বরগুনার আমতলী উপজেলার চালিতাবুনিয়া গ্রাম থেকে মঙ্গলবার রাতে অপহৃতা দশম শ্রেনীর এক মাদ্রাসা ছাত্রী সুমাইয়া আক্তারকে (১৫) উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় অপহরণকারী নাঈম মুসুল্লীর বাবা ও মাকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার পুলিশ অপহৃতার ২২ ধারায় জবানবন্দি এবং দুই আসামীকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রেরণ করেন। আদালতের বিচারক অপহৃতার জবানবন্দি শেষে পুলিশকে ডাক্তারী পরীক্ষার আদেশ দেন এবং একই সাথে দুই আসামীকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার আঙ্গুলকাটা গ্রামের মো. নিজাম ঘরামীর মাদ্রাসার দশম শ্রেনীতে পড়ুয়া সুমাইয়া আক্তারকে গত ২৩ জুন চাওড়া চালিতাবুনিয়া গ্রামের দেলোয়ার মুসুল্লীর ছেলে নাঈম মুসুল্লী ও তার দুই সহযোগী অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় অপহৃতার বাবা নিজাম ঘরামী পরের দিন ২৪ জুন বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে নাঈম মুসুল্লীকে প্রধান আসামী করে তিন জনের নামে মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার রাতে ওই মামলায় আমতলী থানার এসআই জ্ঞান কুমার অপহরণকারী নাঈমের বাড়ীতে অভিযান চালায়। এ সময় ওই বাড়ী থেকে অপহৃতাকে উদ্ধার এবং অপহরণকারী নাঈমের বাবা আসামী মো. দেলোয়ার মুসুল্লী ও মা মুনসুরা বেগমকে গ্রেফতার করে। বুধবার পুলিশ অপহৃতা ও গ্রেফতারকৃত দুই আসামীকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে। আদালতের বিচারক মো. সাকিব হোসেন অপহৃতার ২২ ধারায় জবানবন্দি নেন। পরে পুলিশকে তার ডাক্তারী পরীক্ষার আদেশ দেন এবং একই সাথে আসামী দেলোয়ার মুসুল্লী ও মুনসুরা বেগমকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী নিজাম ঘরামী বলেন, আমার মাদ্রাসা পড়ুয়া কন্যাকে বখাটে নাঈম ও তার সহযোগীরা অপহরণ করে নিয়ে যায়।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, অপহৃতাকে উদ্ধার করে ২২ ধারার জবানবন্দির জন্য এবং গ্রেফতারকৃত দুই আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আদালতের নির্দেশমতো অপহৃতাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন