মুজিববর্ষ উপলক্ষে চাঁদপুরে দ্বিতীয় ধাপে ১০৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার জমিসহ ঘর পাচ্ছেন। এক টাকার সালামিতে এসব পরিবারকে দুই শতাংশ জমির বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে। আগামী ২০ জুন জমি ও ঘর প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চাঁদপুরে ১৬১৭টি ভূমিহীন এবং গৃহহীন পরিবারের তালিকা হয়েছে। খাস জমি উদ্ধার করে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে তাদেরকে ঘর করে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
শুক্রবার (১৮ জুন) সকালে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান জেলা প্রশাসক অঞ্জন খান মজলিশ।
তিনি জানান, দ্বিতীয় পর্যায়ে চাঁদপুর সদর উপজেলায় ১৭টি, কচুয়ায় দুটি, মতলব উত্তরে ৩০টি, হাজীগঞ্জে ১০টি, শাহরাস্তিতে ৩০টি এবং হাইমচরে ২০টি পরিবারকে এ ঘর দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে এসব ঘরের বেশিরভাগরই নির্মাণ কাজ শেষ। দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা এ ঘরে রয়েছে একটি রান্নাঘর, একটি টয়লেট ও কমন স্পেস।
বর্তমানে জেলায় ‘ক’ শ্রেণির গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার রয়েছে এক হাজার ৬১৭টি। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে একক গৃহের মাধ্যমে ১১৫টি, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৪৫টিসহ ১৬০টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে একক গৃহের মাধ্যমে ১০৯টি এবং আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ৩২৫টিসহ ৪৩৪টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। খাস জমি উদ্ধার করে জেলায় আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে অবশিষ্ট ‘ক’ শ্রেণির পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, এজন্য উপজেলা নির্বাহীদের জায়গা নির্বাচন, মাটি ভরাটসহ প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যদের বেতনের টাকায় চাঁদপুরে দুটি পরিবারকে, জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দুটি এবং বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান প্রধান সংস্থার পক্ষ থেকে ২৫টি ঘর দেওয়া হয়েছে। এগুলোসহ বেসরকারিভাবে ১১৮টি ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার দেশে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যে ১৬১৭টি ভূমিহীন এবং গৃহহীন পরিবারের তালিকা হয়েছে। খাস জমি উদ্ধার করে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে তাদেরকে ঘর করে দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চাঁদপুর জেলায় খাস জমি অপ্রতুল হলেও জেলার চার জন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে দুটি করে ৮টি উপজেলায় খাস জমি খুঁজে বের করাসহ এ সংক্রান্ত সব কাজ মনিটর করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, এক টাকার সালামিতে ঘরগুলো দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে জমি রেজিস্ট্রেশন স্বাপেক্ষে নামজারি করে তা দেওয়া হচ্ছে। ঘরগুলো যাদের দেওয়া হয়েছে তারা অন্য কাউকে তা হস্তান্তর করতে পারবে না বলে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন