হাজার ২৪০ জন দেশি-বিদেশি অতিথির আবাসন ব্যবস্থাও গড়ে তোলা হবে প্রকল্পের আওতায়। কেন্দ্রগুলোতে পবিত্র হজ পালনের জন্য ডিজিটাল নিবন্ধনের ব্যবস্থা থাকবে।

৪০ শতাংশ জায়গার ওপর তিন ক্যাটাগরিতে মসজিদগুলো নির্মিত হচ্ছে। জেলা পর্যায়ে ৪ তলা, উপজেলার জন্য ৩ তলা এবং উপক‚লীয় এলাকায় ৪ তলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতি কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এ-ক্যাটাগরিতে ৬৪টি জেলা শহরে এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় ৬৯টি চারতলা বিশিষ্ট মডেল মসজিদ নির্মিত হচ্ছে। এই মসজিদগুলোর প্রতি ফ্লোরের আয়তন ২ হাজার ৩৬০ দশমিক ০৯ বর্গমিটার। বি-ক্যাটাগরিতে উপজেলা পর্যায়ে ৪৭৫টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। এগুলোর প্রতি ফ্লোরের আয়তন ১ হাজার ৬৮০ দশমিক ১৪ বর্গমিটার।

সি-ক্যাটাগরিতে উপকূলীয় এলাকায় ১৬টি মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। এগুলোর প্রতি ফ্লোরের আয়তন ২ হাজার ৫২ দশমিক ১২ বর্গমিটার। উপক‚লীয় এলাকার মসজিদগুলোতে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে নিচতলা ফাঁকা থাকবে। জেলা সদর ও সিটি করপোরেশন এলাকায় নির্মাণাধীন মসজিদগুলোতে একসঙ্গে ১২শ’ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। অপরপক্ষে উপজেলা ও উপক‚লীয় এলাকার মডেল মসজিদগুলোতে একসঙ্গে ৯শ’ মুসল্লির নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা থাকবে।

যে ৫০টি মডেল মসজিদ নির্মিত হয়েছে সেগুলো হচ্ছে: ঢাকার সাভার উপজেলায়, ফরিদপুরের মধুখালী ও সালথা উপজেলায়, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া ও কুলিয়ারচর উপজেলায়, মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায়, রাজবাড়ি সদর উপজেলায়, শরিয়তপুর সদর ও গোসাইরহাট উপজেলায়, বগুড়ার শারিয়াকান্দি, শেরপুর ও কাহালু উপজেলায়, নওগাঁর সাপাহার ও পরশা উপজেলায় সিরাজগঞ্জ জেলা ও সদর উপজেলায়, পাবনার চাটমোহর উপজেলায়, রাজশাহীর গোদাগারি ও পবা উপজেলায়, দিনাজপুরের খানসামা ও বিরোল উপজেলায়, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায়, পঞ্চগড় সদর ও দেবীগঞ্জ উপজেলায়, রংপুরের সদর উপজেলা, মিঠাপুকুর, পীরগঞ্জ ও বদরগঞ্জ উপজেলায়, ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায়, নোয়াখালির সুবর্ণচর উপজেলায়, ময়মনসিংহের গফরগাও ও তারাকা উপজেলায়, চট্টগ্রাম জেলার লোহাগড়া, মীরসরাইর ও স›দ্বীপ উপজেলায়, জামালপুর সদর ও ইসলামপুর উপজেলায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর ও বিজয়নগর উপজেলায়, ভোলা সদর, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায়, কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায়, খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায়, কুষ্টিয়া সদর, খুলনা জেলা, চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায়, ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা এবং চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (17)
Erfanul Hoque Masum ১১ জুন, ২০২১, ১:১২ এএম says : 1
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সেই সাথে আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
Total Reply(0)
নুরুল ইসলাম ১১ জুন, ২০২১, ১:১২ এএম says : 1
তুমি আছ বলেই নিরাপদ এই জনপদ। তুমি আছ বলেই দূরন্ত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ........... প্রিয় নেত্রীয় সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা।
Total Reply(0)
Didarul Alam ১১ জুন, ২০২১, ১:১৩ এএম says : 1
ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার এত সুন্দর উদ্দেকের জন্য দোয়া রইল
Total Reply(0)
Nurul Amin ১১ জুন, ২০২১, ১:১৪ এএম says : 1
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আজ দেশের ধর্ম প্রাণ মুসলমানদের জন্য ধর্মীয় অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য বিশাল অবদান। দেশের ধর্ম প্রাণ মুসলমানগন আজীবন মনে রাখবেন। আমাদের ১২নং সরাইপাড়া ওয়াড় আওয়ামী পরিবার পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
Total Reply(0)
Ezaz Ahmed Rabby ১১ জুন, ২০২১, ১:১৪ এএম says : 1
ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনার অসামান্য অবদান গন মানুষ মনে রাখবেন আজীবন
Total Reply(0)
Hosne Azam ১১ জুন, ২০২১, ১:১৫ এএম says : 1
আল্লাহ আপনাকে হায়াত এ তৈয়বা দান করুন। যাতে আরও দীর্ঘসময় আপনার হাতে এই দেশের কল্যাণ অব্যাহত থাকে। কারণ বঙ্গবন্ধু ছাড়া আগে কোনও সরকার প্রধান আপনার মত করে দেশের জন্য ভাবেনি।
Total Reply(0)
Jamil Raipuri ১১ জুন, ২০২১, ১:১৫ এএম says : 0
সৌদি সরকার কে ধন্যবাদ, দেশের সরকারকে মোবারকবাদ
Total Reply(0)
Mohammad Mir Hossain ১১ জুন, ২০২১, ১:১৫ এএম says : 1
একটি বিপ্লবী কাজ আলহামদুলিল্লাহ এমন নজির আর কোথাও নেই
Total Reply(0)
Bazlul Karim ১১ জুন, ২০২১, ১:১৭ এএম says : 1
আলহামদুলিল্লাহ সকলকে মসজিদে নামাজ আদায়ের তৌফিক দান করুন আমিন সকলকে ধন্যবাদ।
Total Reply(0)
ম নাছিরউদ্দীন শাহ ১১ জুন, ২০২১, ১:৫১ এএম says : 1
আল্লাহর ঘর মসজিদ বিশালাকার সুন্দর আভিজাত্যের প্রতিক ইসলাম আর মুসলমানদের ইবাদত বন্দেগীর পবিত্রার স্থান মসজিদ বাংলাদেশের মাঠিতে একসাথে ৫৬০টি দৃষ্টিনন্দন ঐতিহ্যবাহী ইসলামের নিদর্শনের মসজিদ প্রতিষ্টিার মাধ্যমে বাংলাদেশের মুসলমানদেরহ্নদয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি মানুষের গভীরশ্রদ্ধা ভালোবাসা প্রতিষ্টিত হলো।প্রধানমন্ত্রী আজ সমগ্র দেশবাসীর কাছে বলেছেন লেবাসে নয় ইনসাফের ইসলামী বিশ্বাসী আল্লাহর দরবারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করছি। পর পর তিনদিন অত্যন্ত যুক্তি সংগতদাবী করেছি ফরিয়াদি হয়ে। মসজিদের নামনিয়ে বাংলাদেশের বিশালাকার আয়তনের মসজিদের নাম বঙ্গবন্ধুর নামে করুন শেখ মুজিবুর রহমান মডেল মসজিদ করার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নিকট ইসলামী ফাউন্ডেশনের নিকট মসজিদ প্রকল্পটির সাথে জড়িত দের উদাত্ত আহবান বিনীতভাবে অনুরোধ করছি। এঈ মহাযজ্ঞ মহাকল‍্যানকর মহামর্যাদাবান আল্লাহর জমিনে মসজিদ তৈরী করা বিশালাকার সম্মানের কাজ। আল্লাহর দয়া রহমত ছাড়া সম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধুর জর্মশত বার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর নামেই মসজিদ হবে এটি নিয়ম ছিল। কেনদাবী জানিয়ে ফরিয়াদির বার বার লিখছি। আওয়ামীলীগে জ্ঞানী গুনি ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মানুষের অভাব আছে? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পটির মানুষ গুলো কি আমার চাইতে হাজারো গুন জ্ঞানী বুদ্ধিমান। আমার ফরিয়াদ দাবী শতভাগ ন‍্যায় ইনসাফের উপর প্রতিষ্টিত লেবাসে নয় আমি নিঃস্বার্থ ভাবে বঙ্গবন্ধুর পক্ষের মসজিদের নাম করনের ফরিয়াদি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দরবার আমার ফরিয়াদ পৌছোবে কিনা জানিনা।বাংলাদেশের ইতিহাসে অত্যন্ত মর্যাদাবান সম্মানীতকাজ বঙ্গবন্ধুর বঙ্গবন্ধুর জর্মশত বার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর কন‍্যা জাতির পিতার নামে মসজিদ গুলোর নাম করণ হলে। কি? পদ্ধাসেতুর মত আন্তর্জাতিক চক্র অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করে দিবেন??? আমি মাকে নানার বাড়ির গল্প শুনাতে চায়না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কে গভীর শ্রদ্ধাভরে বলছি বাংলাদেশের তৌহিদী মুসলমানের পক্ষে জাতীয় পত্রিকায় কত বার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে গভীর শ্রদ্ধাভরে মা সম্বোধন করেছি শতভাগ নিঃস্বার্থ ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বঙ্গবন্ধুর প্রতি বঙ্গবন্ধুর পরিবারের শহীদি কাফেলার প্রতি শ্রদ্ধা সম্মান জানিয়ে নিজকে সম্মানিত মনে করছি। আবারও রাষ্ট্রের নীতি নিদ্ধারক গুরুত্বপূর্ণ ব‍্যাক্তি ও প্রতিষ্টান কাছে প্রশ্ন বঙ্গবন্ধুর প্রতি সত্যিকারের শ্রদ্ধাবোধ থাকে। যদি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা থাকে মসজিদের নাম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মডেল মসজিদ নাম করুন। দেশের কোটি কোটি শান্তি প্রিয় মুসলমানদের শ্রদ্ধা ভালবাসা পাবেন। আল্লাহর ইচ্ছে হয় আল্লাহর হকূম হয় যদি থাকেন আল্লাহর ঘরের মসজিদের নাম জাতীয় পিতা নামে লিপিবদ্ধ থাকে অবশ্যই হবে। আল্লাহ্ রাষ্ট্রের নির্বাহী প্রধান সহ সবাই কে সত‍্য বুঝার তৌফিক দাও। আমিন।
Total Reply(0)
মোঃ+দুলাল+মিয়া ১১ জুন, ২০২১, ৩:৩৮ এএম says : 0
সোদি আরব দিয়েছে টাকা আমরা কাজ সম্পন্ন করেছি,এখানে লেবাসের কথা আসবে কি জন্য,লেবাস থাকবে এবং কি না থাকলে ইবাদত হবে না ,ইবাদত সবাইর জন্য কবুল করার মালিক আল্লা,লেবাস থাকুক আর না থাকুক সবাইর কিছু না কিছু ভুল হয়ে থাকে,হানিফ সংকেতের কথাটি না বলে আর পারলাম না,উনি বলতছেন দুনিয়াটা চৌর চৌর কেউ মুরগি চৌর কেউ জুতা চৌর কেউ আবার লতা চৌর,এরা ও মসজিদে নামাজ পড়ে,আর যারা মিলিয়ন বিলিয়ন টাকা চুরি করে তারা ও চৌর কিন্তু এখানে অবশ্যই চুরি মধ্যে পার্থক্য আছে। আপনারা বলেন কোনটি জঘন্যতম চৌর,লেবাস বলে নাই আপনি চুরি করেন অথবা করবেন না,লেবাস ইসলামের বিধান লেবাসের দোষটা কি জন্য হবে,আর সব লেবাসী খারাপ তা হতে পারে না,আবার লেবাস ছাড়া যে আছে সে যে খারাপ তাও হতে পারে না ,এই জন্য লেবাস নিয়ে কথা ঠিক হয় নাই,আগে নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে আমি কি করতেছি ,আমি নিজে ঠিক থাকলে আননের দোষ দিতে পারবে,আমি নিজেই ঠিক নাই আমি আরোক জন কে কি করে দোষারোপ করতে পারি। তাই মসজিদ উদ্ভাবনে লেবাসের প্রশ্নটি আসার দরকার নেই।
Total Reply(0)
JESMIN ANOWARA ১১ জুন, ২০২১, ৫:১৪ এএম says : 0
Why you did not establish rule of Quran, Why you do keep away the rule of Quran from the state administration why you are trying to keep away political Islam from the the field of politics. But Quran came from Allah to establish Islamic rule in this planet what will be your answer when you will stand in front of Almighty Allah. Money for Masjid came from Saudi Arabia
Total Reply(0)
Nannu chowhan ১১ জুন, ২০২১, ৫:৩৭ এএম says : 0
Eai Shondor Allahr ghor toirite shohojogota jara koresen Allah'r meherbanite,tader janai mobarokbad kintu moshjid eaikhane manush ba pranir sobi lagano iha nitantoy joghonno gona,Arob dehsher badsha gon koto shondor shondor moshjid toiri korte shohata koren Allah'r meherbanite kintu tader kono sobi moshjid compound e tanggano hoyna,eak ponno korte arek bidat kore felar dike kheal rakha uchit,dhonnobad.
Total Reply(0)
বর্তমান সরকার প্রধান মাননীয় শেখ হাসিনা যে উপজেলা ভিত্তিক মডেল মসজিদ তৈরী করছেন নিঃসনদেহ ইহা এক অতি উত্তম কাজ বাংলার ইতিহাসে কেন,পৃথিবীর ইতিহাসে কোন দেশের সরকার তা করছে বলে আমার জানা নাই । তাই দোষে গুনে মানুষ তবে বর্তমান এই কাজের জন্য আমাদের সরকারী দল এবং মাননীয় প্রধান মন্এী অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার ও ইসলাম দরধী।
Total Reply(0)
NaYaMoT BaBu ১১ জুন, ২০২১, ৩:৫৩ পিএম says : 0
কিয়ামতের আলামত শীঘ্রই চলে আসছে আমাদের মাঝে আল্লাহ তুমি আমাদেরকে হেফাজত কর
Total Reply(0)
Dadhack ১১ জুন, ২০২১, ৬:১৭ পিএম says : 0
আমাদের দেশ চলে আল্লাহ বিরোধী আইন.... দিয়ে মসজিদ দিয়ে কি হবে ??? আগে মসজিদ ছিল মুসলমানদের Heart. অতীতে মুসলমানরা যখন কোরআন দিয়ে দেশ শাসন করত তখন মসজিদ থেকেই অর্ধ বিশ্ব মুসলমানরা শাসন করতো...... আর এখন মসজিদ হয়ে গেছে শুধু মাথা ঠোকার জায়গা.
Total Reply(0)
Dadhack ১১ জুন, ২০২১, ৬:২২ পিএম says : 0
উনি কি বুঝাতে চান লেবাস মানে সিংহ সিংহর মত না হয় তাহলে চামচিকাও লাথি মারে আজকে মুসলমানদের দেখলে কেউ মনে করো না যে আমরা মুসলিম.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন