বরগুনার আমতলী উপজেলায় যুবলীগ কর্মী ও পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের ভাগিনা ঠিকাদার আবুল কালাম আজাদকে কুপিয়ে গুরুতর জখম ঘটনার ২২ দিন পরে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম মুসা, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন খান, যুবলীগ সভাপতি, জিএম ওসমানী হাসান, শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক হাসান মৃধাসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের ১৫ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে শনিবার বিকালে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে না পাওয়ায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামী জিএম মুসা ও তার সঙ্গীরা বাদীর নিকট ৫লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। বাদী টাকা দিতে অস্বীকার করায় আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ২১ মে রাতে ব্রীক ফিল্ডে ইটের জন্য অগ্রিম ২ লক্ষ টাকা নিয়ে মটর সাইকেল করে যায়। ব্রীক ফিল্ডের অফিস বন্ধ পেয়ে ফেরার পথে আমতলী খুরিয়ার খেয়াঘাট নামক এলাকায় হামলা করে আসামীরা তার হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়ে সাথে থাকা ২লক্ষ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
এবিষয়ে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম মুসা বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আমতলী পৌরসভার মতিয়ার রহমান পরিকল্পিতভাবে তাদের পারিবারিক অনৈতিক বিরোধকে কেন্দ্র করে ভাগিনাকে কুপিয়েছে। আগামী পৌর নির্বাচনে আমি মেয়র প্রার্থী এজন্য প্রতিহিংসামূলক ভাবে আমাকেসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ কর্মীদের মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, মামলার বিষয় তদন্ত করা হচ্ছে এবং আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন