আমতলী উপজেলার দক্ষিণ রাওঘা গ্রামে শুক্রবার সকালে মহিষে আউশ ধানের বীজ খাওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ পাঁচ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত তিনজনকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জানাগেছে, উপজেলার দক্ষিণ রাওগা গ্রামের স্বপন হাওলাদারের একটি মহিষ শুক্রবার সকালে প্রতিবেশী সোহরাব হাওলাদারের আউশ ক্ষেতের বীজ খেয়ে ফেলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সোহরাব হাওলাদার মহিষের মালিক স্বপন হাওলাদারের শিশুপুত্র সাকিবকে মারধর করে। শিশু পুত্র সাকিবকে মারধর করায় ক্ষুব্ধ হন স্বপন হাওলাদার। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগবিতন্ডার এক পর্যায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে নারীসহ পাঁচজন আহত হয়। গুরুতর আহত স্বপন হাওলাদার (৩৫), শহিদুল মোল্লা (৪০) ও সোহরাব হাওলাদারকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহত শিশু সাকিব ও শাহিনুর বেগমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
আহত স্বপন হাওলাদার বলেন, আমার শিশু পুত্র সাকিবকে মারধর করেছে সোহরাব হাওলাদার। শিশু পুত্রকে মারধরের বিষয়টি জানতে চাইলে সোহরাব ও তার ছেলেরা মিলে আমাকে, আমার স্ত্রী, ভাই ও শিশুপুত্রকে মারধর করেছে। সোহরাব হাওলাদার মারধরের কথা অস্বীকার করেন।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ হিমাদ্রী রায় বলেন, স্বপন হাওলাদারের মাথা ও শহীদুল মোল্লার হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আহত তিনজনকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন