শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

চরম ভোগান্তি

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন

প্রকাশের সময় : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৩৫ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

স্টাফ রিপোর্টার : রাষ্ট্রের নাগরিকের পরিচয়ে এখন ‘ভোটার আইডি’ অপরিহার্য। প্রতিটি ক্ষেত্রে এখন ভোটার আইডি কার্ডের প্রয়োজন পড়ে। ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তৎকালীন নির্বাচন কমিশন একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ভোটারদের আইডি কার্ড প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ভোটার আইডি কার্ড প্রণয়নের পর তা ভোটারদের হাতেও পৌঁছে দেয়া হয়। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেয়ার সময় এই আইডি কার্ডকে গুরুত্ব না দেয়ায় নাগরিকদের মধ্যে তেমন আগ্রহ-উচ্ছ্বাস ছিল না। কিন্তু এখন প্রতিটি ক্ষেত্রে নাগরিকের ভোটার আইডি কার্ডের প্রয়োজন পড়ায় মানুষ ভোটার আইডি কার্ড সংরক্ষণ করছে। কিন্তু বিপদ হয়েছে ‘ভুল’ নিয়ে। আইডি কার্ডে ভুল নিয়ে জনগণকে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের ভুল ভোটার কার্ড সংশোধনের প্রকল্পের কাজও চলমান। কিন্তু ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে গিয়ে নাগকিরদের পড়তে হচ্ছে নানা ঝামেলায়। সারাদেশের ভোটারদের তালিকা করে ছবিসহ ভোটার আইডি কার্ড দেয়ার অসাধ্য কাজ সাধন করল বাংলাদেশের সেনাবাহিনী নির্বিঘেœ। সাধারণ মানুষকে আইডি কার্ড পেতে কোনো ঝামেলায় পড়তে হলো না; অথচ এখন শুধু নামের ভুল সংশোধন করতে গিয়ে মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সেনাবাহিনী সারাদেশের কয়েক কোটি ভোটারের তালিকা করে ছবি সম্বলিত আইডি কার্ড সবার হাতে হাতে তুলে দিল; মানুষকে কোনো ভোগান্তি পোহাতে হলো না; সেখানে সারাদেশে দুই-চার হাজার আইডি কার্ডের ভুল সংশোধন করতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বশীলরা গলদঘর্ম? সেনাবাহিনী কোটি কোটি মানুষের কার্ড দিতে পারে; আর নির্বাচন কমিশন কয়েক হাজার কার্ডের ভুল সংশোধন করতে গিয়ে লেজেগোবরে অবস্থা করে ফেলছে?
ভোটার আইডি কার্ডের ভুল নিয়ে নানামুখী ঝামেলায় পড়ছে মানুষ। ভুক্তভোগীদের অভিযোগÑসে ভুল সংশোধন করতে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে চরম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। আইডি কার্ডে কারো বাবার নাম ভুল, কারো মায়ের নাম ভুল। কারো আবার নিজের নামের বানান ভুলে ভরা জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি বা ন্যাশনাল আইডেন্টিটি)। এসব বানান শুদ্ধ করতে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন দেশের বিভিন্ন জেলার হাজার হাজার নাগরিক।
বহুল কাক্সিক্ষত উন্নত মানের জাতীয় পরিচয়পত্র স্মার্টকার্ড বিতরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মোঃ সালেহউদ্দিন।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অফিসের ভেতরে ও বাইরে শত শত নারী ও পুরুষ ছোটাছুটি করছেন একটি পরিচয়পত্রের জন্য। অপেক্ষার পর অপেক্ষায়ও মিলছে না সংশোধিত পরিচয়পত্র। তাদের একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা শরিফুল আলম। দুই মাস আগে জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য আবেদন করেছেন, কিন্তু এখনো জানেন না কবে নাগাদ পাওয়া যাবে। সংশ্লিষ্ট কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কবে পরিচয়পত্র হাতে পাবেন। ইনকিলাবকে তিনি বলেন, ভোটার আইডি কার্ড না পাওয়ায় এখনও আয়কর রির্টানের জন্য ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করতে পারিনি। এ নিয়ে বেশ চিন্তায় আছি। জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগে সরেজমিনে গিয়ে পাওয়া গেল আরো কয়েকটি ঘটনা। শুধু শরিফুল আলমই নয়, প্রতিদিন আগারগাঁওয়ের এনআইডির কার্যালয়ে তার মতো শত শত মানুষ আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অথচ নয় মাস আগেও দ্রুততম সময়ের মধ্যে পাওয়া যেত এই কার্ড। তাৎক্ষণিক সেবা দিতে এই দফতরের ওয়ান স্টপ সার্ভিস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মূলত শুরু হয়েছে এই বিড়ম্বনার। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সেবা পেতে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এনআইডি। ফলে দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে ভোগান্তির শিকার হওয়ার মানুষের তালিকা।
সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনের মাঠ পর্যায়ের অফিস থেকে এসব কাজ করার নির্দেশ থাকলেও সংশ্লিষ্টদের এ ব্যাপারে রয়েছে যথেষ্ট অনীহা। প্রয়োজনের তাগিদে বাধ্য হয়ে সাধারণ মানুষকে প্রধান কার্যারলয়মুখী হতে হচ্ছে। এ মুহূর্তে ভোটারদের নতুন রেজিস্ট্রেশন করতে সময় লাগে ন্যূনতম দুই মাস, মাইগ্রেশন করতে কয়েক মাস এবং ভুল সংশোধন করতে লেগে যায় কয়েক দিন।
যে কারণে কার্ড না পাওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন জেলা থেকে নির্বাচন কমিশনে আসা মানুষকে ঢাকায় অবস্থান করতে হয়, অথবা ঢাকায় যাতায়াত করতে হয় একাধিকবার। এতে সময়, শ্রম ও অর্থের লোকসান হয়। এ সুযোগে একটি চক্র সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কাজ করে দেয়ার নামে অর্থ আদায় করছেন, এমন অভিযোগও করছেন কেউ কেউ। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে এনআইডি কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) প্রকল্পের উপ-সচিব আবদুল বারী বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত আবেদনপত্র পাওয়ার পর দ্রুততার সঙ্গে কাজ করা হয়। তবে তথ্যের সত্যতা যাচাই ও অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া শেষ করতে কিছুটা সময় লাগে। অনেকেই এতটুকু সময় মানতে চান না। আমাদের বিশ্বাস ৯০ ভাগ মানুষ আমাদের সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট। অন্যায় আবদার রক্ষা করতে পারি না বলেই বাকি ১০ ভাগ অসন্তুষ্ট। তারাই বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ করে।
গতকাল বুধবার জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগে সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে মানুষের উপচেপড়া ভিড়। জাতীয় পরিচয়পত্রের বাবা, মা, এবং নিজের নামে ভুল সংশোধন, স্থানান্তর, হারানো কার্ড উত্তোলনের জন্য আবেদন জমা নিয়ে অনেকটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি নির্ধারিত আবেদন ফরমও পাওয়া যায় না। কর্তব্যরত কর্মকর্তাদের অনেকেই আগতদের জিজ্ঞাসায় তেমন সাড়া দেন না।
নতুন করে ভোটার হতে ইচ্ছুক মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা সাজেদা বেগমের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, কমিশনে দায়িত্বশীল তিনজন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করেও কাক্সিক্ষত তথ্য তিনি পাননি। এছাড়া কুমিল্লা থেকে আসা শরিফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, নামের ভুল সংশোধন করতে ঢাকায় এসেছেন। তিন দিন ঢাকায় অবস্থান করে কর্মকর্তাদের অনুরোধ করা সত্ত্বেও তার কাজ হয়নি। সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এ শিক্ষক আরও জানান, সার্টিফিকেটের সঙ্গে আইডি কার্ডের নামের মিল না থাকায় তিনি চাকরির অবসরের টাকা তুলতে পারছেন না। একই ধরনের অভিযোগ চট্টগ্রামের বাসিন্দা মরিয়ম বেগমের। তিনি বলেন, আগামীকালের মধ্যে কার্ড না পেলে তার ঢাকায় অবস্থান করা সম্ভব নয়। কার্ড ছাড়াই তাকে চলে যেতে হবে। কার্ডে ভুলের কারণে তিনি ব্যাংক হিসাব খুলতে পারছেন না বলেও অভিযোগ করেন। ঢাকার নবাবগঞ্জ থেকে আসা লাবলু মিয়া বলেন, তার বাবার নামের বানান ভুল থাকার কারণে সৌদ আরবে যেতে পারছেন না। গত কয়েকদিন ধরে ঘুরছেন। তার পরেও কার্ড পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এখানে মানুষ ভালো সেবা পেত। এখন আর যাচ্ছে না।
মানুষের ভোগান্তির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার হাফিজ উদ্দিন বলেন, এসব সমস্যা সমাধানের সুযোগ রয়েছে। এতে অনেকাংশে কম আসবে ভোগান্তি। তিনি বলেন, ভোটার তালিকার হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হলে তখনই অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কমিশনের মিটিংয়ে হালনাগাদ কার্যক্রম কবে থেকে শুরু হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত জানুয়ারি মাসে জাতীয় পরিচয়পত্রের ঢাকায় অবস্থিত প্রকল্প অফিসে ৩ হাজার ৫৮৪ জন জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য আবেদন করেছেন। ৩ হাজার ৫২৪ জনের পরিচয়পত্র সংশোধন করে কার্ড দেয়া হয়েছে। ওই সময়ে ১০ উপজেলায় ৬৯ জন কার্ড সংশোধনের আবেদন করলে ১০ জনের সংশোধন করা হয়। একই মাসে ঢাকায় ৭ হাজার ১৫২ জন হারানো কার্ডের জন্য আবেদন করে ৬ হাজার ৯৭০ জন পেয়েছেন। জানুয়ারি মাসে উপজেলা নির্বাচন থাকায় ঠিকানা পরিবর্তন কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ডিসেম্বর মাসে প্রকল্প অফিসে ৩ হাজার ৪৭ জন সংশোধনের আবেদন করে ৩ হাজার ১০ জন সংশোধিত কার্ড পেয়েছেন। উপজেলা পর্যায়ে ৬৩ জন সংশোধনের আবেদন করে ৬ জন পেয়েছেন। ওই মাসে ঢাকায় ৫ হাজার ৭৮৭ জন হারানো কার্ডের জন্য আবেদন করার পর ৫ হাজার ৬০০ জন পেয়েছেন। নভেম্বর মাসে উপজেলা পর্যায়ে ২ হাজার ১১৩ জন কার্ড সংশোধনের জন্য আবেদন করে পেয়েছেন ৩৪৯ জন। ঢাকায় ৫ হাজার ৫৪৯ জন সংশোধনের আবেদন করে পেয়েছেন ৪ হাজার ৪৩২ জন।
সংসদ নির্বাচনের আগে নভেম্বরে ১২ হাজার ৮৮৭ জন ঠিকানা পরিবর্তনের আবেদন করেন। ওই সময়ে ১১ হাজার ৩৬৭ জনের আবেদন গ্রহণ করে ঠিকানা পরিবর্তন করে দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সংসদ ও উপজেলা নির্বাচন শেষ হওয়ায় নতুন ভোটার রেজিস্ট্রেশন, নাম সংশোধন ও ঠিকানা পরিবর্তন সংক্রান্ত আবেদনের সংখ্যা বেড়েছে। এতে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ইতোমধ্যে জনবল বাড়ানোর প্রস্তাব কমিশনে পাঠানো হলেও তা আবার ফেরত এসেছে।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন) সৈয়দ মোহাম্মাদ মুসা বলেন, ‘আমরা শিগগিরই স্মার্ট কার্ড নাগরিকদের মধ্যে বিতরণ করতে যাচ্ছি।
আইডিইএ প্রকল্পের আওতায় ২০১৬ সালের জুন মাসের মধ্যে সাড়ে নয় কোটি নাগরিকের হাতে স্মার্টকার্ড পৌঁছে দেয়ার কথা ছিল। এজন্যে উৎপাদন শুরুর কথা ছিল ২০১৪ সালের আগস্টেই। কিন্তু কোনো কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি না হওয়ার কারণে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়নি। ২০১৫ সালে ১৪ জানুয়ারিতে স্মার্ট কার্ড তৈরি ও বিতরণের বিষয়ে ফ্রান্সের ওবার্থার টেকনোলজিস নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে ইসি। সেই চুক্তি অনুযায়ী স্মার্ট কার্ড উৎপাদনের জন্য সেপ্টেম্বরে ১০টি মেশিন বসানো শুরু হয় এনআইডি উইংয়ে। এর পরেই এনআইডি সিপে তথ্য পার্সোনালাইজেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ডিসেম্বরে স্মার্টকার্ড উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়। ১০টি মেশিনের মধ্যে একটি বিশেষ কাজের জন্য ব্যবহার করা হবে। এখন পর্যন্ত পুরোদমে সব মেশিনে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়নি।
বর্তমানে সারা দেশে ৯ কোটি ৬২ লাখ ২৬ হাজার ৫৪২ জন ভোটার রয়েছে। চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদে নতুন ৭২ লাখ নাগরিককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
স্মার্টকার্ড যদি দেয়াও শুরু হয়, তারপরও সবার হাতে পৌঁছাতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে। শুরু থেকে এ প্রকল্পে সমন্বয়হীনতার কারণে সবার হাতে স্মার্টকার্ড কবে পৌঁছাবে তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
কাশেম ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১১:৪০ এএম says : 1
এর একটা সুষ্ঠ সমাধান হওয়া খুব জরুরী
Total Reply(1)
MD. RIPON MIA ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ৭:২৪ পিএম says : 4
voter id card 1 year problem
নুরজাহান ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১:০৫ পিএম says : 0
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাজের সাথে অন্য কারো তুলনা চলে না। তারা বেস্ট
Total Reply(0)
আসমা ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১:১০ পিএম says : 0
নির্বাচন কমিশনের এতগুলো লোক কি করে?
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন