নেইমারের নৈপুণ্যেই অলিম্পিকে একমাত্র স্বর্ণ জয়ের স্বাদ পেয়েছে ব্রাজিল। দেশকে আরও একটি স্বর্ণ এনে দেওয়ার লক্ষ্যে এবারও অলিম্পিকে খেলতে চেয়েছিলেন নেইমার। কোচ আন্দ্রে জার্দিনের প্রাথমিক দলেও ছিলেন। কিন্তু ১৮ সদস্যের মূল দলে জায়গা হয়নি এ পিএসজি তারকার। বাদ পড়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ তরুণ রদ্রিগোও। তবে বিস্ময়করভাবে এ দলে রয়েছেন সাও পাওলোর ৩৮ বছর বয়সী ডিফেন্ডার দানি আলভেজ।
রিও অলিম্পিকের ফাইনালে নেইমারের পেনাল্টি গোলেই জয়ের স্বাদ পায় ব্রাজিল। মূল ম্যাচেও ফ্রি কিক থেকে একটি অসাধারণ গোল করেছিলেন এ তারকা। এর আগে লন্ডন ২০১২ অলিম্পিকে রৌপ্য পদকও জিতেছিলেন তিনি। সে ধারায় টোকিও অলিম্পিকে থাকার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন। তার পূর্ব অর্জনও স্কোয়াডে জায়গা পাওয়ার জন্য যথেষ্ট হয়নি। কোচ আন্দ্রে জার্দিনের ভাবনা যে ভিন্ন! নিজেদের আঙিনায় হওয়া রিও দে জেনেইরো অলিম্পিকে জার্মানিকে হারিয়ে
বর্তমানে কোপা আমেরিকায় খেলছেন নেইমার। খেলছেনও দারুণ। প্রতি ম্যাচেই গোল পাচ্ছেন। গোলও করাচ্ছেন। এরমধ্যেই কিংবদন্তি রোনালদো নাজারিওকে ছাড়িয়েছে। এগিয়ে যাচ্ছেন পেলের রেকর্ডের দিকে। মূলত কোপাতে খেলার কারণেই তাকে অলিম্পিকে রাখা হয়নি বলে জানিয়েছেন ব্রাজিল দলের কোঅর্ডিনেটর ব্রাঙ্কো, ‘আমরা নেইমারকে পেলে খুব খুশি হতাম। কিন্তু সে সিনিয়র দলের হয়ে কোপা আমেরিকায় খেলছে। এ কারণেই সে স্কোয়াডে নেই।’
অন্যদিকে ইনজুরির কারণে কোপা আমেরিকা থেকে বাদ পড়ার কারণেই অলিম্পিক দলে জায়গা পেয়েছেন দানি আলভেজ। ২০১৯ সালে তার নেতৃত্বেই প্রতিযোগিতাটির শিরোপা জিতেছিল ব্রাজিল। নবীনদের সঙ্গে তার মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়কে পাওয়ায় ভালো কিছু করার প্রত্যয় ঝড়ে কোচ জার্দিনের কণ্ঠে, ‘দানি সবার রেফারেন্সে ছিল। সে দলের সবচেয়ে সফল খেলোয়াড়। সে দলে অভিজ্ঞতা এবং নেতৃত্ব আনবে। অলিম্পিকে খেলা তার স্বপ্নও ছিল। তার স্বপ্ন প‚রণ করতে দিন।’
টোকিও অলিম্পিক গত বছর হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত হবে। গত বছর জাপানের টোকিওতে অলিম্পিকের আসর বসার কথা ছিল। ২৩ জুলাই শুরু হয়ে ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ শেষ হবে ৮ আগস্ট। অনূর্ধ্ব-২৩ দল নিয়ে হওয়া ফুটবল ইভেন্টে প্রতিটি দল তিন জন করে বয়সী খেলোয়াড় নিতে পারে। ‘ডি’ গ্রুপে ব্রাজিলের সঙ্গে রয়েছে জার্মানি, সউদী আরব ও আইভরি কোস্ট।
১৮ সদস্যের স্কোয়াড
গোলরক্ষক : সান্তোস ও ব্রেনো। ডিফেন্ডার : দানি আলভেস, গ্যাব্রিয়েল মেনিনো, গুইলহার্মে আরানা, নিনো, গ্যাব্রিয়েল মাগালহায়েস ও দিয়াগো কার্লোস। মিডফিল্ডার : দগলাস লুইস, ব্রুনো গুইমারায়েস, ম্যাথিয়াস হেনরিক, গারসন ও ক্লাউদিনহো। ফরোয়ার্ড : ম্যালকম, আন্তনি, পাউলিনহো, ম্যাথিয়াস কুনহা ও পেদ্রো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন